A
দেবেশ রায়ের 'তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত'
B
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'পূর্ব-পশ্চিম'
C
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের 'যাও পাখি'
D
অভিজিৎ সেনের 'রহুচণ্ডালের হাড়'
উত্তরের বিবরণ
‘পূর্ব-পশ্চিম’ উপন্যাস
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বিশিষ্ট ও দীর্ঘ উপন্যাস হলো ‘পূর্ব-পশ্চিম’। মূলত এটি ধারাবাহিকভাবে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রথম খণ্ডে উপন্যাসের প্রথম দুটি পর্ব—সূচনাপর্ব ও যৌবন—সংযুক্ত করা হয়েছে।
উপন্যাসের ঘটনা একই সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার প্রেক্ষাপটকে স্পর্শ করে। গল্প শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকের মধ্যভাগে। এ-উপন্যাসে দেখা যায় কিভাবে দু’বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের ধারা ১৯৮০-এর দশকে মিলিত হয়েছে।
ঘটনাপ্রবাহের কিছু প্রধান দিক:
-
একদিকে ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন: নেহরুর মৃত্যু, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, লালবাহাদুর শাস্ত্রীয়ের মৃত্যু, ইন্দিরা গান্ধীর অভ্যুত্থান, অর্থনৈতিক মন্দা, তরুণ সমাজে বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও উগ্র রাজনীতি।
-
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট: ভাষা-আন্দোলনের পরবর্তী সময়, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা-সংগ্রাম, মুক্তিকালীন হতাশা, মুজিব হত্যা।
উপন্যাসে কোনো একক চরিত্রকে মূল চরিত্র বলা কঠিন। দুই বাংলার দুটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বহু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের গল্প বর্ণিত হয়েছে। অনেক চরিত্র শুধু বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, কেউ কেউ ইউরোপ বা আমেরিকাতেও গমন করেছে।
উৎস: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, পূর্ব-পশ্চিম

0
Updated: 1 week ago
'বোবাকাহিনী' উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
Created: 3 months ago
A
রুপাই
B
বছির
C
মুনিম
D
মকবুল
বোবা কাহিনী (১৯৬৪)
লেখক: জসীম উদ্দীন
এই উপন্যাসে গ্রামীণ জীবনের করুণ বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।
-
গ্রামের প্রান্তিক চাষি আজহার মহাজনী শোষণের কারণে ভূমিহীন হয়ে পড়ে।
-
মেধাবী যুবক বছির শহরের সুবিধাবাদী উকিল ও ভণ্ড ধার্মিকদের দ্বারা নিগৃহীত হয়।
-
উপন্যাসে সরল ও সাদামাটা একটি গল্প রয়েছে, যা বিশেষ কোনো জটিলতা ছাড়া পাঠযোগ্য।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ: বছির, আজহার, আরজান, রহিমুদ্দিন।
জসীম উদ্দীন (১৯০৩–১৯৭৬)
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, তাম্বুলখানা গ্রাম, ফরিদপুর (মাতুলালয়ে)।
-
পরিচিতি: পল্লিকবি হিসেবে খ্যাত।
-
মৃত্যু: ১৩ মার্চ ১৯৭৬, ঢাকা।
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
নক্সী কাঁথার মাঠ (১৯২৯) – অনুবাদ: The Field of the Embroidered Quilt (E.M. Millford)
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মা যে জননী কান্দে
-
রাখালী
নাটকসমূহ
-
পদ্মাপাড়
-
বেদের মেয়ে
-
মধুমালা
-
পল্লীবধূ
-
গ্রামের মায়া
ভ্রমণকাহিনি
-
চলে মুসাফির
-
হলদে পরীর দেশ
-
যে দেশে মানুষ বড়
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
Created: 2 days ago
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 days ago
'আলোছায়া' শব্দটি কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 days ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বন্দ্ব সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
দ্বন্দ্ব সমাস
সংজ্ঞা
যে সমাসে প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থ সমান প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
বৈশিষ্ট্য
-
প্রতিটি পদের অর্থ সমানভাবে রক্ষিত হয়।
-
ব্যাসবাক্যে (পূর্ণ বাক্যে) “এবং / ও / আর” ইত্যাদি অব্যয় দ্বারা সম্পর্ক প্রকাশ পায়।
উদাহরণ
-
আলো + ছায়া → আলোছায়া (আলো ও ছায়া)
-
তাল + তমাল → তালতমাল (তাল ও তমাল)
-
দোয়াত + কলম → দোয়াতকলম (দোয়াত ও কলম)
-
মাতা + পিতা → মাতাপিতা (মাতা ও পিতা)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৮ সংস্করণ

0
Updated: 2 days ago