A
নিরঞ্জনের রুষ্মা
B
দোহাকোষ
C
গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস
D
ময়নামতির গান
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/গানের সংকলন। এটি আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
আবিষ্কার ও প্রকাশ: ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ আধুনিক লিপিতে এটি প্রকাশ করে।
-
সম্পাদনা: হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়।
-
রচয়িতা ও বিষয়বস্তু: চর্যাপদের গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন। এতে বৌদ্ধধর্মের চিন্তা-ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
কবির সংখ্যা ও পদসংখ্যা:
-
সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন কবির নাম পাওয়া যায় এবং পদসংখ্যা ৫১টি; তবে তিনি ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘Buddhist Mystic Songs’-এ ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
-
অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র। ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
অন্যান্য সাহিত্য নিদর্শন:
-
‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ – অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
শুকুর মহম্মদের গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস ও ভবানী দাসের ময়নামতির গান – নাথ সাহিত্য তথা মধ্যযুগের সাহিত্য নিদর্শন।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
'জ্বর' শব্দের দ্বিরুক্তিতে কোন অর্থ প্রকাশ পায়?
Created: 2 days ago
A
সামান্য
B
আধিক্য
C
আতিশয্য
D
অনুরূপ
বাংলা
দ্বিরুক্ত শব্দ/শব্দদ্বিত্ব
ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
No subjects available.
দ্বিরুক্ত শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, তা দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত বা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। এইভাবে পরপর দুইবার ব্যবহৃত শব্দকে দ্বিরুক্ত বলা হয়।
উদাহরণ:
-
'জ্বর' → জ্বর জ্বর (সামান্য অর্থ প্রকাশ পায়)
বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তির অর্থ:
-
আধিক্য বোঝাতে: রাশি রাশি ধান, থোকা থোকা জাম
-
সামান্য বোঝাতে: আমি আজ জ্বর জ্বর অনুভব করছি
-
পরম্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে: তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ
-
ক্রিয়া বিশেষণ বোঝাতে: সে ধীরে ধীরে যায়
-
অনুরূপ বোঝাতে: তার সঙ্গী-সাথী কেউ নেই
-
আগ্রহ বোঝাতে: সে মা মা বলে কাঁদছে
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ); মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 days ago
ণত্ব বিধান বাংলা বানানে কোন শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
Created: 4 days ago
A
সংস্কৃত
B
বিদেশি শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দের বানানে মূধন্য ণ এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণত্ব বিধান। বাংলা ভাষায় সাধারণত মূর্ধন্য - ণ ধ্বনির ব্যবহার নেই। সে জন্য বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে মূর্ধন্য - ণ বর্ণ লেখার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু বাংলা ভাষায় বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য - ণ এবং দন্ত্য - ন এর ব্যবহার আছে। তা বাংলায় অবিকৃতভাবে রক্ষিত হয়।

0
Updated: 4 days ago
'বেটাইম' শব্দটি গঠিত হয়েছে-
Created: 1 month ago
A
ফারসি ও ইংরেজি শব্দে
B
ফরাসি ও ইংরেজি শব্দে
C
ফারসি ও ফরাসি শব্দে
D
ফারসি ও হিন্দি শব্দে
‘বেটাইম’ শব্দে বে ফারসি উপসর্গ এবং টাইম ইংরেজি শব্দ।
- অর্থাৎ ফারসি উপসর্গ এবং ইংরেজি শব্দের সমন্বয়ে বেটাইম শব্দটি গঠিত।
অর্থ:
- অসময়,
- অসুবিধাজনক সময়।
- কোনাে কোনাে সময় দেশি ও বিদেশি শব্দের মিলনে শব্দদ্বৈত সৃষ্টি হয়ে থাকে।
যেমন:
- ‘কাঁচামাল’ (বাংলা + আরবি),
- রাজা-বাদশা (তৎসম + ফারসি),
- হাট-বাজার (বাংলা + ফারসি),
- চৌহদ্দি ( বাংলা + ফারসি),
- হেড-পণ্ডিত (ইংরেজি+তৎসম) ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।

0
Updated: 1 month ago