মুক্তিযুদ্ধকালীন নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিল না কোন সেক্টরে?
A
৭ নং
B
৮ নং
C
১০ নং
D
১১ নং
উত্তরের বিবরণ
১০ নং সেক্টর
-
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরের অধীনে ৬৪টি সাব-সেক্টরে ভাগ করা হয়।
-
১০ নং সেক্টর গঠিত হয় নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে।
-
এই সেক্টরটি ছিল দেশের সমুদ্র এলাকা ও নৌপথ সংরক্ষণের জন্য।
-
বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেন ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আট জন বাঙালি নৌ-কর্মকর্তা।
-
১০ নং সেক্টরে নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডার ছিল না।
-
যখন যে সেক্টর এলাকায় অভিযান পরিচালিত হতো, সেই এলাকার কমান্ডার ১০ নং সেক্টরের দায়িত্ব পালন করতেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে কোন জেলায় সমাহিত করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
যশোর
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
ফেনী
D
সিলেট
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ৭ মার্চ ১৯৪৯ সালে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষা জীবন: ১৯৫৩ সালে পাতারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৬৬ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।
-
সেনা জীবন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ৩রা অক্টোবর ১৫তম শর্ট সার্ভিস কোর্সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালের ২রা জুন তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন।
-
মুক্তিযুদ্ধ: ৭নং সেক্টরের মহোদিপুর সাব-সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি আরগরারহাট, কানসাট, শাহপুর এলাকায় অসামান্য বীরত্ব দেখিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মুক্তাঞ্চল গঠন করেন।
-
চাপাইনবাবগঞ্জ অভিযান: ১২ই ডিসেম্বর তার নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী চাঁপাইনবাবগঞ্জ আক্রমণ করে।
-
শহীদ: ১৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানি বাহিনীর স্নাইপার বুলেটের আঘাতে তিনি শহীদ হন। পরদিন সহযোদ্ধারা তার লাশ উদ্ধার করে শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ চত্বরে সমাহিত করেন।

0
Updated: 2 weeks ago
১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
মেজর মীর শওকত আলী
B
মেজর খালেদ মোশাররফ
C
মেজর জিয়াউর রহমান
D
মেজর কে.এম শফিউল্লাহ
মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারসমূহ (উৎস: বাংলাপিডিয়া)
-
১ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান; পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ; পরে মেজর এ.টি.এম. হায়দার।
-
৩ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ; পরে মেজর এ.এন.এম. নূরুজ্জামান।
-
৪ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত; পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫ নং সেক্টর: মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬ নং সেক্টর: উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার।
-
৭ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর নাজমুল হক; পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর আবু ওসমান চৌধুরী; পরে মেজর এম.এ. মঞ্জুর।
-
৯ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর এম.এ. জলিল; পরে মেজর এম.এ. মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০ নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে গঠিত; এই সেক্টরে কোনো নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বীরপ্রতীক
B
বীরশ্রেষ্ঠ
C
বীরউত্তম
D
বীরবিক্রম
বীরত্বসূচক খেতাব
-
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্য ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার ৬৭৬ জনকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব বা উপাধি প্রদান করে।
বীরত্বসূচক খেতাবসমূহ
-
বীরশ্রেষ্ঠ – সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব, ৭ জনকে প্রদান।
-
বীরউত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ৬৮ জন।
-
বীরবিক্রম – তৃতীয় সর্বোচ্চ, ১৭৫ জন।
-
বীরপ্রতীক – চতুর্থ সর্বোচ্চ, ৪২৬ জন।
উৎস:
১) বাংলাপিডিয়া
২) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

0
Updated: 1 month ago