Laputa অধ্যায়ে Swift বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের ব্যঙ্গ করেছেন, যারা বাস্তব জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা অদ্ভুত সব পরীক্ষা চালায়—যেমন শসা থেকে সূর্যের আলো বের করা বা বরফ থেকে আগুন তৈরি করা। এগুলো কোনো বাস্তব কাজে লাগে না, কিন্তু তারা গর্বের সঙ্গে গবেষণা চালিয়ে যায়।

এটি আসলে সমকালীন Royal Society এবং বৈজ্ঞানিক চর্চার প্রতি Swift-এর সমালোচনা। তিনি মনে করতেন, বিজ্ঞান যদি মানুষের জীবনের উন্নতিতে কাজে না লাগে, তবে তা অর্থহীন। অতিরিক্ত তত্ত্ব আর অকার্যকর গবেষণা সমাজের উপকার করে না, বরং সময় ও শ্রম নষ্ট করে।

অতএব, Laputa অধ্যায়ে মূল ব্যঙ্গ হলো—অহংকারী জ্ঞানী সমাজ, যারা বাস্তবতা ভুলে কেবল বিমূর্ত তত্ত্বে ডুবে থাকে।

লাপুটার মানুষরা তাদের পোশাকে সূর্য, চাঁদ, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদির ছবি আঁকত। এগুলো তাদের চিন্তার জগতকে প্রকাশ করত। এতে বোঝা যায় তারা শুধু আকাশ আর সঙ্গীতেই ডুবে থাকত, বাস্তব জীবনে তাদের তেমন আগ্রহ ছিল না।

লিলিপুটে কর্মকর্তারা পদোন্নতির জন্য সম্রাটের সামনে দড়ির ওপর নাচ দেখাত। যারা ভালোভাবে ব্যালান্স করতে পারত, তারাই উচ্চ পদ পেত। এটি আসলে ব্যঙ্গ—রাজনীতিতে দক্ষতার চেয়ে তোষামোদ, চাটুকারিতা ও অনৈতিকতা দিয়েই সাফল্য পাওয়া যায়।