দ্রৌপদী কে?
A
রামায়ণে সীতার সহচরী
B
মহাভারতে দুর্যোধনের স্ত্রী
C
রামায়ণে লক্ষ্মণের প্রণয়প্রার্থী নারী
D
মহাভারতে পাঁচ ভাইয়ের একক স্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
মহাভারত ও বাংলা মহাভারত
-
দ্রৌপদী মহাভারতের অন্যতম প্রধান নারী চরিত্র। তিনি পাণ্ডুর পাঁচ পুত্র – যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব – অর্থাৎ পঞ্চপাণ্ডবের সম্মিলিত স্ত্রী ছিলেন।
-
মহাভারত মূলত ঋষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস রচিত একটি সংস্কৃত মহাকাব্য। এর প্রধান উপজীব্য হলো কুরু-বংশের দুই শাখা – ধৃতরাষ্ট্রপুত্র দুর্যোধনসহ শতকৌরব ও পান্ডুপুত্র পাণ্ডবদের মধ্যে বিরোধ, যা শেষ পর্যন্ত কুরুক্ষেত্রের মহাযুদ্ধে রূপ নেয়।
-
কৌরবদের নাম এসেছে তাঁদের প্রপিতামহ কুরু-এর নাম থেকে, আর পান্ডবদের নাম এসেছে তাঁদের পিতা পাণ্ডু-এর নাম থেকে। এদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধই ইতিহাসে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
-
ভারতের প্রায় সব আঞ্চলিক ভাষায় মহাভারতের অনুবাদ হয়েছে। বাংলা ভাষায়ও এর অনুবাদ ও পুনর্লিখন দেখা যায়। তবে বাংলা মহাভারত কেবল অনুবাদ নয়; বরং রচয়িতাদের নিজস্ব জীবনবোধ, সমাজচেতনা ও কাব্যশৈলীর কারণে এটি মৌলিক রূপ লাভ করেছে।
-
বাংলা মহাভারতের রচয়িতা একাধিক। প্রথম বাংলা মহাভারত রচনা করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর, যা পরিচিত কবীন্দ্র মহাভারত নামে।
-
পরে সপ্তদশ শতকে কাশীরাম দাস পদ্যে মহাভারত রচনা করেন। তাঁর রচিত কাশীদাসী মহাভারত আঠারোটি পর্ব ও একশত পর্বাধ্যায়ে বিভক্ত, যা বাঙালি পাঠকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণ।
-
এই গ্রন্থের বিভিন্ন পর্বে নানা কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
-
আদিপর্ব → কুরু-পাণ্ডব বংশবিবরণ, জতুগৃহদাহ ও দ্রৌপদীর সঙ্গে পাণ্ডবদের বিবাহ।
-
সভাপর্ব → যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলা (দ্যূতক্রীড়া) ও পরাজয়।
-
বনপর্ব → পাণ্ডবদের বনবাস।
-
বিরাটপর্ব → বিরাট নগরে অজ্ঞাতবাস।
-
উদ্যোগপর্ব → যুদ্ধের প্রস্তুতি প্রভৃতি।
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
মনসা দেবীকে নিয়ে লেখা বিজয়গুপ্তের মঙ্গলকাব্যের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
মনসামঙ্গল
B
মনসাবিজয়
C
পদ্মপুরাণ
D
পদ্মাবতী
মনসা দেবীকে কেন্দ্র করে লেখা মনসামঙ্গল কাব্যগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রচনা হলো পদ্মপুরাণ, যা কবি বিজয়গুপ্ত রচনা করেছেন। পদ্মপুরাণ মনসামঙ্গল কাব্যের একটি শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে পরিচিত এবং কাব্যধারার ইতিহাসে এটি বিশেষ গুরুত্ব রাখে।
মনসামঙ্গল কাব্যসমূহে দেবতা, মানুষের সম্পর্ক, সামাজিক দ্বন্দ্ব এবং অলৌকিক শক্তির বিষয়গুলি ফুটে উঠেছে। এছাড়া, মনসামঙ্গলের অন্যান্য কবিরাও এই ধারা অনুসরণ করেছেন, যেমন নারায়ণ দেব ও বিপ্রদাস পিপিলাই।
মনসামঙ্গল ও পদ্মপুরাণ
-
মনসামঙ্গল কাব্যধারার অন্যতম কবি বিজয়গুপ্ত, যিনি পদ্মপুরাণ রচনা করেছেন।
-
পদ্মপুরাণ মনসামঙ্গল কাব্যের অপর নাম হিসেবেও পরিচিত।
-
বিজয়গুপ্ত প্রাপ্ত পুঁথিভিত্তিক প্রাচীনতম মনসামঙ্গল কাব্যের কবি।
-
মনসামঙ্গলের আরেকজন কবি নারায়ণ দেব, যিনি তার রচিত কাব্যেও পদ্মপুরাণ নাম ব্যবহার করেছেন।
-
বিপ্রদাস পিপিলাই রচনা করেছেন মনসাবিজয়।
মনসামঙ্গল কাব্যের বৈশিষ্ট্য ও আখ্যান
-
মনসামঙ্গল কাব্যগুলির মধ্যে প্রাচীনতম।
-
সাপের দেবী মনসাকে কেন্দ্র করে স্তব, কাহিনি ও অলৌকিক ঘটনা নিয়ে রচিত।
-
চাঁদ সওদাগর প্রথমে মনসার প্রতি বিরূপতা দেখান, পরে তার অলৌকিক শক্তির প্রভাব স্বীকার করে বশ্যতা স্বীকার করেন।
-
দেবতা ও মানুষের দ্বন্দ্ব, সামাজিক শ্রেণিবৈষম্য এবং আর্য-অনার্য দ্বন্দ্ব কাব্যে প্রতিফলিত।
-
কাব্যের প্রাথমিক কবি: কানা হরিদত্ত।
মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র:
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
-
সাপের দেবী মনসা
-
মধ্যযুগের সংগ্রামী নারী চরিত্র হিসেবে বেহুলা উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 1 month ago
শুদ্ধ বাক্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বিদ্বান হলেও তার কোনাে অহংকার নেই।
B
ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।
C
অকারণে ঋণ করিও না।
D
হয়তাে সােহমা আসতে পারে।
অশুদ্ধ বাক্য হলো: অকারণে ঋণ করিও না। এই বাক্যটি গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শব্দের যথাযথতা হারিয়েছে। এর শুদ্ধ রূপ হবে: অকারণে ঋণ করো না।
গুরুচণ্ডালী দোষ সম্পর্কিত তথ্যগুলো:
-
গুরুচণ্ডালী দোষ হলো তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের ব্যবহার থেকে যে ধরনের ভুল বা অশুদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
-
কখনও কখনও তৎসম এবং দেশীয় শব্দের সংমিশ্রণ শব্দের যোগ্যতা নষ্ট করে এবং তা অশুদ্ধ বা অনুচিত হয়ে যায়।
-
উদাহরণ হিসেবে তৎসম শব্দগুলো হলো: গরুর গাড়ি, শবদাহ, মড়াপোড়া। এগুলোর গঠন এবং অর্থ সঠিক এবং কোনো সমস্যা নেই।
-
কিন্তু যদি তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দ মিশ্রিত করা হয়, যেমন: গরুর শকট, শবপোড়া, মড়াদাহ, তখন শব্দগুলো গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হয় এবং তাদের ব্যবহার অনুচিত হয়।

0
Updated: 1 month ago
ব্যক্তিগত পত্রের ওপরের ডান কোণে কী লেখা হয়?
Created: 1 month ago
A
সম্ভাষণ
B
পত্রলেখকের স্থান ও তারিখ
C
প্রাপকের ঠিকানা
D
মঙ্গলসূচক শব্দ
ব্যক্তিগত পত্র বা অন্য যেকোনো চিঠি লেখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানা হয়।
-
পত্রের উপরের ডান কোণে সাধারণত লেখকের স্থান ও তারিখ লেখা হয়।
-
বাম দিকে প্রাপকের নাম ও ঠিকানা লেখা হয় (যদি প্রয়োজন হয়)।
-
এরপর শুরুতে সম্ভাষণ ব্যবহার করা হয় (যেমন – প্রিয় বন্ধু, স্নেহের ভাই ইত্যাদি)।
-
শেষে বিদায় সম্ভাষণ (যেমন – ইতি, তোমার বন্ধু ইত্যাদি) ও স্বাক্ষর দেওয়া হয়।
অতএব, ব্যক্তিগত পত্রের উপরের ডান কোণে "পত্রলেখকের স্থান ও তারিখ" লেখা হয়। ✅

0
Updated: 1 month ago