১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর "এস ফোর্স" এর দায়িত্বে কে ছিলেন?
A
কর্নেল জিয়াউর রহমান
B
কর্নেল খালেদ মোশাররফ
C
কর্নেল কে. এম সফিউল্লাহ
D
উপরের কেউ নন
উত্তরের বিবরণ
এস ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ।
বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী:
-
যে জনযুদ্ধ এনেছে বাংলাদেশের পতাকা, সেই জনযুদ্ধের দাবিদার এদেশের সাত কোটি বাঙালি।
-
এই সশস্ত্র যুদ্ধ একটি নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
-
পরিকল্পিত এই যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকার সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি যুদ্ধঅঞ্চলে বিভক্ত করেন।
-
এই ৪টি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন:
ক) চট্টগ্রাম অঞ্চল: মেজর জিয়াউর রহমান
খ) কুমিল্লা অঞ্চল: মেজর খালেদ মোশাররফ
গ) সিলেট অঞ্চল: মেজর কে. এম. সফিউল্লাহ
ঘ) দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
উল্লেখ্য:
-
পরবর্তীতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে বিভক্ত করে দায়িত্ব দেওয়া হয়:
-
রাজশাহী অঞ্চলে: মেজর নাজমুল হক
-
দিনাজপুর অঞ্চলে: মেজর নওয়াজেস উদ্দিন
-
খুলনা অঞ্চলে: মেজর এম.এ জলিল
-
-
৭ই জুলাই ১৯৭১, যুদ্ধের কৌশলগত কারণে সরকার নিয়মিত পদাতিক ব্রিগেড গঠনের পরিকল্পনায় ‘জেড ফোর্স’ গঠন করেন; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল জিয়াউর রহমান
-
সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ
-
১৪ই অক্টোবর ‘কে ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল খালেদ মোশাররফ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
শেখ মুজিবুর রহমান
B
জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি
C
তাজউদ্দিন আহমেদ
D
ক্যাপটেন মনসুর আলী
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
-
১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের পর, তাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
স্বাধীনতা লাভের পর, ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তিনি "জেনারেল" পদে উন্নীত হন, যা কার্যকর ধরা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে।
অন্যদিকে:
-
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
-
উপ-সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন এ কে খন্দকার।
-
আর মুক্তিযুদ্ধের সময় চিফ অব স্টাফ ছিলেন কর্নেল এম এ রব।
তথ্যসূত্র:বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন 'জেড' ফোর্সের অধিনায়ক কে ছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
B
মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
C
মেজর খালেদ মোশাররফ
D
মেজর জিয়াউর রহমান
মুক্তিযুদ্ধের ব্রিগেড ফোর্স এবং মুক্তিবাহিনী
-
মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।
ব্রিগেড ফোর্স:
-
১১টি সেক্টর ও তার অধীন অনেক সাব-সেক্টর ছাড়াও রণাঙ্গনকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়।
-
মে ও জুন ১৯৭১ মাসে মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়।
-
ফোর্সের নামকরণ করা হয় অধিনায়কদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে।
-
ব্রিগেড ফোর্সের নাম ও অধিনায়করা:
-
‘কে’ ফোর্স: মেজর খালেদ মোশাররফ
-
‘এস’ ফোর্স: মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
-
‘জেড’ ফোর্স: মেজর জিয়াউর রহমান
-
মুক্তিবাহিনী:
-
গঠন: ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই, সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে একত্রিত করে।
-
বিভাগ: নিয়মিত বাহিনী এবং অনিয়মিত বাহিনী; অনিয়মিত বাহিনীকে গণবাহিনী বলা হতো।
-
গণবাহিনী: ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেক্টরে নিয়োগ করা হতো। বাংলাদেশ অভ্যন্তরে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করত।
-
নিয়মিত বাহিনী: ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সৈন্যরা, যারা প্রথাগত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করত।
-
প্রধান সেনাপতি: ১৪ এপ্রিল, কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানী নিযুক্ত হন।
-
হেড কোয়ার্টার: কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে স্থাপিত হয়।

0
Updated: 3 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চুকনগর গণহত্যা সংঘটিত হয় কবে?
Created: 3 weeks ago
A
২০ মে, ১৯৭১
B
১২ জুন, ১৯৭১
C
১২ মে, ১৯৭১
D
০২ জুন, ১৯৭১
চুকনগর গণহত্যা
-
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা।
-
অবস্থান: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর গ্রাম।
-
তারিখ: ১৯৭১ সালের ২০ মে।
-
হামলাকারী: মাত্র এক প্লাটুন পাকিস্তানি সেনা।
-
হত্যার সময়কাল: প্রায় ৪ ঘণ্টা।
-
নিহতের সংখ্যা: আনুমানিক ১২,০০০ নিরীহ মানুষ; প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
-
নিহতদের লাশ ভদ্রা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সঠিক সংখ্যা নিরূপণ সম্ভব হয়নি।
পটভূমি ও ঘটনা:
-
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃহত্তর খুলনার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন বাগেরহাট, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা, মংলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, চালনা, ফরিদপুর, বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে রওনা হন।
-
তারা ট্রানজিট হিসেবে বেছে নেন চুকনগরকে।
-
২০ মে সকাল ১০টায় ৩টি ট্রাকে করে পাকিস্তানি সেনারা চুকনগর বাজারের ঝাউতলায় (পাতখোলা) এসে থামে।
-
দুপুর ৩টা পর্যন্ত তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা চালিয়ে যায়।

0
Updated: 3 weeks ago