মুক্তিযুদ্ধে মেজর এম.এ জলিল কোন সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন?
A
৭নং সেক্টর
B
৬নং সেক্টর
C
৯নং সেক্টর
D
৮নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টর
-
অঞ্চল: বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ
-
হেডকোয়ার্টার: বশিরহাটের নিকটবর্তী টাকি
-
সেক্টর কমান্ডার:
-
প্রাথমিক: মেজর এম.এ জলিল
-
পরে: মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন
-
-
মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: প্রায় ২০,০০০
-
সাব-সেক্টর: টাকি, হিঙ্গলগঞ্জ ও শমসেরনগর
-
ডিসেম্বর মাস: চূড়ান্ত আক্রমণের পূর্বে ৯নং সেক্টরকে ৮নং সেক্টরের সঙ্গে একীভূত করা হয়; দায়িত্ব অর্পিত হয় মেজর মঞ্জুরের উপর
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য সেক্টর কমান্ডার:
-
৭নং সেক্টর: মেজর নাজমুল হক, পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান
-
৬নং সেক্টর: উইং কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার
-
৮নং সেক্টর: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সামরিক আইন জারি করেন কে?
Created: 1 month ago
A
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
B
এ. এম. সয়েম
C
আ. এফ. মোসাদ্দেক
D
খন্দকার মোশতাক আহমদ
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসন
-
ঘটনা: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন।
-
শাসনকাল: প্রায় তিন মাসের জন্য ক্ষমতায় ছিলেন।
-
প্রভাব:
-
মোশতাকের স্বল্পকালীন শাসন বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে।
-
মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় এবং পাকিস্তানের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু হয়।
-
-
সামরিক আইন: ক্ষমতা দখলের মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় মোশতাক স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সামরিক আইন জারি করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬ নং সেক্টরের সদরদপ্তর কোথায় ছিল?
Created: 2 weeks ago
A
হরিণা
B
মেলাঘর
C
বাঁশতলা
D
বুড়িমারি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ব্যবস্থা গঠন করা হয়, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কার্যকর ছিল। প্রতিটি সেক্টরের জন্য সদর দপ্তর ও সেক্টর কমান্ডার নির্ধারিত হয়েছিল।
-
১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালী জেলার পূর্বাঞ্চল। সদরদপ্তর: হরিণা। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রব। সেক্টর কমান্ডার: মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর জেলা এবং নোয়াখালীর অংশ। সদরদপ্তর: মেলাঘর। সেক্টর কমান্ডার: মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এটিএম হায়দার।
-
৩নং সেক্টর: উত্তরে চূড়ামনকাঠি থেকে সিলেট ও দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সিঙ্গারবিল। সদরদপ্তর: হেজামারা। সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এএনএম নুরুজ্জামান।
-
৪নং সেক্টর: সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে কানাইঘাট থানা পর্যন্ত। সদরদপ্তর: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে আসামের মাসিমপুর। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান। সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরাজন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫নং সেক্টর: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) এবং পূর্বসীমা। সদরদপ্তর: বাঁশতলা। সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬নং সেক্টর: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা। সদরদপ্তর: বুড়িমাড়ি। সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খেদেমুল বাশার।
-
৭নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ। সদরদপ্তর: তরঙ্গপুর। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। সেক্টর কমান্ডার: মেজর নজরুল হক, পরে সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
-
৮নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা। সদরদপ্তর: কল্যাণী। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল, নূর মোহাম্মদ শেখ। সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, পরে মেজর এম এ মঞ্জুর।
-
৯নং সেক্টর: বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা এবং খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ। সদরদপ্তর: বশিরহাট। সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম জলিল, পরে মেজর এম এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০নং সেক্টর: সকল নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
-
১১নং সেক্টর: টাঙ্গাইল জেলা এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা। সদরদপ্তর: মহেন্দ্রগঞ্জ। সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম আবু তাহের।

0
Updated: 2 weeks ago
২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
আবুল মনসুর আহমদ
B
আবুল কালাম শামসুদ্দিন
C
মাওলানা আতাহার আলী
D
আবুল কাশেম
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
২১ দফা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
যুক্তফ্রন্ট
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
যুক্তফ্রন্ট ও ২১ দফা কর্মসূচি
-
গঠন: ১৯৫৩ সালে।
-
নির্বাচনী প্রতীক: নৌকা।
-
ইশতেহার: ২১ দফা কর্মসূচি, মুখ্য রচয়িতা: আবুল মনসুর আহমদ।
-
উদ্দেশ্য: গণমানুষের অধিকার নিশ্চিত করা ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।
২১ দফার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
১. বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি।
২. বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি উচ্ছেদ ও ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে জমি বিতরণ।
৩. পাটের ব্যবসায় জাতীয়করণ।
৪. সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন।
৫. পূর্ব পাকিস্তানে লবণ শিল্প প্রতিষ্ঠা।
৬. কারিগর মুহাজিরদের কাজের ব্যবস্থা।
৭. বন্যা ও দুর্ভিক্ষ রোধে খাল খনন ও সেচের ব্যবস্থা।
৮. শিল্প ও খাদ্যে স্বাবলম্বিতা।
৯. অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা।
১০. শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার।
১১. ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত করা।
১২. শাসন ব্যয় হ্রাস ও মন্ত্রীদের বেতন সীমিত করা।
১৩. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা।
১৪. জন নিরাপত্তা আইন ও অর্ডিন্যান্স বাতিল।
১৫. বিচার ও প্রশাসন বিভাগ পৃথকীকরণ।
১৬. মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ‘বর্ধমান হাউস’কে বাংলা ভাষা গবেষণাগারে পরিণত।
১৭. শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ।
১৮. একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ঘোষণা ও সরকারি ছুটি।
১৯. লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন।
২০. আইন পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধি না করা।
২১. শূন্য আসন পূরণের জন্য তিন মাসের মধ্যে উপনির্বাচন।
তথ্যসূত্র: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago