বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর রফিকুল ইসলাম কোন সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন?
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৫নং সেক্টর
D
৭নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধে সেক্টরসমূহ (১–১১)
১নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা ও নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশ
-
হেডকোয়ার্টার: হরিনাতে
-
সেক্টর প্রধান: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম
-
সৈন্যবাহিনী: প্রায় ১০,০০০ মুক্তিযোদ্ধা (২,০০০ নিয়মিত + ৮,০০০ গণবাহিনী)
-
গেরিলা গ্রুপ: ১৩৭টি
২নং সেক্টর
-
অঞ্চল: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নোয়াখালির কিছু অংশ
-
হেডকোয়ার্টার: আগরতলার মেলাঘর
-
সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার
-
বাহিনী: ৪- ইস্টবেঙ্গল, কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর
৩নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চূড়ামনকাঠি থেকে সিলেট, দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান
৪নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে কানাইঘাট থানা পর্যন্ত
-
বাহিনী: সিলেটের ইপিআর + ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব
-
হেডকোয়ার্টার: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে মাসিমপুর (আসাম)
৫নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল)
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী
-
হেডকোয়ার্টার: বাঁশতলা
৬নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও
-
সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার
-
বাহিনী: রংপুর ও দিনাজপুরের ইপিআর
৭নং সেক্টর
-
অঞ্চল: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুরের দক্ষিণাংশ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর নাজমুল হক, পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান
-
বাহিনী: ইপিআর + ক্যাপ্টেন গিয়াস ও রশিদের নেতৃত্বে প্রাথমিক অভিযান
৮নং সেক্টর
-
অঞ্চল: এপ্রিল–কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, পটুয়াখালী; মে শেষে সঙ্কুচিত হয়ে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুরের উত্তরাংশ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর
৯নং সেক্টর
-
অঞ্চল: বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ
-
হেডকোয়ার্টার: বশিরহাটের নিকটবর্তী টাকি
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম.এ জলিল, পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন
১০নং সেক্টর
-
বাহিনী: নৌ-কমান্ডো বাহিনী
-
নিয়মিত কমান্ডার: নেই
-
উদ্যোক্তা: ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি নৌ-কর্মকর্তা
১১নং সেক্টর
-
অঞ্চল: টাঙ্গাইল জেলা ও কিশোরগঞ্জ ব্যতীত ময়মনসিংহ জেলা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম. আবু তাহের; আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণ
-
হেডকোয়ার্টার: মহেন্দ্রগঞ্জ
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কোন সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
৭নং
B
৬নং
C
১০নং
D
১১নং
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন (Bir Sreshtho Ruhul Amin)
-
সেক্টর সংযুক্তি: ১০নং নৌ সেক্টর
-
পদবী: স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার
-
জন্ম: ১৯৩৫, বাঘচাপড়া, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী
-
সেনাবাহিনীতে যোগদান: ১৯৫৩, জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, নৌবাহিনী
-
মুক্তিযুদ্ধ:
-
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে ২নং সেক্টরে যোগদান
-
পরবর্তীতে ১০নং নৌ সেক্টরে যুদ্ধ
-
১০ ডিসেম্বর ১৯৭১, দুপুর ১২টার দিকে রূপসা নদীতে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ; যুদ্ধজাহাজ পলাশ রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর গোলায় নিহত
-
-
সমাধিস্থল: রূপসা ফেরিঘাট, লুকপুর
-
স্মৃতি: জন্মস্থানে নোয়াখালীতে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ রুহুল আমিন স্মৃতি পাঠাগার ও জাদুঘর
স্মারক: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত সাতজন বীরের একজন
সূত্র:
-
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার কোথায় ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
হরিনাতে
B
কলকাতায়
C
কালুরঘাটে
D
বক্সগঞ্জে
মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টর
-
ভৌগোলিক এলাকা: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালী জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা।
-
সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান (১০ এপ্রিল–২৫ জুন), পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর রফিকুল ইসলাম (২৮ জুন–১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)।
-
হেডকোয়ার্টার: হরিনাতে।
-
মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: প্রায় ১০,০০০, যার মধ্যে:
-
নিয়মিত সৈন্য (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী) প্রায় ২,০০০ জন
-
গণবাহিনী প্রায় ৮,০০০ জন
-
-
গেরিলা কার্যক্রম: এই সেক্টরের গেরিলা দলগুলো ১৩৭টি গ্রুপে বিভক্ত করে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়েছিল।

0
Updated: 3 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরিদপুর এবং নোয়াখালি কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
Created: 1 week ago
A
২ নং সেক্টর
B
৩ নং সেক্টর
C
৪ নং সেক্টর
D
৬ নং সেক্টর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের পুরো ভূখণ্ডকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল, যাতে যুদ্ধ পরিচালনা, সংগঠন ও কৌশলগত পরিকল্পনা সহজ হয়। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন একজন সেক্টর কমান্ডার, যিনি নির্দিষ্ট অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিতেন। নিচে ২ নং সেক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো—
২ নং সেক্টরের সাধারণ বিবরণ:
১. অঞ্চলভিত্তিক গঠন: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং নোয়াখালির অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল ২ নং সেক্টর।
২. বাহিনীর গঠন: এ সেক্টরের বাহিনী গঠিত হয় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর (East Pakistan Rifles) সদস্যদের নিয়ে।
৩. সদরদপ্তর: এ সেক্টরের সদরদপ্তর ছিল ভারতের আগরতলার দক্ষিণে মেলাঘরে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম প্রশিক্ষণ ও সমন্বয় কেন্দ্র ছিল।
৪. সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে দায়িত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ, পরবর্তীতে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর এ.টি.এম. হায়দার।
৫. বাহিনীর শক্তি:
-
নিয়মিত বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ হাজার।
-
এ সেক্টরের অধীনে প্রায় ৩৫ হাজার গেরিলা যোদ্ধা যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
৬. সাব-সেক্টর সংখ্যা: মোট ৬টি সাব-সেক্টর ছিল, যেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সামরিক অভিযান পরিচালনা করত।
৭. যুদ্ধের ফলাফল: এ সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযানেই কুমিল্লা ও ফেনীর মধ্যবর্তী ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পাক-বাহিনী সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত হয়, ফলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই এলাকা মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরসমূহ:
-
চট্টগ্রাম: ১ নং সেক্টর
-
ঢাকা: ২ নং সেক্টর
-
রাজশাহী: ৭ নং সেক্টর
-
মুজিবনগর: ৮ নং সেক্টর
-
সুন্দরবন: ৯ নং সেক্টর
সারসংক্ষেপ: ২ নং সেক্টর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধাঞ্চল, যেখানে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একের পর এক সফল অভিযান চালানো হয়। এই সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের মুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

0
Updated: 1 week ago