'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড' কোথায় অবস্থিত?
A
যমুনা নদীতে
B
মেঘনার মোহনায়
C
বঙ্গোপসাগরে
D
সন্দ্বীপ চেনেল
উত্তরের বিবরণ
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড – বঙ্গোপসাগরের গভীর খাদ
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
প্রকৃতি: সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো খাদাকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গভীর গিরিখাত।
-
অবস্থান: এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদী বিভাগের পশ্চিমে অবস্থিত। অনেকে এটিকে “গঙ্গা খাদ” নামেও চেনে।
-
প্রস্থ ও ঢাল: খাদটির প্রস্থ প্রায় ৫–৭ কিলোমিটার। তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল, এবং পার্শ্ব দেয়ালের ঢাল প্রায় ১২°।
-
গভীরতা: মহীসোপানের কাছাকাছি অংশে খাদটির গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
পলল ও স্রোত: বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ঘোলাটে স্রোত বহন করে এবং পললসমূহ গভীর সমুদ্রে স্থানান্তর করে। বেশিরভাগ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল থেকে উৎপন্ন হয়, যা হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর অংশ থেকে আসা নদী ও প্রবাহের মাধ্যমে সাগরে পৌঁছায়।
-
বর্তমান প্রভাব: বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত এবং বালি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'অলিভ টারটল' বাংলাদেশের কোন দ্বীপে পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
সেন্টমার্টিন
B
রাঙ্গাবালি
C
চর আলেকজান্ডার
D
ছেড়াদ্বীপ
অলিভ টারটল (Olive Turtle) – বাংলাদেশে অবস্থান ও সংরক্ষণ
-
রঙ ও বৈশিষ্ট্য: অলিভ টারটল হলো জলপাই রঙের কচ্ছপ।
-
আবাসস্থল: এটি প্রধানত প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উষ্ণ পানিতে দেখা যায়।
-
বাংলাদেশে অবস্থান: দেশের প্রধান আবাসস্থল হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগরের অন্যান্য ছোট দ্বীপপুঞ্জ। বিশেষভাবে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এটি প্রজনন করে।
-
সংরক্ষণ: ২০১২ সালের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী অলিভ টারটল সংরক্ষিত প্রজাতি। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিপন্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে।
উৎস: Britannica, ইত্তেফাক, ৫ জানুয়ারি ২০১৯.

0
Updated: 1 month ago
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া কি নামে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
কুষ্টিয়া গ্রেড
B
চুয়াডাঙ্গা গ্রেড
C
ঝিনাইদহ গ্রেড
D
মেহেরপুর গ্রেড
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ও কুষ্টিয়া গ্রেড চামড়া
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের একটি স্থানীয় কালো ছাগল জাত, যা বিশ্বের সেরা ছাগল জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ছাগল মাংস এবং চামড়ার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য:
-
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পরিষ্কার, শুষ্ক ও উঁচু স্থানে থাকতে পছন্দ করে।
-
কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলায় এই জাতের ছাগলের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি।
-
বিশ্ববাজারে এই ছাগলের চামড়াকে কুষ্টিয়া গ্রেড নামে পরিচিতি রয়েছে।
-
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস অন্যান্য জাতের তুলনায় স্বাদে বেশি ভালো।
-
বড় কোম্পানিগুলো তাদের চামড়াজাত পণ্য তৈরিতে এই ছাগলের চামড়া ব্যবহার করে।
গুরুত্বপূর্ণ অর্জন:
-
২০০৭ সালে এফএও বিশ্বের ১০০ জাতের ছাগলের মধ্যে ব্ল্যাক বেঙ্গলকে সেরা জাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
-
২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা এই ছাগলের সম্পূর্ণ জেনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেন।
-
২০২৪ সালে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল জিআই (GI) স্বীকৃতি লাভ করে।
উৎস: বিবিসি বাংলা, ১৮ নভেম্বর ২০২০

0
Updated: 1 month ago
জুম চাষ হয়-
Created: 1 month ago
A
বরিশালে
B
ময়মনসিংহে
C
খাগড়াছড়িতে
D
দিনাজপুরে
জুম চাষ (Jhum Cultivation) বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচলিত এক প্রাচীন চাষাবাদ পদ্ধতি। এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো—এক জায়গায় কয়েক বছর চাষ করার পর জমির উর্বরতা পুনরুদ্ধারের জন্য সেটি ফেলে রেখে পাহাড়ের অন্য জায়গায় চাষ শুরু করা। অর্থাৎ জমি পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষ করাকেই জুম বলা হয়।
এই চাষের জন্য প্রথমে পাহাড়ের জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়, তারপর সেখানে ফসল ফলানো হয়। যারা এই চাষ করেন, তাঁদের বলা হয় জুমিয়া। পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবিকার প্রধান ভরসা হলো জুম চাষ। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়।
জুমে সাধারণত যেসব ফসল জন্মে তার মধ্যে রয়েছে—ধান, ভুট্টা, কাউন, তিল, শসা, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, বরবটি, তুলা, কলা, আদা ও হলুদ।
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা—রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানেই মূলত জুম চাষ হয়ে থাকে।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago