"তাম্বুল রাতুল হইল অধর পরশে।” - অর্থ কী?
A
ঠোঁটের পরশে পান লাল হল
B
পানের পরশে ঠোঁট লাল হল
C
অস্তাচলগামী সূর্যের আভায় মুখ রক্তিম দেখা গেল
D
অস্তাচলগামী সূর্য ও মুখ একই রকম লাল হয়ে গেল
উত্তরের বিবরণ
পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থ
মহাকবি সৈয়দ আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা পদ্মাবতী একটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যানধর্মী কাব্য। তাঁর অসাধারণ কাব্য প্রতিভার কারণে আলাওল আরাকান অমাত্য সভায় (মন্ত্রিসভায়) স্থান পান।
১৬৪৮ সালে, প্রধান অমাত্য কোরেশী মাগন ঠাকুরের অনুরোধে আলাওল হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সী-এর পদুমাবৎ কাব্য অবলম্বনে পদ্মাবতী রচনা করেন। কাব্যটিতে দুইটি পর্ব রয়েছে:
-
প্রথম পর্ব: চিতোর রাজা রত্নসেন পদ্মাবতীকে লাভ করার সফল অভিযান।
-
দ্বিতীয় পর্ব: দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির পদ্মাবতীকে পাওয়ার ব্যর্থ সামরিক অভিযান।
পদ্মাবতীর রূপবর্ণনা (উদাহরণ):
"সুচারু সুরস অতি রাতুল অধর।
লাজে বিম্ব বান্ধুলি গমন বনান্তর।।
মানিক্য প্রবাল অতি নীরস কর্কশ।
অধরের অমিয় স্রবে এই মহারস।।
রক্ত উৎপল লাজে জলান্তরে বৈসে।
তাম্বুল রাতুল হৈল অধর পরশে।।"
উপরের শেষ পঙ্ক্তি ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়:
-
তাম্বূল = পান
-
রাতুল = লাল
-
অধর = ঠোঁট
অতএব, কবি বলতে চেয়েছেন, ‘ঠোঁটের স্পর্শে পান লাল হয়ে উঠল’।
উৎস:
-
ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 1 month ago
Custom' শব্দের পরিভাষা কোনটি যথার্থ?
Created: 2 months ago
A
আইন
B
প্রথা
C
শুল্ক
D
রাজস্বনীতি
‘Custom’ শব্দের অর্থ হচ্ছে — কোনো সমাজের প্রথা, অভ্যাস বা রীতিনীতি।
অন্যদিকে,
‘Customs’ শব্দের অর্থ — শুল্ক বিভাগ বা কাস্টমস অফিস।
‘Act’ শব্দের অর্থ — আইন বা বিধান।
‘Duty’ শব্দের অর্থ — শুল্ক বা কর।
উৎস: প্রশাসনিক পরিভাষা, বাংলা একাডেমি।

0
Updated: 2 months ago
নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
Created: 3 months ago
A
কষ্ট
B
উপনিষৎ
C
কল্যাণীয়েষু
D
আষাঢ়
আষাঢ় শব্দে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রকৃতি: স্বাভাবিক প্রয়োগ বা ষ-ত্ব বিধান?
ষ-ত্ব বিধান কী?
বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য ‘ষ’ ধ্বনি সাধারণভাবে প্রচলিত নয়। দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ষ’ লেখা হয় না। তবে কিছু তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়মকেই বলা হয় ষ-ত্ব বিধান।
‘ষ’ ব্যবহারের প্রধান নিয়মাবলি:
১. ঋ অথবা ঋ-কার যুক্ত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ হয়। যেমন: ঋষি, উৎকৃষ্ট, কৃষক।
২. ট-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে তার সাথে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কষ্ট, নষ্ট, স্পষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
৩. অ ও আ ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনি, এবং ক কিংবা র-এর পরে প্রত্যয়ের ‘স’ → ‘ষ’ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চিকীর্ষা, চক্ষুষ্মান।
৪. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গযুক্ত কিছু ধাতুর ক্ষেত্রে ‘স’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ষ’ হয়। যেমন: অভিষেক (অভি + সেক), সুষুপ্ত (সু + সুপ্ত), অনুষঙ্গ, সুষমা।
৫. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর অনেক সময় ‘ষ’ হয়। উদাহরণ: বর্ষা, বর্ষণ, ঘর্ষণ।
৬. কিছু শব্দে স্বভাবগতভাবেই মূর্ধন্য ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আষাঢ়, ঊষা, রোষ, কোষ, ভাষণ, পৌষ, ষড়ঋতু।
যেসব ক্ষেত্রে ষ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়:
-
বিদেশি শব্দ, যেমন আরবি, ফারসি, ইংরেজি থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ হয় না। উদাহরণ: মাস্টার, পোশাক, পোস্ট, জিনিস।
-
‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত সংস্কৃত শব্দেও সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না। যেমন: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
তৎসম শব্দে সঠিক বানান নির্ধারণে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আষাঢ় শব্দে 'ষ' স্বভাবতই ব্যবহার হয়েছে—এটি ষ-ত্ব বিধান অনুযায়ী নয়, বরং ব্যতিক্রমধর্মী একটি শব্দের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 3 months ago
'ইতরবিশেষ’ বলতে বােঝায়—
Created: 1 month ago
A
দুর্বৃত্ত
B
চালাকি
C
পার্থক্য
D
অপদার্থ
ইতরবিশেষ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আগত এবং এর অর্থ হলো সামান্য পার্থক্য। এটি সাধারণত কোনো বিষয় বা ব্যক্তির বিশেষ দিককে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। বাংলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা ও তাদের অর্থ হলো:
-
গভীর জলের মাছ: খুব চালাক বা চতুর ব্যক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
ঘটিরাম/অকাল কুষ্মান্ড: অপদার্থ বা অযোগ্য ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
বকধার্মিক: ভণ্ড বা দু-faced ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 month ago