১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস না হওয়ার প্রধান কারণ কী ছিল?
A
ভারতের আপত্তি
B
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটো
C
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
D
চীনের অনুপস্থিতি
উত্তরের বিবরণ
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটো এবং মুক্তিযুদ্ধ (1971)
-
ঘটনা: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন, জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হয়।
-
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা:
-
বাংলাদেশ পক্ষে তিনবার ভেটো প্রদান করে
-
এর ফলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়নি
-
এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে গণ্য হয়
-
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ:
-
বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর প্রেরণ করে
-
-
সোভিয়েত ইউনিয়নের পাল্টা পদক্ষেপ:
-
ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ২০তম নৌবহর ৭ম নৌবহরের প্রতি মনোযোগ রাখে
-
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ৯ম–১০ম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় -
Created: 1 month ago
A
১০ এপ্রিল ১৯৭১
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৭ এপ্রিল ১৯৭১
D
২১ এপ্রিল ১৯৭১
-
মুজিবনগর সরকার
-
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার।
-
গঠন: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল।
-
শপথ গ্রহণ: ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে অনুষ্ঠিত।
-
কার্যক্রম: বাংলাদেশের ভূখণ্ডের বাইরে থেকে পরিচালিত হওয়ায় এটিকে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও বলা হয়।
-
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের বিস্তারিত:
-
পরিচালনা: আবদুল মান্নান এম.এন.এ
-
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ: অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম.এন.এ
-
-
অন্য তথ্য:
-
নবগঠিত সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
-
মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন ১৮ এপ্রিল করা হয়, যদিও সরকার গঠন ও শপথ গ্রহণ ১০ ও ১৭ এপ্রিল সম্পন্ন হয়।
-
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন দিল্লীতে কর্মরত প্রবাসী বাঙালি কূটনীতিক ছিলেন -
Created: 2 weeks ago
A
হোসেন আলী
B
আবুল হাসান মাহমুদ আলী
C
আবুল মাল আব্দুল মুহিত
D
হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী
মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিরা বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তারা কেবল অর্থ ও সামরিক সহায়তাই প্রদান করেননি, বরং আন্তর্জাতিক স্তরে সচেতনতা সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করলে প্রবাসী বাঙালিরা তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের সহায়তায় এগিয়ে আসেন।
-
লন্ডন, নিউইয়র্ক, এবং ওয়াশিংটনসহ বিভিন্ন শহরে বাঙালি সম্প্রদায় সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেন, স্মারকলিপি প্রদান, সংসদ সদস্যদের কাছে ধর্ণা দেন, এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন।
-
লন্ডনে ইউরোপের অন্যান্য প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতেন। লন্ডনে প্রবাসী বাঙালিদের নেতৃত্ব দিতেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
-
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিদেশে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন:
-
কোলকাতার পাকিস্তানী ডেপুটি হাই কমিশনের হোসেন আলী এবং অন্যান্য বাঙালি স্টাফ (১৮.০৪.৭১)
-
নিউইয়র্কে পাকিস্তান কনসুলেট জেনারেলের ভাইস কনসাল আবুল হাসান মাহমুদ আলী (২৬.০৪.৭১)
-
লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাই কমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি মহিউদ্দিন আহমদ (১.০৮.৭১)
-
ওয়াশিংটনে পাকিস্তানী দূতাবাসে ইকনমিক কাউন্সেল পদে কর্মরত আবুল মাল আব্দুল মুহিত (১.০৮.৭১)
-
ইরাকে কর্মরত আবুল ফতেহ (২১.০৮.৭১)
-
দিল্লীতে কর্মরত হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী (৪.১০.৭১)
-
আর্জেন্টিনায় কর্মরত আবদুল মোমিন (১১.১০.৭১)
-
সুইজারল্যান্ডে কর্মরত ওয়ালিউর রহমান (০৩.১১.৭১)
-
-
এই সমস্ত কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও বহুমাত্রিক ভূমিকা পালন করেছেন।

0
Updated: 2 weeks ago
তারামন বিবি কত নং সেক্টর থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
Created: 2 weeks ago
A
১০নং
B
১১নং
C
৮নং
D
৭নং
মুক্তিযুদ্ধে নারী, শিশু ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা মুক্তিযুদ্ধের মানবিক ও সামাজিক ইতিহাসে স্বতন্ত্র স্থান ধারণ করে। নারীরা যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি ত্যাগ ও সহযাত্রার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অবদান রাখেন।
-
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ বীরত্বের জন্য দুই মহিলাকে ‘বীরপ্রতীক’ খেতাব প্রদান করা হয়। তারা হলেন ক্যাপ্টেন ডা. সেতারা বেগম (২নং সেক্টর) এবং তারামন বিবি (১১নং সেক্টর)।
-
খেতাবহীন বীর মহিলা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত কাঁকন বিবি, যিনি সুনামগঞ্জের খাসিয়া সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন; আসল নাম কাঁকাত হেনিনচিতা।
-
কাঁকন বিবিকে ‘মুক্তিবেটি’ নামেও ডাকা হতো।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় তিন লাখ নারী পাক সেনা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হন।
-
এই নারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী হিসেবে অবদান রাখেন এবং তাদের ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

0
Updated: 2 weeks ago