১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ”চরমপত্র” পাঠ করতেন কে?
A
সিকান্দার আবু জাফর
B
মাহবুবুল আলম
C
এম. আর. আখতার মুকুল
D
গাজী মাজহারুল ইসলাম
উত্তরের বিবরণ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র
-
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই প্রবাসী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র।
-
এর প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়।
-
১৯৭১-এর ৩০ মার্চ, পাকিস্তান বিমান বাহিনী কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালায়, ফলে এটি অচল হয়ে যায়।
-
২৫ মে কেন্দ্রটি কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় এবং একই দিনে সেখানে কার্যক্রম শুরু হয়।
-
স্বাধীন বাংলা বেতারের অত্যন্ত জনপ্রিয় দুটি অনুষ্ঠান ছিল:
-
চরমপত্র – পরিকল্পনা করেন আবদুল মান্নান; উপস্থাপক ছিলেন এম.আর. আখতার মুকুল।
-
জল্লাদের দরবার – জেনারেল ইয়াহিয়া খানের অমানবিক চরিত্র ও পাশবিক আচরণকে তুলে ধরা হতো।
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী কোথায় আত্মসমর্পণ করে?
Created: 1 month ago
A
চন্দ্রিমা উদ্যানে
B
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে
C
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
D
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১)
-
স্থান: তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
-
ঘটনা: পাকিস্তান বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্যসহ যৌথ বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করেন।
-
যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর: লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা।
-
বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন: ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার।
-
ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন: কাদের সিদ্দিকী।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
ডা. সেতারা বেগম কত নং সেক্টর থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
Created: 1 month ago
A
১ নং
B
২ নং
C
৩ নং
D
৪ নং
সাধারণ জ্ঞান
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের ঘটনাবলি
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
মুক্তিযুদ্ধে নারী, শিশু ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী
-
নারীদের অবদান ও স্বীকৃতি: মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দু’জন মহিলাকে বীরত্বসূচক খেতাব ‘বীরপ্রতীক’ প্রদান করা হয়।
-
ক্যাপ্টেন ডা. সেতারা বেগম – ২নং সেক্টর
-
তারামন বিবি – ১১নং সেক্টর
-
-
খেতাবহীন বীর নারী: সুনামগঞ্জের খাসিয়া সম্প্রদায়ের কাঁকন বিবি, যার আসল নাম কাঁকাত হেনিনচিতা, ‘মুক্তিবেটি’ নামে পরিচিত ছিলেন।
-
নারীর উপর নির্যাতন ও ত্যাগ: মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রায় তিন লাখ নারী ধর্ষিত হন।
-
বীরাঙ্গনা উপাধি: এই নারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী হিসেবে ভূমিকা পালন করায় তাদের ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম ও দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান
B
মেজর এম. আবু তাহের
C
মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত
D
মেজর নাজমুল হক
⇒ ১১ নং সেক্টর:
- টাঙ্গাইল জেলা এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা নিয়ে গঠিত।
- সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম. আবু তাহের।
- মেজর তাহের যুদ্ধে গুরুতর আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহকে সেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়।
- মহেন্দ্রগঞ্জ ছিল এই সেক্টরের হেডকোয়ার্টার।
উল্লেখ্য:
- ১নং সেক্টর: সেক্টর প্রধান ছিলেন প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান এবং পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
- ২ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ এবং পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
- ৩ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর কে.এম শফিউল্লাহ এবং পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
- ৪নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত এবং পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
- ৫ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী।
- ৬ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার।
- ৭ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর নাজমুল হক এবং পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
- ৮ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর।
- ৯ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম.এ জলিল এবং পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
- ১০ নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে এই সেক্টর গঠিত হয়। এই সেক্টরের নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।
তথ্যসূত্র - বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago