মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশকে কয়টি সাব সেক্টরে ভাগ করা হয়?
A
১১ টি
B
৩২ টি
C
৬৪ টি
D
৭২ টি
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের সেক্টর ও সাব-সেক্টর বিন্যাস
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে মোট ৬৪টি সাব-সেক্টরে ভাগ করা হয়।
-
১০ এপ্রিল ১৯৭১ অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠিত হয়।
-
এ সরকার প্রথমে দেশকে ৪টি সেক্টরে ভাগ করে।
-
১১ এপ্রিল সেক্টরগুলো পুনর্গঠন করে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
-
এছাড়া তিনটি বিগ্রেড ফোর্স গঠন করা হয় এবং ১১টি সেক্টরকে ৬৪টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
-
১০ নং সেক্টরে কোনও নিয়মিত কমান্ডার ছিলেন না; এটি ছিল মূলত নৌ সেক্টর।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 1 month ago
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে কোথায় সমাহিত করা হয়?
Created: 1 month ago
A
মৌলভীবাজার
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
যশোর
D
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সাধারণ জ্ঞান
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের ঘটনাবলি
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
-
জন্ম: ১৯৪৯, বরিশাল জেলা
-
সেনা: মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত
-
সেক্টর: ৭ নং সেক্টর
-
শহীদ: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১, বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে; বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে সর্বশেষ শহীদ
-
সমাধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট সোনমসজিদ প্রাঙ্গণ
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন কে?
Created: 1 month ago
A
খালেদ মোশাররফ
B
এম. এ. জি. ওসমানী
C
এ. কে. খন্দকার
D
জিয়াউর রহমান
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)
-
১৯৭১ সালের ৬ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর প্রবল আক্রমণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।
-
১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড প্রধান লে. জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্যসহ যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
-
আত্মসমর্পণ দলিলে পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন নিয়াজী এবং যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা।
-
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ.কে. খন্দকার।

0
Updated: 1 month ago
কোন বীরশ্রেষ্ঠের সমাধিস্থল পাকিস্তানের করাচিতে ছিল?
Created: 1 month ago
A
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
B
সিপাহী হামিদুর রহমান
C
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
D
সিপাহী মোস্তফা কামাল
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
-
মর্যাদা: বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা ও অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধি প্রাপ্ত সাতজন বীরের একজন।
-
১৯৭১ সালের ঘটনা:
-
নিয়মিত কাজের আড়ালে তিনি একটি বিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের পরিকল্পনা করেন।
-
২০ আগস্ট ১৯৭১ সকাল ১১:১৫ মিনিটে টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমান (কল সাইন Blue-Bird-166) ছিনতাই করে ভারত অভিমুখে উড্ডয়ন করেন।
-
বিমানে কন্ট্রোলের ধস্তাধস্তির সময় সিন্ধুর বেদিনে বিমান বিধ্বস্ত হয়, এবং উভয়ই শাহাদত বরণ করেন।
-
-
প্রাথমিক সমাধিস্থল: পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে করাচির মাসরুর বিমান ঘাটির ৪র্থ শ্রেণীর কবরস্তানে দাফন করেন।
-
পুনঃসমাহিতকরণ: ২৪ জুন ২০০৬, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দেহাবশেষ পুনঃসমাহিত করা হয়।
অন্যান্য বীরশ্রেষ্ঠদের সমাধিস্থল
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে।
-
সিপাহী হামিদুর রহমান:
-
প্রাথমিক সমাধিস্থল: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হাতিমেরছড়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থান।
-
পরে, ১১ ডিসেম্বর ২০০৭, দেহাবশেষ বাংলাদেশে এনে ঢাকার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনঃদাফন।
-
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দরুইন গ্রামে।
উৎস: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

0
Updated: 1 month ago