A
রামায়ণ তর্করত্ন
B
গোবিন্দচন্দ্র দাস
C
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
D
গিরিশচন্দ্র সেন
উত্তরের বিবরণ
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ (১৮৪৪–১৯১২) বাংলা নাটকের সমৃদ্ধি সাধনে অসাধারণ অবদান রেখেছেন।
-
যশস্বী অভিনেতা এবং প্রতিভাশালী নাট্যকার—এই যুগ্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে তিনি পচাঁত্তরখানি সমাপ্ত নাটক এবং চারখানি অসমাপ্ত প্রহসন রচনা করেছেন।
-
তাঁর প্রধান ও সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠা হলো ‘নটগুরু’ হিসেবে।
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাটকগুলিতে তিনি নিজে উদ্ভাবিত ‘গৈরিশ ছন্দ’ ব্যবহার করেছেন, যা যথেষ্ট সার্থকতা অর্জন করেছে। এর উদ্দেশ্য ছিল অভিনয়ে উপযোগী ভাষা সৃষ্টি।
-
এই ছন্দের প্রভাব পরবর্তীকালের নাট্যকারদের ওপরও লক্ষণীয়। ভক্তিমূলক পৌরাণিক নাটকের ক্ষেত্রেও তাঁর প্রভাব অস্বীকার্য।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 week ago
'আনন্দমঠ' উপন্যাসের লেখক কে?
Created: 4 weeks ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়
C
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
আনন্দমোহন বাগচী
‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৮৮২ সালে।
-
এই উপন্যাসের পটভূমি ১৭৭০ সালের ছিয়াত্তরের মন্বন্তর এবং সন্ন্যাসী বিদ্রোহ।
-
মূল বিষয়: দেশভক্তি, জাতিপ্রেম ও হিন্দুধর্মে বিশ্বাস।
-
এখানে ‘স্বদেশ’ বলতে বোঝানো হয়েছে বঙ্গভূমিকে এবং ‘ধর্ম’ বলতে বোঝানো হয়েছে হিন্দু ধর্মকে।
-
উপন্যাসে উল্লেখিত ‘বন্দে মাতরম্’ গানটি ইংরেজবিরোধী আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে ওঠে।
-
এটি ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়, তবে এর ঘটনা কল্পিত হলেও বিশ্বাসযোগ্য এবং চরিত্রগুলো আদর্শায়িত।
-
গ্রামীণ জীবনের চিত্র ও মন্বন্তরের বর্ণনা বাস্তবধর্মী।
-
কাহিনিতে প্রেম ও আদর্শের সংঘাত উপন্যাসকে গভীরতা দিয়েছে।
-
‘বন্দে মাতরম্’ গানটি পরে became একটি উদ্দীপক দেশাত্মবোধক স্লোগান।
-
উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ করেন:
-
নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত (The Abbey of Bliss, 1907)
-
শ্রী অরবিন্দ (Ananda Math, 1910)
-
-
এটি একটি বাস্তবধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস।
-
এই রচনায় বঙ্কিমচন্দ্রের স্বসম্প্রদায়প্রীতি বা নিজের ধর্ম ও জাতির প্রতি পক্ষপাত লক্ষ্য করা যায়।
● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
তিনি ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ।
-
জন্ম: ১৮৩৮ সাল, চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
-
তাঁর প্রথম উপন্যাস: Rajmohan’s Wife (ইংরেজিতে লেখা)।
-
প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
-
তাঁর রচিত বিখ্যাত ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, ও সীতারাম।
● বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসসমূহ
-
দুর্গেশনন্দিনী
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 weeks ago
"লাফ > ফাল" কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 2 days ago
A
ব্যঞ্জন বিকৃতি
B
ধ্বনি বিপর্যয়
C
অন্তর্হতি
D
অভিশ্রুতি
ধ্বনি বিপর্যয়
সংজ্ঞা:
কোনো শব্দের ভেতরে দুটি ব্যঞ্জনের স্থান-বদল ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলা হয়। অর্থাৎ শব্দে ধ্বনির ক্রমে পরিবর্তন হয়ে যায়।
উদাহরণসমূহ
-
পিশাচ → পিচাশ
-
লাফ → ফাল
-
বাক্স → বাস্ক
-
রিক্সা → রিস্কা
অর্থাৎ, ধ্বনি বিপর্যয়ে শব্দের ধ্বনি বিন্যাসে বর্ণগুলোর স্থান অদল-বদল হয়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 days ago
প্রদীপ নিবিয়া গেল!'-এ বিখ্যাত বর্ণনা কোন উপন্যাসের?
Created: 4 days ago
A
বঙ্কিমচন্দ্রের 'বিষবৃক্ষ
B
রবীন্দ্রনাথের 'চোখের বালি'
C
বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা
D
রবীন্দ্রনাথের ‘যোগাযোগ’
‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস
-
প্রকাশকাল ও বৈশিষ্ট্য:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’ প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে। রহস্যময় আবহ ও গভীর ভাবসম্প্রক্তির কারণে একে রোমান্সধর্মী উপন্যাস বলা হয়। -
কাহিনি সংক্ষেপ:
অরণ্যে এক কাপালিকের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা কন্যা কপালকুণ্ডলা। সমাজজীবন ও সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিত এই কন্যার সঙ্গে নবকুমারের বিবাহকে কেন্দ্র করেই কাহিনি গড়ে ওঠে। কিন্তু সমাজজীবনের সঙ্গে কপালকুণ্ডলার অমিল ও দ্বন্দ্বই গল্পকে নিয়ে যায় করুণ পরিণতির দিকে। -
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য:
কাহিনিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলের আগ্রার স্থাপত্য ও নগরজীবন, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্রের রহস্যময় পরিবেশ। প্রকৃতির সৌন্দর্য, কপালকুণ্ডলার রহস্যময় চরিত্র, এবং ট্র্যাজিক সমাপ্তিই এই উপন্যাসকে বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। -
জনপ্রিয়তা:
বঙ্কিমচন্দ্র জীবিত থাকতেই এ উপন্যাসের আটবার সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। অনেক সমালোচকের মতে, এটি তাঁর সেরা উপন্যাসগুলির একটি। -
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
-
-
বিখ্যাত উক্তি:
-
“পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ।” — কপালকুণ্ডলার নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে বলা সংলাপ।
-
“তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?”
-
“প্রদীপ নিবিয়া গেল।”
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলা উপন্যাস।

0
Updated: 4 days ago