বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিন কন্যা' এর চিত্রকর কে?
A
জয়নুল আবেদিন
B
কামরুল হাসান
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
উত্তরের বিবরণ
কামরুল হাসান – প্রখ্যাত বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী
-
কামরুল হাসান ছিলেন একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, যিনি ‘পটুয়া’ নামেও পরিচিত।
-
১৯৪৮ সালে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে মিলিত হয়ে ঢাকায় একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
-
১৯৬০ সালে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রের প্রধান নকশাবিদ হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
তাঁর চিত্রকর্মের মূল উপাদান হলো: নর-নারী, পশুপাখি (প্রধানত গরু ও শৃগাল), সাপ এবং প্রকৃতি।
-
শিল্পকর্মে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন, যেমন: প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদ সম্মান (১৯৮৪) ও বাংলা একাডেমির ফেলো (১৯৮৫)।
কামরুল হাসানের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম ও অবদান:
-
বিখ্যাত চিত্রকর্ম: ‘তিনকন্যা’ ও ‘নাইওর’। এগুলোর উপর ভিত্তি করে যথাক্রমে যুগোস্লাভিয়া সরকার (১৯৮৫) ও বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীকের ডিজাইনার এবং জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশাকারী।
-
স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি খুবই জনপ্রিয়।
-
বাংলাদেশের বিমান সংস্থার বিখ্যাত ‘বলাকা’ লোগো ডিজাইন করেছিলেন তিনি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
আইন প্রণয়নের ক্ষমতা-
Created: 1 month ago
A
আইন মন্ত্রণালয়ের
B
রাষ্ট্রপতির
C
স্পিকারের
D
জাতীয় সংসদের
জাতীয় সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা
বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নিয়ন্ত্রিত। সংবিধান অনুযায়ী, এটি দেশের একমাত্র আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
সংবিধান ৬৫(১) ধারায় বলা হয়েছে:
"জাতীয় সংসদ" নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে এবং এই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের উপর থাকবে।
তবে এখানে একটি শর্তও রয়েছে: সংসদ যে আইন প্রণয়ন করে, তাতে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে যে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা অন্যান্য আইনগত কার্যকর চুক্তি তৈরি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতা সংসদকে আইন প্রণয়নের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করবে না। অর্থাৎ, সংসদ সবসময় প্রধান আইন প্রণয়নকারী থাকবে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান, ধারা ৬৫

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কয়টি জেলার সাথে 'সুন্দরবন' সংযুক্ত আছে?
Created: 1 week ago
A
৪ (চার) টি
B
৫ (পাঁচ) টি
C
৬ (ছয়) টি
D
৭ (সাত) টি
সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ যা শুধু দেশের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বনভূমি এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।
-
সুন্দরবন বাংলাদেশের ৫টি জেলার সাথে সংযুক্ত – খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালি এবং বরগুনা।
-
এটি বাংলাদেশের একক বৃহত্তম বনভূমি, যার আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার।
-
সুন্দরবনের এই অংশ মোট বনভূমির প্রায় ৬২%, বাকিটা ভারতের মধ্যে বিস্তৃত।
-
এটি বিশ্বের largest natural mangrove forest, অর্থাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন।
-
সুন্দরবনের প্রধান গাছ হলো সুন্দরী গাছ, যেটি থেকে বনটির নামকরণ হয়েছে।
একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, Banglapedia বা নবম-দশম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে সুন্দরবনকে বাংলাদেশের ৩টি জেলায় বিস্তৃত বলা হয়েছে। তবে মানচিত্র ও অন্যান্য বিশ্বস্ত উৎস অনুযায়ী বর্তমানে ৫টি জেলা অধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে ধরা হচ্ছে।

0
Updated: 1 week ago
প্রাচীন বাংলায় মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
অশোক মৌর্য
B
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
C
সমুদ্র গুপ্ত
D
এর কোনোটিই নয়
মৌর্য সাম্রাজ্য
-
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে মৌর্য সাম্রাজ্যের উত্থান ঘটে।
-
এটি ভারতের প্রথম সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য।
-
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যই মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
-
বাংলায় মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন সম্রাট আশোক।
-
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকাল ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৩২২–২৯৮ অব্দ।
-
গ্রিক ঐতিহাসিক মেগাস্থিনিস তার ‘ইন্ডিকা’ গ্রন্থে চন্দ্রগুপ্তের ব্যক্তিগত জীবন এবং শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন।
-
তিনি ভারতকে গ্রিক শাসন থেকে মুক্ত করেছিলেন।
-
তাঁর রাজধানী পাটলীপুত্র ছিল একটি বড় ও সুন্দর প্রাসাদ নগরী।
-
প্রায় ২৪ বছর শাসন করার পর তিনি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ত্যাগ করেছিলেন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, HSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago