চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?
A
অতীশ দিপঙ্কর
B
শিলভদ্র
C
মা হুয়ান
D
মেগাস্থিনিস
উত্তরের বিবরণ
হিউয়েন সাঙ ও তাঁর নালন্দা অধ্যয়ন
হিউয়েন সাঙ ছিলেন চীনা এক বিখ্যাত পরিব্রাজক এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু, যিনি ফা-হিয়েনের পরবর্তী তীর্থযাত্রী হিসেবে পরিচিত। তাঁর ভ্রমণলিপি থেকে সাত শতকের দ্বিতীয়ার্ধের বাংলার কিছু ইতিহাস জানা যায়। সে সময় উত্তর ভারতে সম্রাট হর্ষবর্ধন, বাংলায় শশাঙ্ক এবং আসামে ভাস্করবর্মণ শাসন করছিলেন।
ভ্রমণ ও অধ্যয়ন:
-
৬২৯ সালে হিউয়েন সাঙ চীন থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং উত্তরের বাণিজ্যপথ হয়ে মধ্য এশিয়ার কুশ হয়ে উত্তর ভারতে পৌঁছান।
-
কনৌজনগরে সম্রাট হর্ষবর্ধনের আতিথ্য লাভ করেন।
-
নালন্দা মহাবিহারে বেশ কিছুদিন অবস্থান করে অধ্যাপকদের কাছ থেকে বৌদ্ধ দর্শন, যুক্তি ও ধর্মশাস্ত্র শিখেন।
-
নালন্দার অধ্যক্ষ আচার্য শীলভদ্র ছিলেন তাঁর প্রধান শিক্ষক। শীলভদ্র নিজে সন্ন্যাস জীবন শুরু করার আগে যুক্তিবিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব ও সাংখ্যদর্শন অধ্যয়ন করেছিলেন।
বাংলা ও শশাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য:
-
৬৩৮ সালের দিকে হিউয়েন সাঙ বাংলায় পৌঁছান।
-
তাঁর লেখা থেকে শশাঙ্কের ইতিহাস, হর্ষবর্ধনের সঙ্গে শশাঙ্কের বৈরিতা এবং শশাঙ্কের ধর্মনীতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়।
প্রত্যাবর্তন ও পরবর্তী জীবন:
-
৬৪৫ সালে চীনে ফিরে তিনি উষ্ম সংবর্ধনা পান।
-
৬৬৪ সাল পর্যন্ত বৌদ্ধ রচনাগুলোর চীনা অনুবাদে জীবনের বাকি সময় ব্যয় করেন।
শৈশব ও প্রারম্ভিক শিক্ষা:
-
শৈশব থেকেই ধর্মগ্রন্থ ও প্রাচীন জ্ঞানী লেখকদের পাঠে আগ্রহী ছিলেন।
-
লুওইয়াং নগরে ১৩ বছর বয়সে বৌদ্ধভিক্ষু সম্প্রদায়ে প্রবেশ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
NILG এর পূর্ণরূপ-
Created: 1 month ago
A
National Information Legal Guide
B
National Institute of Local Government
C
National Identity Licence Guide
D
National Industrial League Group
NILG (জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট)
-
পূর্ণরূপ: National Institute of Local Government (NILG)
-
মূল কাজ: বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কর্মরত মানুষদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিয়োজিত একটি স্বনামধন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।
-
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৯ সালের ১ জুলাই “ইস্ট পাকিস্তান গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনস অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১” অনুযায়ী ‘স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
নাম পরিবর্তন: ১৯৮০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (NILG) রাখা হয়।
-
প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ: NILG স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয় এবং এটি “জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯২”-এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
একনেক (ECNEC)-এর প্রধান কে?
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
অর্থমন্ত্রী
C
বাণিজ্যমন্ত্রী
D
পরিকল্পনা মন্ত্রী
একনেক (ECNEC) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতি ও প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এটি দেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
-
প্রধান: একনেকের প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী।
-
পূর্ণ নাম: একনেকের পূর্ণরূপ Executive Committee of the National Economic Council। এটি 1982 সালে গঠিত হয়।
-
বিকল্প সভাপতি: একনেকের বিকল্প সভাপতি হলেন অর্থমন্ত্রী।
-
সদস্য: এর একজন প্রধান সদস্য হলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।

0
Updated: 1 month ago
পরিকল্পনা কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপ অনুযায়ী সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কোন মেয়াদে হবে?
Created: 1 month ago
A
২০১৫-২০১৯
B
২০১৬-২০২০
C
২০১৭-২০২১
D
২০১৮-২০২২
সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
বাংলাদেশে পরিকল্পনা কমিশন এ পর্যন্ত মোট ৮টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৭টি পরিকল্পনা শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২৫) কার্যকর রয়েছে।
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদকালসমূহ
-
১ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৭৩-১৯৭৮
-
২য় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৮০-১৯৮৫
-
৩য় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৮৫-১৯৯০
-
৪র্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৯০-১৯৯৫
-
৫ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৯৭-২০০২
-
৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ২০১১-২০১৫
-
৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ২০১৬-২০২০
-
৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ২০২০-২০২৫ (চলমান)
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (জুলাই ২০২০ – জুন ২০২৫) মূল লক্ষ্যসমূহ
-
বাস্তবায়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা
-
মোট বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে: ৩৭.৪%
-
বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য: ৮.৫১%
-
কর্মসংস্থান সৃষ্টি: প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ
-
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: ৪.৬%
-
গড় আয়ু বৃদ্ধি: ৭৪ বছর
-
বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা: ৩০ হাজার মেগাওয়াট
-
দারিদ্র্যের হার: ১৫.৬%
-
চরম দারিদ্র্যের হার: ৭.৪%
দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূল করা হবে।
উৎস: পরিকল্পনা বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

0
Updated: 1 month ago