A
প্রথমটি অশুদ্ধ, দ্বিতীয়টি শুদ্ধ
B
প্রথমটি শুদ্ধ, দ্বিতীয়টি অশুদ্ধ
C
দুটোই অশুদ্ধ
D
দুটোই শুদ্ধ
উত্তরের বিবরণ
প্রদত্ত বাক্যে ‘পুরষ্কার’ ও ‘পরিস্কার’ শব্দ দুটি ভুলভাবে লেখা হয়েছে। সঠিক বানান হলো ‘পুরস্কার’ ও ‘পরিষ্কার’।
কেন এমন হয়:
বাংলায় বিসর্গযুক্ত ধ্বনির সঙ্গে যখন কোনো বর্ণ মিলিত হয় (সন্ধি), তখন সাধারণত নিম্নলিখিত নিয়ম প্রযোজ্য:
-
অ-ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গযুক্ত শব্দের মিলন:
-
অ-ধ্বনি বা মুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘স’ যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ:
-
পুরঃ + কার = পুরস্কার
-
নমঃ + কার = নমস্কার
-
বনঃ + স্পতি = বনস্পতি
-
-
-
ই-ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গযুক্ত শব্দের মিলন:
-
ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘ষ’ যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ:
-
পরি + ই-ধ্বনি → পরিষ্কার
-
বহিঃ + কার = বহিষ্কার
-
নিষ্কলঙ্ক, নিষ্প্রভ, নিষ্পন্ন
-
-
⚠️ তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন স্প / স্ত / স্থ থাকলে ‘ষ’ হয় না। যেমন: নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ, দুস্থ।
উৎস:
-
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago
শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
কোলন
B
সেমিকোলন
C
কমা
D
হাইফেন
• কমা (,) এর ব্যবহার:
- কমা সামান্য বিরতি নির্দেশ করে। শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমার ব্যবহার হয়।
যেমন:
- গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত বাংলাদেশ এই ছয়টি ঋতুর দেশ।
- নিবিড় অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম ও সময়নিষ্ঠ থাকলে সাফল্য আসবে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, "পাপকে ঠেকাবার জন্যে কিছুনা করাই তো পাপ।"

0
Updated: 4 weeks ago
নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে-
Created: 1 month ago
A
কল্যাণীয়াষু
B
সুচরিতেষু
C
শ্রদ্ধাস্পদাসু
D
প্রীতিভাজনেষু
• পত্রে নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দ- শ্রদ্ধাস্পদাসু।
• শ্রদ্ধাভাজন, স্নেহভাজন নারীদের লিখিত পত্রের সম্বোধনগুলো হলো:
- শ্রদ্ধাভাজনাসু, শ্রদ্ধাস্পদাসু, কল্যাণীয়াসু ইত্যাদি।
• শ্রদ্ধাভাজন, স্নেহভাজন পুরুষ ও বন্ধুদের লিখিত পত্রের সম্বোধনগুলো হলো:
- শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু, সুচরিতেষু, প্রীতিভাজন ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।

0
Updated: 1 month ago
মধ্যস্বর লোপ পেয়েছে নিচের কোন উদাহরণে?
Created: 3 weeks ago
A
আশা > আশ
B
আজি > আজ
C
অগুরু > অগ্র
D
উদ্ধার > উধার > ধার
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ
যখন কোনো শব্দ দ্রুত উচ্চারণ করার কারণে তার শুরু, মাঝখান বা শেষে থাকা কোনো স্বরধ্বনি (অ, আ, ই ইত্যাদি) হারিয়ে যায়, তখন তাকে সম্পরকর্ষ বা স্বরলোপ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
বসতি → বস্তি,
-
জানালা → জান্লা।
• আদি স্বরলোপ:
শব্দের শুরুর স্বর যদি বাদ যায়, তখন তাকে আদি স্বরলোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অলাবু → লাবু → লাউ,
-
উদ্ধার → উধার → ধার।
• মধ্যস্বর লোপ:
শব্দের মাঝখানে থাকা স্বর বাদ গেলে তাকে মধ্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অগুরু → অগ্র,
-
সুবর্ণ → স্বর্ণ।
• অন্ত্যস্বর লোপ:
শব্দের শেষের স্বর বাদ পড়লে তাকে অন্ত্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
আশা → আশ,
-
আজি → আজ,
-
চারি → চার,
-
সন্ধ্যা → সঞঝা → সাঁঝ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 3 weeks ago