A
আনন্দ বিহার
B
নালন্দা বিহার
C
গোসিপো বিহার
D
সোমপুর বিহার
উত্তরের বিবরণ
মহাস্থবীর শীলভদ্র নালন্দা মহাবিহারের আচার্য ছিলেন
নালন্দা মহাবিহার
-
নালন্দা প্রাচীন ভারতের এক খ্যাতনামা বৌদ্ধ মহাবিহার।
-
সপ্তম শতকে এটি বৌদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল।
-
ধারণা করা হয়, গুপ্ত সম্রাটরাই এই বিখ্যাত মহাবিহারটি নির্মাণ করেছিলেন।
-
পঞ্চম শতক থেকে প্রায় ১২০০ শতক পর্যন্ত নালন্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
-
এটি বিহারের পাটনা থেকে প্রায় ৯৫ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং বিহার শরিফ শহরের কাছে অবস্থিত।
-
চৈনিক তীর্থযাত্রী জুয়ান জাং ও ইজিং নালন্দা সম্পর্কে লিখেছেন; তাঁরা সপ্তম শতকে এখানে ভ্রমণ করেছিলেন।
-
বিখ্যাত চীনা তীর্থযাত্রী হিউয়েন-সাংও নালন্দায় কয়েক বছর পড়াশোনা করেছিলেন।
-
নালন্দার পণ্ডিতগণ তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিখ্যাত ছিলেন।
-
হিউয়েন-সাংয়ের সময়, নালন্দার আচার্য ছিলেন বাঙালি বৌদ্ধ ভিক্ষু শীলভদ্র, যিনি সমতটের প্রথম প্রধান দার্শনিক ছিলেন।
-
শীলভদ্র সন্ন্যাস জীবন শুরু করার আগে যুক্তিবিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব, সাংখ্যদর্শন ও ধর্মশাস্ত্রে প্রগভভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন।
-
তিনি প্রথম বাঙালি বৌদ্ধ শিক্ষক, যিনি বাংলার বাইরে এই ধরনের মর্যাদা অর্জন করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য:
-
বর্তমান নালন্দা মহাবিহার ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম অনারব মুসলিম দেশ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
ইন্দোনেশিয়া
B
মালয়েশিয়া
C
মালদ্বীপ
D
পাকিস্তান
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইতিহাস
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো:
-
প্রথম অনারব ও আফ্রিকান দেশ:
-
প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি।
-
প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেনেগাল স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।
-
-
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া আরব দেশসমূহ:
-
ইরাক: আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৮ জুলাই ১৯৭২।
-
লেবানন: ২৮ মার্চ ১৯৭৩।
-
ইরান: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪।
-
সৌদি আরব: ১৬ আগস্ট ১৯৭৫।
-
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দেশসমূহ:
-
প্রথম এশিয়ার মুসলিম দেশ: মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
-
প্রথম এশিয়ার বাইরে দেশ: পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি ১৯৭২)।
-
প্রথম পশ্চিমা দেশ: গ্রেট ব্রিটেন (৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ৪ এপ্রিল ১৯৭২।
-
দক্ষিণ আমেরিকা: ভেনিজুয়েলা (২ মে ১৯৭২)।
-
ফ্রান্স: ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।
-
ব্রাজিল: ১৫ মে ১৯৭২।
-
আর্জেন্টিনা: ২৫ মে ১৯৭২।
-
উৎস: বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

0
Updated: 3 days ago
লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম কোন ব্যবস্থা চালু করেন?
Created: 1 week ago
A
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
B
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
C
সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
D
পুলিশ ব্যবস্থা
লর্ড ক্যানিং এবং ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার
লর্ড জন ক্যানিং ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল (১৮৫৬–১৮৬২) এবং ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে ভারতের প্রথম ভাইসরয়। তাঁর প্রশাসনের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ। তিনি এই বিদ্রোহ দমন করেন, এবং এর পর ১৮৫৮ সালে পার্লামেন্টারি আইন প্রণীত হয়।
লর্ড ক্যানিংয়ের উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহ:
-
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রা প্রচলন। এর আগে মূলত স্বর্ণ ও রূপি ব্যবহার হতো।
-
প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা।
-
১৮৬১ সালে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা, যা আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।
অন্য প্রশাসনিক সংস্কারের কিছু উদাহরণ:
-
লর্ড কর্নওয়ালিশ (১৭৯৩): ভূমি ব্যবস্থাপনায় ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন।
-
রবার্ট ক্লাইভ (১৭৬৫): বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন।
-
উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৯): সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তি সংক্রান্ত আইন অনুমোদন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম কোন পত্রিকা পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার উপর ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে?
Created: 1 month ago
A
নিউইয়র্ক টাইমস
B
ডেইলি মেইল
C
ডেইলি টেলিগ্রাফ
D
দ্য ইনডিপেনডেন্ট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর বিশ্বের সামনে প্রথমবারের মতো তুলে ধরেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। তিনি ব্রিটেনের বিখ্যাত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় কাজ করতেন। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শুরু করা বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি।
সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসেন। তখন পাকিস্তান সরকার ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় ৫০ জন বিদেশি সাংবাদিককে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রাখে এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে, যেন তারা গণহত্যার কোনো তথ্য প্রকাশ করতে না পারে। কিন্তু সাইমন ড্রিং লুকিয়ে থেকে গণহত্যার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি হোটেলের ছাদ, কিচেন, বার এমনকি লবিতেও লুকিয়ে ছিলেন প্রায় ৩২ ঘণ্টা।
২৫ মার্চের রাতের গণহত্যা শেষে যখন ২৭ মার্চ কারফিউ উঠল, তখন তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন—বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। এরপর ৩০ মার্চ তার লেখা প্রতিবেদন ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন।
তিনি এরপর কলকাতা থেকে খবর পাঠিয়ে লন্ডনের পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনেও ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার সাইমন ড্রিংকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করে।
অন্যান্য সাংবাদিকদের অবদান
-
এস্থনি ম্যাসকারেনহাস পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরি করেন।
-
বিবিসির সাংবাদিক মার্ক টালি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিরত খবর প্রচার করেছেন।
-
অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ভেতর থেকে তথ্য বাইরে পাঠিয়েছেন।
-
নিজামউদ্দিন ও নাজমুল হক শহিদ হন সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।
-
আকাশবাণী, বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া) বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার চালায়।
-
আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত “সংবাদ পরিক্রমা” ছিল খুবই জনপ্রিয়।
-
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে “বজ্রকণ্ঠ” ও “চরমপত্র” অনুষ্ঠানগুলো মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
উৎসঃ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা

0
Updated: 1 month ago