যশোর জেলায় অবস্থিত বিল-
A
হাইল
B
পাথরচাওলি
C
ভবদহ
D
আড়িয়াল
উত্তরের বিবরণ
ভবদহ বিল – যশোর জেলায়
ভবদহ বিল বাংলাদেশের যশোর জেলায় অবস্থিত।
যশোর জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
যশোর জেলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ১৭৮৬ সালে, অর্থাৎ প্রায় দুইশত বছর আগে।
-
ইতিহাসে যশোরের শাসকদের মধ্যে মহারাজ বিক্রমমাদিত্য, রাজা প্রতাপাদিত্য ও রাজা সীতারাম রায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
১৮৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের গঠন ও পুনর্বিন্যাস ক্রমাগত চলতে থাকে।
-
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য যশোরকে ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল যশোর থেকেই।
ভূগোল ও নদী:
-
যশোর এক ধরণের মৃতপ্রায় ব-দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।
-
জেলার প্রধান নদীসমূহ: ভৈরব, চিত্রা, কপোতাক্ষ, হরিহর, দাদরা, বেত্রাবতী, কোদলা ও ইছামতি।
বিল সমূহ:
-
যশোরের গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে ভবদহ, জলেশ্বর, বকর ও হরিণা।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্ কখন বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন?
Created: 1 month ago
A
১৪৯৮-১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে
B
১৪৯৮-১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে
C
১৪৯৮-১৫১৮ খ্রিস্টাব্দে
D
১৪৯৮-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
বাংলাদেশের ইতিহাসে হুসেন শাহি যুগের শ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বিশেষভাবে স্মরণীয়।
-
তিনি সৈয়দ হোসেন হাবসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ‘আলাউদ্দিন হুসেন শাহ’ উপাধি গ্রহণ করেন।
-
তাঁর পূর্বপুরুষ আরব দেশের সৈয়দ বংশের লোক ছিলেন।
-
শাসনকাল ছিল ১৪৯৮ থেকে ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
-
শাসনামলে ন্যায়নীতি, উন্নয়ন ও ধর্মীয় সহনশীলতার কারণে তাঁকে বাংলার “আকবর” বলা হয়।
-
এই সময়ে শ্রীচৈতন্যদেব তাঁর বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার আন্দোলন পরিচালনা করেন।
-
সুলতানের সমাধি বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকায়, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ছোট সোনা মসজিদের প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
যে জেলায় হাজংদের বসবাস নেই-
Created: 1 month ago
A
শেরপুর
B
ময়মনসিংহ
C
সিলেট
D
নেত্রকোনা
হাজং
-
হাজং বাংলাদেশে একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
এরা মূলত ময়মনসিংহ জেলের পর্বতময় এলাকায় বসবাস করে। এছাড়াও শেরপুর, সিলেট ও নেত্রকোনা অঞ্চলেও হাজং জনগোষ্ঠীর কিছু পরিবার রয়েছে।
-
নৃবিজ্ঞানীদের মতে, হাজংদের আদি নিবাস উত্তর বার্মা।
-
বাংলাদেশের হাজংদের প্রধান ভাষা হলো বাংলা। তবে এদের নিজস্ব ভাষাও রয়েছে।
-
হাজং ভাষার জন্য কোনো নিজস্ব বর্ণমালা নেই; লিখনের জন্য তারা অসমীয়া বর্ণমালা ব্যবহার করে।
-
হাজংরা সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং তাদের সমাজ পিতৃতান্ত্রিক।
নৃগোষ্ঠি সনদ অনুযায়ী
-
হাজং বাংলাদেশ ও ভারতের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
বাংলাদেশে এরা নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় বসবাস করে।
-
দেশের অন্য কোথাও এদের বসবাসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
-
বর্তমানে বাংলাদেশে হাজংদের সংখ্যা প্রায় ৩,০০০ জন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে রোপা আমন ধান কাটা হয়-
Created: 1 month ago
A
আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে
B
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
C
অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে
D
মাঘ-ফাল্গুন
বাংলাদেশে ধানের মৌসুমভিত্তিক চাষ ও কাটার সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়।
আমন ধান
-
আমন ধান দুই প্রকার – রোপা আমন ও বোনা আমন।
-
রোপা আমন হলো সেই ধান, যেখানে আগে আলাদা জমিতে চারা তৈরি করা হয়, পরে তা মূল জমিতে রোপণ করে ধান উৎপন্ন করা হয়।
-
রোপা আমনের বীজ বপন করা হয় আষাঢ় মাসে, আর মূল জমিতে চারা রোপণ হয় শ্রাবণ থেকে ভাদ্র মাসে।
-
সাধারণত রোপা আমন ধান কাটা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে (ডিসেম্বর – জানুয়ারির শুরুতে)।
আউশ ধান
-
আউশ ধান রোপণ করা হয় মধ্য মার্চ থেকে মধ্য এপ্রিলের মধ্যে।
-
এটি কাটা হয় মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত।
বোরো ধান
-
বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয় মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারির মধ্যে।
-
এটি উত্তোলন করা হয় এপ্রিল থেকে মে মাসে।
অর্থাৎ, বাংলাদেশে বছরে মূলত তিন মৌসুমে ধান চাষ হয় – আউশ, আমন ও বোরো।
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস ওয়েবসাইট; কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২১ (বিবিএস)।

0
Updated: 1 month ago