'রতন' কোন ছোটগল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র?
A
ক্ষুধিত পাষাণ
B
ডাকঘর
C
পোস্টমাস্টার
D
সমাপ্তি
উত্তরের বিবরণ
‘পোস্টমাস্টার’ ছোটগল্প
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রারম্ভিক ছোটগল্পগুলোর একটি।
-
গল্পে একটি স্বজনহারা নিঃসহায় গ্রাম্য বালিকা এর স্নেহালোলুপ হৃদয় ও আসন্ন স্নেহবিচ্যুতির আশঙ্কা গল্পের শেষাংশে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
এই আবেগ পাঠকের হৃদয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুরণিত হয়।
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র: রতন।
অন্য ছোটগল্পের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ
-
সমাপ্তি → মৃন্ময়ী
-
শাস্তি → চন্দরা
-
ক্ষুধিত পাষাণ → মেহের আলি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
'হায়! জীবন এতো ছোট ক্যানে? এই ভুবনে'- বিখ্যাত সংলাপটি কোন উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 6 days ago
A
কালিন্দী
B
কবি
C
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
D
আরগ্য নিকেতন
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যেখানে কবিত্ব, প্রেম, সমাজ ও মানবজীবনের সীমা-অসীমতার সংঘাত একসাথে রূপ পেয়েছে। এই উপন্যাসে লেখক একজন প্রান্তিক মানুষের শিল্পীসত্তা ও তার জীবনের বেদনাকে গভীর মানবিক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
‘কবি’ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র নিতাইচরণ, এক ডোম সম্প্রদায়ের যুবক, যার অন্তর্নিহিত কবিসত্তাই উপন্যাসের মূল বিষয়।
-
গল্পটি এক নিম্নবর্ণের মানুষ কীভাবে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ও সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে চায়, সেই সংগ্রামকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
-
নিতাইচরণের জীবনে দুটি নারী আসে—কমলা ও কুন্তলা, যাদের মাধ্যমে প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের বহুমাত্রিক দিকগুলো ফুটে ওঠে।
-
উপন্যাসে শিল্পী ও সমাজের দ্বন্দ্ব, প্রেম ও দায়িত্ববোধের সংঘাত, এবং মানুষের আত্মপ্রতিষ্ঠার তীব্র আকাঙ্ক্ষা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
উপন্যাসের অন্যতম বিখ্যাত সংলাপটি—
“এই খেদ আমার মনে, ভালবেসে মিটলোনা সাধ, কুলালোনা এই জীবনে। হায়! জীবন এত ছোট কেনে? এই ভুবনে।”
—এই সংলাপ নিতাইচরণের আত্মকথন, যেখানে তাঁর অপূর্ণ ভালোবাসা ও জীবনের সীমাবদ্ধতার গভীর বোধ প্রকাশ পেয়েছে। -
তারাশঙ্কর এই উপন্যাসে সমাজের প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠকে কেন্দ্র করে মানবিকতার এক সার্বজনীন রূপ তুলে ধরেছেন।
-
ভাষা ও বর্ণনা কাব্যিক, সংলাপগুলো আবেগপূর্ণ, যা উপন্যাসটিকে বাংলা কথাসাহিত্যে এক ক্লাসিক মর্যাদায় আসীন করেছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৮ সালে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার এক জমিদার পরিবারে।
-
তাঁর প্রথম গল্প ‘রসকলি’, যা সেকালের প্রসিদ্ধ পত্রিকা ‘কল্লোল’-এ প্রকাশিত হয়।
-
তাঁর লেখায় গ্রামীণ সমাজ, প্রান্তিক মানুষের জীবনসংগ্রাম, নৈতিক দ্বন্দ্ব ও মানবিক বোধ গভীরভাবে প্রতিফলিত।
প্রধান উপন্যাসসমূহ:
-
চৈতালি ঘূর্ণি
-
ধাত্রীদেবতা
-
কালিন্দী
-
কবি
-
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
-
গণদেবতা
-
আরগ্য নিকেতন
-
পঞ্চপুণ্ডলী
-
রাধা
ত্রয়ী উপন্যাস:
-
ধাত্রীদেবতা
-
গণদেবতা
-
পঞ্চগ্রাম
প্রসিদ্ধ ছোটগল্প:
-
রসকলি
-
বেদেনী
-
ডাকহরকরা
‘কবি’ উপন্যাসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন—কবিত্ব কোনো সামাজিক অবস্থানের সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং তা মানবমনের অন্তর্গত এক অনন্ত স্রোত, যা জীবন, প্রেম ও মৃত্যুর সীমা অতিক্রম করে মানুষকে অমর করে তোলে।

0
Updated: 6 days ago
'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা নয় কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সিন্দবাদ
B
পাঞ্জেরী
C
মহরম
D
আউলাদ
ফররুখ আহমদ মুসলিম জাগরণের এক প্রভাবশালী কবি, যিনি তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেন। এই কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালে, এবং এতে মোট ১৯টি কবিতা সংকলিত আছে। গ্রন্থটির শেষ কবিতাটির নামও ‘সাত সাগরের মাঝি’।
কবিতাগুলো হলো
-
সিন্দবাদ
-
বা'র দরিয়ায়
-
দরিয়ায় শেষ রাত্রি
-
শাহরিয়ার
-
আকাশ-নাবিক
-
বন্দরে সন্ধ্যা
-
ঝরোকা’য়
-
ডাহুক
-
এই সব রাত্রি
-
পুরানো মাজারে
-
পাঞ্জেরী
-
স্বর্ণ-ঈগল
-
লাশ
-
তুফান
-
হে নিশান-বাহী!
-
নিশান
-
নিশান-বরদার
-
আউলাদ
-
সাত সাগরের মাঝি
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি, যিনি ইসলামী চেতনা, মানবতা এবং সামাজিক পরিবর্তনের বার্তা তাঁর কবিতায় তুলে ধরেছেন। ১৯৪৪ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘লাশ’ কবিতার মাধ্যমে তিনি প্রথম সাহিত্যজগতে খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি তাঁর বিখ্যাত কাহিনি কাব্য ‘হাতেমতায়ী’-এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার পান এবং একই বছরে ‘পাখির বাসা’ শিশুতোষ গ্রন্থের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
ফররুখ আহমদ রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুর কাহিনী

0
Updated: 2 weeks ago
'লালসালু' উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৯৪০ সালে
B
১৯৪১ সালে
C
১৯৫৮ সালে
D
১৯৪৮ সালে
'লালসালু' উপন্যাসটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর রচিত একটি কালজয়ী সাহিত্যকর্ম, যা ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ধর্ম, সমাজচেতনা ও নারী জাগরণের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থকারীদের স্বরূপ উন্মোচন করে। উপন্যাসটি ইংরেজিতে Tree Without Roots (১৯৬৭) নামে অনূদিত হয়েছে।
-
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য: বহুমাত্রিক ও কালোত্তীর্ণ।
-
মূল বিষয়: ধর্ম, ব্যক্তি স্বার্থ, নারী জাগরণ ও সমাজচেতনা।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: মজিদ, জমিল, আমেন, খালেক ব্যাপার, রহিম, আক্কা, তাহেরের বাপ, হাসুনির মা ইত্যাদি।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ:
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার।
-
জন্ম: ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট, চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকা।
-
প্রথম উপন্যাস: লালসালু।
উপন্যাসসমূহ:
-
কাঁদো নদী কাঁদো
-
লালসালু
-
চাঁদের অমাবস্যা
নাটকসমূহ:
-
বহিপীর
-
তরঙ্গভঙ্গ
-
সুড়ঙ্গ
-
উজানে মৃত্যু

0
Updated: 2 weeks ago