খাসিয়া গ্রামগুলো কি নামে পরিচিত?
A
বারাং
B
পাড়া
C
পুঞ্জি
D
মৌজা
উত্তরের বিবরণ
খাসিয়া ও চাকমা গ্রাম ব্যবস্থাপনা
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠী:
-
বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল এবং ভারতের আসামে বাস করে।
-
এরা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
সিলেটের খাসিয়ারা মূলত সিনতেং গোত্রভুক্ত।
-
খাসিয়াদের গ্রামকে পুঞ্জি বলা হয়। গ্রামের প্রধানকে বলা হয় সিয়েম।
-
তাদের আদি নিবাস ছিল তিব্বত।
-
পরিবার কাঠামো মাতৃতান্ত্রিক।
-
ধর্ম প্রধানত খ্রিস্টান, এবং প্রধান দেবতার নাম উব্লাই নাংথউ।
-
তারা পান ও মধু চাষে দক্ষ।
-
-
চাকমা জনগোষ্ঠী:
-
তাদের গ্রামকে আদাম বা পাড়া বলা হয়।
-
একাধিক পাড়া মিলেই গঠিত হয় মৌজা।
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড' কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
যমুনা নদীতে
B
মেঘনার মোহনায়
C
বঙ্গোপসাগরে
D
সন্দ্বীপ চেনেল
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড – বঙ্গোপসাগরের গভীর খাদ
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
প্রকৃতি: সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো খাদাকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গভীর গিরিখাত।
-
অবস্থান: এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদী বিভাগের পশ্চিমে অবস্থিত। অনেকে এটিকে “গঙ্গা খাদ” নামেও চেনে।
-
প্রস্থ ও ঢাল: খাদটির প্রস্থ প্রায় ৫–৭ কিলোমিটার। তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল, এবং পার্শ্ব দেয়ালের ঢাল প্রায় ১২°।
-
গভীরতা: মহীসোপানের কাছাকাছি অংশে খাদটির গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
পলল ও স্রোত: বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ঘোলাটে স্রোত বহন করে এবং পললসমূহ গভীর সমুদ্রে স্থানান্তর করে। বেশিরভাগ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল থেকে উৎপন্ন হয়, যা হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর অংশ থেকে আসা নদী ও প্রবাহের মাধ্যমে সাগরে পৌঁছায়।
-
বর্তমান প্রভাব: বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত এবং বালি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
প্রান্তিক হ্রদ কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
রাঙামাটি
B
খাগড়াছড়ি
C
বান্দরবান
D
সিলেট
প্রান্তিক হ্রদ
প্রান্তিক হ্রদ বা প্রান্তিক লেক বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। এটি প্রায় ২৫ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত একটি কৃত্রিম জলাশয়। লেকটির চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি দেখা যায়।
অবস্থান:
-
বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের পাশে হলুদিয়া এলাকায় অবস্থিত।
-
জেলা সদর থেকে লেক পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরত্ব।
সুবিধা:
-
লেকের পাশে আছে উন্মুক্ত মাটির মঞ্চ, পিকনিক স্পট, বিশ্রামাগার এবং একটি উঁচু গোল ঘর।
বান্দরবান জেলা
-
বান্দরবান ১৮৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের অংশ হিসেবে জেলা ঘোষণা করা হয়।
-
১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন অনুযায়ী অঞ্চলটি তিনটি সার্কেলে বিভক্ত হয়: চাকমা সার্কেল, মং সার্কেল এবং বোমাং সার্কেল।
-
বান্দরবান তৎকালীন সময়ে বোমাং সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাই জেলার প্রাথমিক নাম ছিল বোমাং থং।
-
১৯৫১ সালে বান্দরবান মহকুমা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করে।
-
১৯৮১ সালের ১৮ এপ্রিল, বান্দরবান পার্বত্য জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে লামাসহ সাতটি উপজেলা অন্তর্ভুক্ত।
-
ভৌগোলিক অবস্থান: দক্ষিণে মায়ানমার, পূর্বে ভারত।
-
প্রধান পাহাড়ি অঞ্চল: মিরিঞ্জা, ওয়ালটং, তামবাং এবং পলিতাই।
-
প্রধান নদী: সাঙ্গু, মাতামুহুরী এবং বাঁকখালী।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 month ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের মেয়াদকাল-
Created: 1 month ago
A
৩ বছর
B
৪ বছর
C
৫ বছর
D
৬ বছর
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী (সপ্তম ভাগ, অনুচ্ছেদ ১১৮) দেশটির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা হলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
-
কমিশনের প্রধানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলা হয়।
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চারজন নির্বাচন কমিশনার থাকেন।
-
একাধিক কমিশনার থাকলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের মেয়াদ ৫ বছর, যা তাদের দায়িত্ব নেওয়ার তারিখ থেকে গণ্য হবে।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago