লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম কোন ব্যবস্থা চালু করেন?
A
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
B
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
C
সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
D
পুলিশ ব্যবস্থা
উত্তরের বিবরণ
লর্ড ক্যানিং এবং ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার
লর্ড জন ক্যানিং ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল (১৮৫৬–১৮৬২) এবং ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে ভারতের প্রথম ভাইসরয়। তাঁর প্রশাসনের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ। তিনি এই বিদ্রোহ দমন করেন, এবং এর পর ১৮৫৮ সালে পার্লামেন্টারি আইন প্রণীত হয়।
লর্ড ক্যানিংয়ের উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহ:
-
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রা প্রচলন। এর আগে মূলত স্বর্ণ ও রূপি ব্যবহার হতো।
-
প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা।
-
১৮৬১ সালে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা, যা আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।
অন্য প্রশাসনিক সংস্কারের কিছু উদাহরণ:
-
লর্ড কর্নওয়ালিশ (১৭৯৩): ভূমি ব্যবস্থাপনায় ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন।
-
রবার্ট ক্লাইভ (১৭৬৫): বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন।
-
উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৯): সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তি সংক্রান্ত আইন অনুমোদন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
ওরাওঁ জনগােষ্ঠী কোন অঞ্চলে বসবাস করে?
Created: 1 month ago
A
রাজশাহী-দিনাজপুর
B
বরগুনা-পটুয়াখালী
C
রাঙামাটি-বান্দরবান
D
সিলেট-হবিগঞ্জ
ওরাওঁ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এ জনগোষ্ঠীর মানুষ প্রধানত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বসবাস করে এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
-
অবস্থান: ওরাওঁ জনগোষ্ঠী মূলত রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুরে বসবাস করে।
-
ভাষা: তারা কুঁড়ুখ ভাষায় কথা বলে, যা দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত একটি আদি ও কথ্য ভাষা।
-
লিপি: কুঁড়ুখ ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই।
-
অতিরিক্ত ভাষা: কুঁড়ুখ ভাষার পাশাপাশি ওরাওঁ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাদরি ভাষাও প্রচলিত রয়েছে।
-
সাংস্কৃতিক উৎসব: ওরাওঁ সমাজের পার্বণিক উৎসবের মধ্যে প্রধান হল ফাগুয়া।

0
Updated: 1 month ago
প্রতাপ আদিত্য কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
বাংলার বারো ভূঁইয়াদের একজন
B
রাজপুত রাজা
C
বাংলার শাসক
D
মোগল সেনাপতি
বারো ভুঁইয়া
বারো ভুঁইয়া ছিলেন বাংলার স্থানীয় প্রধান ও জমিদার, যারা ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকের মধ্যে মুগল শাসকদের অধীনে নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তারা নিজেদের শক্তিশালী সৈন্য ও নৌবাহিনী দিয়ে মোগল সেনাপতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করতেন এবং স্বাধীনতা রক্ষার চেষ্টা করতেন।
-
যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য ছিলেন বারো ভুঁইয়াদের মধ্যে সর্বাধিক ধনী ও ক্ষমতাশালী।
-
১৬০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তাঁর খ্যাতি পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল।
-
বারো ভুঁইয়াদের নেতৃত্বে ছিলেন সোনারগাঁয়ের জমিদার ঈসা খাঁ, যিনি মারা যাওয়ার পর মোগলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কমে যায়।
আকবরনামা অনুসারে বারো ভুঁইয়ার নামের তালিকা হলো:
১) ঈসা খান মসনদ-ই-আলা
২) ইবরাহিম নরল
৩) করিমদাদ মুসাজাই
৪) মজলিস দিলওয়ার
৫) মজলিস প্রতাপ
৬) কেদার রায়
৭) শের খান
৮) বাহাদুর গাজী
৯) তিলা গাজী
১০) চাঁদ গাজী
১১) সুলতান গাজী
১২) সেলিম গাজী
১৩) কাসিম গাজী
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
NILG এর পূর্ণরূপ-
Created: 1 month ago
A
National Information Legal Guide
B
National Institute of Local Government
C
National Identity Licence Guide
D
National Industrial League Group
NILG (জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট)
-
পূর্ণরূপ: National Institute of Local Government (NILG)
-
মূল কাজ: বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কর্মরত মানুষদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিয়োজিত একটি স্বনামধন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।
-
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৯ সালের ১ জুলাই “ইস্ট পাকিস্তান গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনস অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১” অনুযায়ী ‘স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
নাম পরিবর্তন: ১৯৮০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (NILG) রাখা হয়।
-
প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ: NILG স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয় এবং এটি “জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯২”-এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago