A
অনুলোম-প্রতিলোম
B
নশ্বর-শাশ্বত
C
গরিষ্ঠ-লঘিষ্ঠ
D
হৃষ্ট-পুষ্ট
উত্তরের বিবরণ
বিপরীতার্থক শব্দ নয়- হৃষ্টপুষ্ট।
• হৃষ্টপুষ্ট (বিশেষণ পদ),
- এটি একটি সংস্কৃত শব্দ।
অর্থ:
- মোটা,
- স্থূলকায়।
অন্যদিকে,
• ‘গরিষ্ঠ’ এর বিপরীতার্থক শব্দ - লঘিষ্ঠ।
• অবিনশ্বর/শাশ্বত শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ - নশ্বর।
• অনুলোম শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ - প্রতিলোম।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলে?
Created: 2 weeks ago
A
ফলা
B
কার
C
ধ্বনি
D
অক্ষর
স্বরবর্ণের এবং কতগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের দুটি রুপ রয়েছে। স্বরবর্ণ যখন নিরপেক্ষ বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়,অর্থাৎ কোন বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় না, তখন এর পূর্ণরূপ লেখা হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা পূর্নরূপ। আর স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কার বলে। এর অপর নাম সংক্ষিপ্ত স্বর। কার ১০ টি।

0
Updated: 2 weeks ago
'ময়ূর' শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
Created: 2 days ago
A
কেকী
B
শিখণ্ডী
C
উরগ
D
বর্হী
সমার্থক শব্দের উদাহরণ
১. ময়ূর
-
অর্থ: উজ্জ্বল ও সুন্দর পালকযুক্ত পাখি
-
সমার্থক শব্দ: কলাপী, কেকী, শিখী, শিখণ্ডী, বর্হী, বর্হিণ
২. সাপ
-
অর্থ: বিষধর বা অ-বিষধর সরীসৃপ
-
সমার্থক শব্দ: আশীবিষ, উরগ
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 days ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 1 month ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশ
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য
উপসর্গ হলো সেই অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থসহ শব্দ তৈরি করে, আর প্রত্যয় হলো অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের পরে যোগ হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে।
উপসর্গ
-
উপসর্গ হলো এমন ছোট ছোট অর্থহীন অংশ যা শব্দের শুরুতে বসে এবং নতুন অর্থবহ শব্দ তৈরি করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ‘অজানা’ শব্দে ‘অ’, ‘অভিযোগ’ শব্দে ‘অভি’, ‘বেতার’ শব্দে ‘বে’ অংশগুলো উপসর্গ।
-
উপসর্গ নিজে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে না, কিন্তু এটি নতুন শব্দে অর্থের দ্যোতনা বা বৈচিত্র্য আনে। তাই বলা হয়, “উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই, তবে অর্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
-
বাংলায় প্রায় পঞ্চাশের বেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার গতিপথ অনুযায়ী, উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ,
৩. বিদেশি উপসর্গ।
প্রত্যয়
-
প্রত্যয় হলো শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হওয়া অর্থহীন অংশ যা নতুন শব্দ গঠনে সহায়তা করে।
-
যেমন: ‘বাঘ’ + ‘আ’ = ‘বাঘা’, ‘দিন’ + ‘ইক’ = ‘দৈনিক’।
-
প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার—
১. কৃৎ প্রত্যয়:
ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দাংশ যা ক্রিয়ারূপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ‘চল’ + ‘ন্ত’ = ‘চলন্ত’, ‘কৃ’ + ‘তব্য’ = ‘কর্তব্য’।
বাংলায় কৃৎ প্রত্যয়ের দুটি রূপ পাওয়া যায়—বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।
যেমন: ‘চোর’ + ‘আ’ = ‘চোরা’, ‘কেষ্ট’ + ‘আ’ = ‘কেষ্টা’, ‘ডিঙি’ + ‘আ’ = ‘ডিঙা’, ‘হাত’ + ‘আ’ = ‘হাতা’।সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago