বাংলা নাটক প্রথম অভিনীত হয় কত সালে?
A
১৭৯৫ সালে
B
১৭৯০ সালে
C
১৭৯৮ সালে
D
১৮৯৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলা নাটকের উৎস ও বিকাশ
-
আঠারো শতকের শেষদিকে নেপালে বাংলা নাটক রচিত ও অভিনীত হয়।
-
তবে বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে এসব নাটক কেবল কৌতূহল সৃষ্টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, অন্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।
-
বাংলা নাটকের প্রথম অভিনয় অনুষ্ঠিত হয় ১৭৯৫ সালে।
-
রুশদেশীয় আগন্তুক হেরাসিম লেবেডফ কলকাতায় প্রথম ‘বেঙ্গল থিয়েটার’ নামে একটি রঙ্গালয় স্থাপন করেন।
-
তিনি The Disguise ও Love is the best Doctor নাটকগুলো বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে এদেশীয় অভিনেতাদের দ্বারা অভিনয় করান।
-
এতে ভারতচন্দ্র রচিত গান সংযোজিত ছিল।
-
১৮৩১ সালে প্রসন্নকুমার ঠাকুর কলকাতায় ‘হিন্দু থিয়েটার’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা প্রথম বাংলা নাট্যাভিনয়ের উপযোগী রঙ্গমঞ্চ।
-
সেখানে ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যের বিদ্যাসুন্দর অংশের নাট্যরূপ* অভিনীত হয়।
-
বাংলা মৌলিক নাটক রচনার সূচনা ঘটে ১৮৫২ সালে।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
মুসলমান নাট্যকার রচিত প্রথম নাটক হিসেবে নির্দেশ করা হয় কোন নাটক কে?
Created: 6 days ago
A
বসন্তকুমারী
B
পদ্মাবতী
C
অশ্রুমতী
D
মালতী-মাধব
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে মীর মশাররফ হোসেন একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি মুসলমান সমাজের প্রথম দিকের নাট্যকারদের অন্যতম, যিনি সামাজিক ও পারিবারিক বাস্তবতাকে নাটকের আঙ্গিকে উপস্থাপন করেন। তাঁর রচিত ‘বসন্তকুমারী’ নাটকটি বাংলা নাট্যজগতে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘বসন্তকুমারী’ নাটকটি রচনা করেন মীর মশাররফ হোসেন।
-
নাটকটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে।
-
এটি মুসলমান নাট্যকার রচিত প্রথম বাংলা নাটক হিসেবে স্বীকৃত।
-
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’।
-
কাহিনিতে দেখা যায়—ইন্দ্রপুরের বিপত্নীক রাজা বৃদ্ধ বয়সে এক যুবতী স্ত্রী গ্রহণ করেন। পরে সেই যুবতী বিমাতা রাজপুত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে প্রেম নিবেদন করেন। রাজপুত্র তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বিমাতা ষড়যন্ত্র করে রাজপরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়, যার ফলে পরিণতিতে সবাই মৃত্যুবরণ করে।
-
এই নাটকে প্রেম, নৈতিকতা ও সামাজিক বিপর্যয়—এই তিনটি দিক গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে।
-
মীর মশাররফ হোসেনের দ্বিতীয় নাটক ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩) সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সাহিত্য হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে:
-
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন নাটক ‘অশ্রুমতী’ এবং অনুবাদ নাটক ‘মালতী-মাধব’।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেন নাটক ‘পদ্মাবতী’।

0
Updated: 6 days ago
'আমাদের সংস্কৃতি' প্রবন্ধের রচয়িতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
আবু জাফর শামসুদ্দিন
B
আনিসুজ্জামান
C
আবুল হাসান
D
মুহাম্মদ এনামুল হক
‘আমাদের সংস্কৃতি’ আনিসুজ্জামান রচিত একটি প্রবন্ধ, যা বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের উৎসব’ (২০০৮) গ্রন্থ থেকে সংকলিত। প্রবন্ধটিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাঙালির জীবনচেতনাকে কেন্দ্র করে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে উঠে এসেছে, কীভাবে আদিকাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত বাংলার সংস্কৃতিতে বিশ্বের নানা জাতির প্রভাব মিলিত হয়েছে এবং তা আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ ও বহুমাত্রিক করেছে। সেই সঙ্গে প্রবন্ধে জোর দেওয়া হয়েছে বাংলার প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আমাদের সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য ও লোকসংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়। প্রবন্ধে সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা, মাটির ভাস্কর্য, কারুশিল্প ও বয়ন শিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। মূলত প্রবন্ধটি বাঙালি ও বাংলা অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, লোকসংস্কৃতি, মানবিকতাবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বিদ্রোহী ভাবনা সম্পর্কে পাঠককে সচেতন করে।
আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শুরু হয় ঢাকার প্রিয়নাথ হাইস্কুল থেকে এবং পরবর্তীতে তিনি জগন্নাথ কলেজ থেকে আই.এ. এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসেবে তাঁর অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। সাহিত্য ও গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদকসহ বহু সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ২০২০ সালের ১৪ মে মৃত্যুবরণ করেন।
আনিসুজ্জামানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ
-
মুসলিম বাংলার সাময়িক পত্র
-
স্বরূপের সন্ধানে
-
আঠারো শতকের বাংলা চিঠি
-
পুরোনো বাংলা গদ্য

0
Updated: 2 weeks ago
কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
Created: 3 months ago
A
মৃত্যুক্ষুধা
B
আলেয়া
C
ঝিলিমিলি
D
মধুমালা
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা।
- মৃত্যুক্ষুধা ।
- কুহেলিকা।
• 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাস:
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে।
- নারী জীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা এবং সমাজের বাস্তবচিত্র এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।
- দারিদ্য, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সপরিবারে মেজ-বৌয়ের মুসলিম থেকে খ্রিষ্ট ধর্মান্তর গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে ওঠে গল্পে। অন্যদিকে গল্পের নায়কা রুবি আনসারকে ভালোবাসালেও রুবির পিতা তাকে বিয়ে দেয় আইসিএস পরীক্ষার্থী মোয়াজ্জেমের সঙ্গে। মোয়াজ্জেমের মৃত্যুর পর বিধবা রুবির জীবনে নেমে আসে সমাজের বিধিনিষেধ।
• ‘বাঁধন-হারা' উপন্যাস:
• কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস ‘বাঁধন-হারা' (১৯২৭)।
- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস।
- এতে ১৮টি পত্র রয়েছে।
- কাজী নজরুল ইসলাম করাচীতে অবস্থানকালে ‘বাধন-হারা' উপন্যাস রচনা শুরু করেন।
- এটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসের নায়ক নুরুল হুদা।
- অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে - রবিউল, রাবেয়া, সােফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ।
• 'কুহেলিকা' উপন্যাস:
- ১৯৩৪ বঙ্গাব্দে 'নওরোজ' পত্রিকায় 'কুহেলিকা' উপন্যাস প্রকাশ আরম্ভ হয়।
- গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশ পায় ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে(১৯৩১)।
- এ উপন্যাসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এসেছে অত্যন্ত বড় ক্যানভাসে।
- কুহেলিকা উপন্যাসের নায়ক জাহাঙ্গীর।
- এই উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি, ''ইহারা মায়াবিনীর জাত। ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে। ইহারা গহন পথের কণ্টক, রাজপথের দস্যু।''
অন্যদিকে,
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত তাঁর রচিত গীতিনাট্য: আলেয়া, মধুমালা।
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত তিনটি ছোট নাটকের গ্রন্থ হচ্ছে ঝিলিমিলি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর , বাংলাপিডিয়া মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago