'কপালকুণ্ডলা' কোন প্রকৃতির রচনা?
A
রোমান্সমূলক উপন্যাস
B
বিয়োগান্তক নাটক
C
ঐতিহাসিক উপন্যাস
D
সামাজিক উপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
কপালকুণ্ডলা উপন্যাস
-
প্রকাশকাল: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
ধরন: উপন্যাসটিকে নিগূঢ় ভাবধারার জন্য রোমান্টিক বা রোমান্সধর্মী উপন্যাস বলা হয়।
-
কাহিনি: অরণ্যের মধ্যে এক কাপালিকের পালিতা রহস্যময়ী নারী কপালকুণ্ডলাকে ঘিরে কাহিনি গড়ে ওঠে।
-
সামাজিক সংস্কারের অচেনা পৃথিবীতে প্রবেশ করে সে নবকুমারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
-
কিন্তু সমাজের নিয়ম-কানুনের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব এবং নিজের রহস্যময় জীবনই কাহিনির মূল সংঘাত।
-
-
প্রেক্ষাপট: কাহিনিতে একদিকে সম্রাট জাহাঙ্গির আমলের আগ্রা শহরের স্থাপত্য, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্রের রোমাঞ্চময় পরিবেশ চিত্রিত হয়েছে।
-
বিশেষত্ব: প্রকৃতির সৌন্দর্য, কপালকুণ্ডলার চরিত্রচিত্রণ ও কাহিনির করুণ সমাপ্তি—এই তিন কারণে উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় হয়ে আছে।
-
গ্রহণযোগ্যতা: লেখকের জীবদ্দশাতেই এর আটবার সংস্করণ প্রকাশিত হয়। অনেকের মতে, এটি বঙ্কিমের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
-
রোমান্টিক সংলাপ: নায়িকা কপালকুণ্ডলার বলা “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ?”—বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোম্যান্টিক সংলাপ হিসেবে বিখ্যাত।
-
প্রধান চরিত্র: কপালকুণ্ডলা, নবকুমার, কাপালিক প্রমুখ।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে, চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
তিনি ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান পুরুষ।
-
তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস।
-
প্রথম উপন্যাস ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী।
বঙ্কিমচন্দ্রের ত্রয়ী উপন্যাস
১. আনন্দমঠ
২. দেবী চৌধুরানী
৩. সীতারাম
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
‘পদ্মাবতী’ কাব্যটি কোন কাব্যের অনুবাদ?
Created: 2 weeks ago
A
তগোবিন্দম্
B
মেঘনাদবধ কাব্য
C
ইউসুফ-জোলেখা
D
পদুমাবৎ
‘পদ্মাবতী’ হলো আলাওলের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য, যা মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় প্রণয়কাব্য। এটি মূলত হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের অনুবাদ।
-
কাব্যটি ১৬৫১ সালে আরাকান রাজ সাদ থদোমিন্তারের রাজত্বকালে মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে রচিত।
-
কাব্যটিতে দুইটি পর্ব রয়েছে:
-
প্রথম পর্বে চিতোররাজ রত্নসেনের সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভের সফল অভিযান বর্ণিত।
-
দ্বিতীয় পর্বে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির পদ্মাবতীকে লাভের ব্যর্থ সামরিক অভিযানের বিবরণ আছে।
-
আলাওল:
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
-
‘পদ্মাবতী’ তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য, যা মালিক মুহম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের অনুবাদ।
আলাওল রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
পদ্মাবতী
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কার
-
সিকান্দারনামা
-
সয়ফুল্মুলুক বদিউজ্জামাল
-
সতীময়না
-
রাগতালনামা ইত্যাদি

0
Updated: 2 weeks ago
‘রোহিণী’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?
Created: 4 months ago
A
চরিত্রহীন
B
গৃহদাহ
C
কৃষ্ণকান্তের উইল
D
সংসপ্তক
কৃষ্ণকান্তের উইল
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং সমকালীন সময়ে বিতর্কিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বিধবা নারী রোহিণীকে ঘিরে বঙ্কিমচন্দ্র নিজের শিল্পবোধ ও নৈতিক আদর্শের দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তুলেছেন। ঔপন্যাসিকের জীবদ্দশায় এই গ্রন্থের চারটি সংস্করণ প্রকাশ পেয়েছিল।
উপন্যাসটির প্রধান চরিত্রগুলো হলো:
-
রোহিণী
-
গোবিন্দলাল
-
ভ্রমর
অন্যদিকে,
‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা। এর চরিত্রগুলো হলো সতীশ, সাবিত্রী, দিবাকর ও কিরণময়ী।
‘গৃহদাহ’ শরৎচন্দ্রের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যার চরিত্রগুলো হলো সুরেশ, মহিম ও অচলা।
সংশপ্তক উপন্যাসটি শহীদুল্লাহ কায়সারের লেখা। এতে প্রধান চরিত্রগুলো হলো রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান এবং রামদয়াল।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
১৮৩৮ সালের ২৭ জুন চবিবশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়। তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস হলো — আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী এবং সীতারাম। এছাড়া তিনি ‘সাম্য’ নামক গ্রন্থের রচয়িতা।
বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 4 months ago
'কাশবনের কন্যা' কোন জাতীয় রচনা?
Created: 2 months ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
কাব্য
D
ছোটগল্প
কাশবনের কন্যা
‘কাশবনের কন্যা’ উপন্যাসটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম। গ্রামীণ সমাজ ও জীবনের আবহকে ঘিরে লেখা এই উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে। এতে লেখক বরিশালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষদের জীবন ও সংস্কৃতিকে গভীর দরদের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন। দারিদ্র্য এবং কষ্টের বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও উপন্যাসে গ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে এক বিশ্বাসভিত্তিক শান্তির আশ্রয়স্থল হিসেবে—যেখানে রয়েছে মানবিক সম্পর্কের গভীরতা এবং আত্মিক সুখের অন্বেষণ।
উপন্যাসটিতে বিশেষভাবে চিত্রায়িত হয়েছে বরিশাল অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, লোকজ সংস্কৃতি এবং গ্রামীণ দিগন্ত। এতে মুখ্য চরিত্র হিসেবে উঠে এসেছে: সিকদার, হোসেন, জোবেদা ও মেহেরজান প্রমুখ।
• শামসুদ্দীন আবুল কালাম
বাংলা কথাসাহিত্যের এক উজ্জ্বল নাম শামসুদ্দীন আবুল কালাম। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের আগস্ট মাসে, বরিশালের নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামে। শিক্ষা জীবন শুরু করেন বরিশাল জেলা স্কুলে, যেখানে থেকে তিনি ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
এরপর ১৯৪৩ সালে ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মগুলো হলো:
গল্পগ্রন্থ
-
অনেক দিনের আশা
-
ঢেউ
-
পথ জানা নাই
-
দুই হৃদয়ের তীর
-
শাহের বানু
উপন্যাস
-
আলমনগরের উপকথা
-
কাশবনের কন্যা
-
কাঞ্চনমালা
-
জায়মঙ্গল
-
কাঞ্চনগ্রাম
-
পুঁই ডালিমের কাব্য
তথ্যসূত্র: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞেসা’ — ড. সৌমিত্র শেখর, ‘বাংলাপিডিয়া’।

0
Updated: 2 months ago