A
দুই খণ্ড মেঘ পরস্পর সংঘর্ষে এলে
B
মেঘের অসংখ্য পানি ও বরফ কণার মধ্যে চার্জ সঞ্চিত হলে
C
মেঘে বিদ্যুৎ পরিবাহী কোষ তৈরি হলে
D
মেঘ বিদ্যুৎ পরিবাহী অবস্থায় এলে
উত্তরের বিবরণ
আকাশে মেঘ জমে উঠলে জলীয় বাষ্প উপরের দিকে উঠে যায়। এই বাষ্প ঘর্ষণের ফলে কিছু ইলেকট্রন আলাদা হয়ে গিয়ে নিচের দিকে থাকা মেঘে জমা হয়। ফলে নিচের মেঘে নেগেটিভ চার্জ এবং উপরের মেঘে তুলনামূলকভাবে পজিটিভ চার্জ তৈরি হয়।
মেঘের মধ্যে যখন বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক চার্জ জমা হয়, তখন তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য হঠাৎ এক ধরনের বড় স্পার্ক তৈরি করে—এই ঘটনাকেই আমরা বিজলি চমকানো বলি।
কখনো কখনো মেঘে এত বেশি চার্জ জমে যায় যে তা বাতাসকে আয়নিত করে মাটির দিকে ধেয়ে আসে, আর এই ভয়ংকর ঘটনাকে বলে বজ্রপাত। এসময় মেঘ থেকে পৃথিবীতে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক চার্জ নেমে আসে।
বাতাসের মধ্য দিয়ে চলার সময় এই চার্জ বাতাসকে আয়নিত করে প্রচণ্ড তাপ, আলো ও শব্দ সৃষ্টি করে। যেখানে এই চার্জ পৌঁছে, সেখানে গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।
বজ্রপাতের সময় লক্ষ অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় এবং তাপমাত্রা ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছায়—যা সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রার চেয়েও বেশি। এই প্রচণ্ড তাপের জন্যই আমরা নীলচে সাদা আলোর ঝলক দেখি।
বজ্রপাতের শব্দ আসলে এক ধরনের শকওয়েভ। যদিও আলো ও শব্দ একসাথে সৃষ্টি হয়, তবুও আলোর গতি বেশি হওয়ায় আমরা প্রথমে ঝলক দেখি এবং পরে শব্দ শুনতে পাই।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago