নিচের কোনটি ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয়?
A
প্রাতিপদিক
B
অভিশ্রুতি
C
অপিনিহিতি
D
ধ্বনি-বিপর্যয়
উত্তরের বিবরণ
• 'প্রাতিপদিক' ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ নয়।
প্রাতিপদিক:
বিভক্তিহীন নাম শব্দকে প্রাতিপদিক বলে। যেমন: মুখ, পা, বই ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
উচ্চারণের সুবিধার জন্য ধ্বনি পরিবর্তন করা হয়। স্বরসঙ্গতি, অপনিহিতি এবং ব্যঞ্জন বিকৃতি ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ।
• স্বরসঙ্গতি:
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
যেমন:
- দেশি > দিশি,
- বিলাতি > বিলিতি,
- শিকা > শিকে,
- মুলা > মুলো ইত্যাদি।
• অপিনিহিতি:
পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
যেমন:
- আজি > আইজ,
- সাধু > সাউধ,
- মারি > মাইর ইত্যাদি।
• ব্যঞ্জন বিকৃতি:
শব্দ-মধ্যে কোনাে কোনাে সময় কোনাে ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি।
যেমন:
- কবাট > কপাট,
- ধােবা > ধােপা,
- ধাইমা > দাইমা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
যৌগিক ধ্বনি
B
অক্ষর
C
বর্ণ
D
মৌলিক স্বরধ্বনি
অক্ষর (Syllable)
-
মানুষের কণ্ঠযন্ত্রের সামান্য প্রয়াসে উচ্চারিত ক্ষুদ্রতম ধ্বনি বা শব্দাংশকে অক্ষর বা সিলেবল বলা হয়।
-
অক্ষর প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে—
(ক) মুক্তাক্ষর
(খ) বদ্ধাক্ষর
মুক্তাক্ষর
-
যখন একটি অক্ষর কেবলমাত্র একটি স্বরবর্ণ দ্বারা গঠিত হয়, তখন তাকে মুক্তাক্ষর বলে।
-
একে স্বরান্ত অক্ষর বা অযুগ্ম ধ্বনিও বলা হয়।
-
মুক্তাক্ষরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এর উচ্চারণ শেষে মুখ খোলা থাকে এবং অক্ষরকে চাইলে দীর্ঘায়িত করে উচ্চারণ করা যায়।
-
উদাহরণ: “ভালোবাসো যদি বলিবে না কেন?”
এখানে (ভা), (লো), (বা), (সো), (য), (দি), (ব), (লি), (বে), (না), (কে), (ন)—মোট ১২টি অক্ষরই মুক্তাক্ষর। -
মুক্তাক্ষর সাধারণত U চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
বদ্ধাক্ষর
-
যে সব অক্ষরের সমাপ্তি ঘটে ব্যঞ্জনধ্বনি বা অর্ধস্বরধ্বনি দিয়ে, সেগুলোকে বদ্ধাক্ষর বলা হয়।
-
একে যুগ্মাস্বরান্ত বা ব্যঞ্জনান্ত ধ্বনিও বলা হয়।
-
উদাহরণ: “সোম বার দিনরাত হরতাল।”
এখানে (সোম্), (বার্), (দিন্), (রাত), (হর্), (তাল্)—এই ৬টি অক্ষর বদ্ধাক্ষর। -
বদ্ধাক্ষরকে সাধারণত ( – ) চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়।
উৎস: বাংলা কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
'মরূদ্যান' এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ-
Created: 1 week ago
A
মরূ + উদ্যান
B
মরূ + দ্যান
C
মরু + উদ্যান
D
মরূ + ঊদ্যান
‘মরূদ্যান’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ হলো ‘মরু + উদ্যান’, যা একটি স্বরসন্ধি। এখানে দুটি শব্দ যুক্ত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করেছে, যেখানে স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটেছে।
তথ্য অনুযায়ী:
-
যখন উ-কার অথবা ঊ-কার এর পর আবার উ-কার বা ঊ-কার আসে, তখন তারা মিলিত হয়ে ঊ-কার হয়।
-
এছাড়া, উ-কার সবসময় পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির সাথে যুক্ত হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
উ + উ = ঊ → মরু + উদ্যান = মরূদ্যান
-
উ + ঊ = ঊ → বহু + ঊর্ধ্ব = বহূর্ধ্ব
-
ঊ + উ = ঊ → বধূ + উৎসব = বধূৎসব
-
ঊ + ঊ = ঊ → ভূ + ঊর্ধ্ব = ভূর্ধ্ব

0
Updated: 1 week ago
'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' প্রবাদের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
বুদ্ধির জোরে কষ্ট এড়িয়ে কার্যসিদ্ধি
B
নিজেকে সংশ্লিষ্ট না করা
C
নির্বুদ্ধিতা- চালাকি ধরা পড়া
D
দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি ক্ষতির ভয়ে ভীত হয় না
বাংলা ভাষায় প্রচলিত প্রবচনগুলো সাধারণত বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ও জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা প্রকাশ করে। এগুলোর মাধ্যমে সমাজের নানা বাস্তবতাকে সংক্ষেপে বোঝানো হয়। নিচে কিছু প্রবচনের অর্থ দেওয়া হলো—
ধরি মাছ না ছুঁই পানি অর্থ বুদ্ধির জোরে কষ্ট এড়িয়ে কার্যসিদ্ধি করা।
কানে দিয়েছি তুলো পিঠে বেঁধেছি কুলো অর্থ কোনো বিষয়ে নিজেকে সম্পূর্ণ অসংশ্লিষ্ট রাখা।
ঠাকুর ঘরে কে? না, আমি কলা খাইনি অর্থ নির্বুদ্ধিতা বা চালাকি ধরা পড়ে যাওয়া।
ভাঙবে তো মচকাবে না অর্থ দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি ক্ষতির ভয়কে তোয়াক্কা করে না।
উৎস:

0
Updated: 1 month ago