Dengue fever is spread by-
A
Aedes aegypti mosquito
B
Common House flies
C
Anopheles mosquito
D
Rats and squirrels
উত্তরের বিবরণ
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বর হলো একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ যা এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষ করে Aedes aegypti প্রজাতির মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বাহক। সংক্রমণের ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সাধারণত রোগীর শরীরে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশি ও গাঁটের ব্যথা এবং চামড়ায় ফুসকুড়ি দেখা দেয়। সাধারণত ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে যায়।
ইতিহাস অনুযায়ী, চীনে ডেঙ্গু প্রথম শনাক্ত হয় ৯৯২ খ্রিস্টাব্দে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানায়, ১৯৫০-এর দিকে ফিলিপিন্স এবং থাইল্যান্ডে মহামারী আকারে প্রথম ডেঙ্গু রোগ দেখা যায়। বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৬০ সালে। প্রথমবারের মতো ঢাকায় একসাথে অনেকের মধ্যে এই জ্বর দেখা যাওয়ায় এটিকে ‘ঢাকা ফিভার’ বলা হয়। ২০০০ সালে বাংলাদেশে এটি মহামারী আকার ধারণ করে।
উৎস: World Health Organization (WHO) ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
মানুষের শরীরের রক্তের গ্রুপ কয়টি?
Created: 2 weeks ago
A
চারটি
B
পাঁচটি
C
তিনটি
D
দুইটি
মানুষের রক্তকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা O, A, B এবং AB। রক্তের গ্রুপ বা ব্লাড গ্রুপ নির্ধারণ করা হয় লোহিত রক্ত কণিকার (RBC) প্লাজমা মেমব্রেনে থাকা অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে।
মানুষের রক্তে প্রধানত A এবং B ধরণের অ্যান্টিজেন থাকতে পারে, যা রক্তের শ্রেণীবিন্যাস নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
-
O রক্তের গ্রুপ
-
O গ্রুপের RBC-এর ঝিল্লিতে কোন অ্যান্টিজেন নেই।
-
O রক্তের গ্রুপের ব্যক্তি সাধারণত সর্বজনীন রক্ত দাতা হিসেবে পরিচিত।
-
তারা শুধুমাত্র O রক্তের গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে।
-
-
AB রক্তের গ্রুপ
-
AB গ্রুপের RBC-তে A এবং B দুটি অ্যান্টিজেনই থাকে।
-
AB রক্তের গ্রুপকে সর্বজনীন গ্রহীতা বলা হয়, কারণ তারা সব রক্তের গ্রুপ গ্রহণ করতে পারে।
-
শুধুমাত্র AB গ্রুপের ব্যক্তিদের রক্ত দিতে পারে।
-
-
A রক্তের গ্রুপ
-
A গ্রুপের RBC-তে A অ্যান্টিজেন থাকে।
-
A গ্রুপের ব্যক্তি শুধুমাত্র A এবং O রক্তের গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে।
-
তারা রক্ত দিতে পারে A এবং AB রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিদের।
-
-
B রক্তের গ্রুপ
-
B গ্রুপের RBC-তে B অ্যান্টিজেন থাকে।
-
B গ্রুপের ব্যক্তি শুধুমাত্র B এবং O রক্তের গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে।
-
তারা রক্ত দিতে পারে B এবং AB রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিদের।
-

0
Updated: 2 weeks ago
ঘর্মাক্ত দেহে পাখার বাতাস আরাম দেয় কেন?
Created: 1 month ago
A
গায়ের ঘাম বের হতে দেয় না
B
বাষ্পায়ন শীতলতার সৃষ্টি করে
C
পাখার বাতাস শীতল জলীয়বাষ্প ধারণ করে
D
পাখার বাতাস সরাসরি লোমকূপ দিয়ে শরীরে ঢুকে যায়
দেহের স্বাচ্ছন্দ্য এবং বায়ুর আর্দ্রতা
আমাদের শরীর কতটা আরামবোধ করে তা অনেকটাই নির্ভর করে চারপাশের বায়ুর আর্দ্রতার ওপর। যখন আমরা হাঁটাচলা করি, শারীরিক পরিশ্রম করি, বা দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তখন আমাদের শরীরে ঘাম উৎপন্ন হয়। ঘাম মূলত শরীরের ভেতরের জলীয় কণার আকারে থাকে।
শরীরের সাথে সংস্পর্শে আসা বাতাস এই ঘামকে শোষণ করে এবং দেহ থেকে তাপ নিয়ে বাষ্পায়িত করে। বাষ্পায়ন প্রক্রিয়ায় দেহের তাপ হ্রাস পায়, ফলে আমরা শীতলতা অনুভব করি এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
কিন্তু গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। এতে ঘাম বাষ্পায়িত হয় না বা খুব কম হয়। ফলস্বরূপ, ঘাম শুকায় না এবং দেহ অস্বস্তিকর অনুভব করে। তাই সেই সময় আমাদের স্বাচ্ছন্দ্য কমে যায়।
উৎস: পদার্থ প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
হিগের কণার (Higgs Particle) প্রকৃতির সাথে কোন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর নাম জড়িয়ে আছে?
Created: 3 weeks ago
A
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু
B
সত্যেন্দ্র নাথ বসু
C
প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম
D
ড. কুদরত-ই-খুদা
বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু 1924 সালে কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে বিকিরণ সম্পর্কিত কোয়ান্টাম সংখ্যায়নতত্ত্ব প্রদান করেন। এজন্য তাঁকে কোয়ান্টাম সংখ্যায়নতত্ত্বের জনক বলা হয়।
তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একশ্রেণির মৌলিক কণার নামকরণ করা হয় বোসন (Boson)। 1900 থেকে 1930 সালের মধ্যে হাইজেনবার্গ, শ্রোডিঙ্গার ও ডিরাকসহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা মিলে পদার্থের কোয়ান্টাম তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বোসন (Boson)
-
মৌলিক বলগুলো কাজ করে কণার আদান-প্রদানের মাধ্যমে, আর সেই বলবাহী কণাগুলো হলো বোসন।
-
এদের স্পিন পূর্ণসংখ্যা (0, 1 ইত্যাদি)।
-
বোসন কণা পাউলির বর্জন নীতি (Pauli’s Exclusion Principle) মানে না।
-
এদের আলাদা কোনো প্রতিকণা নেই, অর্থাৎ এরা নিজেরাই নিজেদের প্রতিকণা।
-
স্ট্যান্ডার্ড মডেল অনুসারে বোসন দুই ধরনের: গেজ বোসন এবং হিগস বোসন।
(i) গেজ বোসন (Gauge Boson)
-
এদের স্পিন হলো 1।
-
প্রধান কণাগুলো হলো: গণ্ডুওন (g), ফোটন (γ), এবং W ও Z বোসন।
-
গণ্ডুওন (Gluon): সবল নিউক্লীয় বল বহন করে। এর নিশ্চল ভর শূন্য।
-
ফোটন (Photon): তাড়িতচৌম্বক বল বহন করে। এর নিশ্চল ভরও শূন্য।
-
W ও Z বোসন: W+, W- এবং W0—এই কণাগুলো দুর্বল নিউক্লীয় বলের বাহক। এদের ভর রয়েছে।
-
(ii) হিগস বোসন (Higgs Boson)
-
এর স্পিন 0 হলেও এর ভর রয়েছে।
-
হিগস বোসন বুঝতে হলে হিগস ক্ষেত্র (Higgs Field) সম্বন্ধে জানতে হবে।
-
হিগস ক্ষেত্র হলো একটি তাত্ত্বিক বলক্ষেত্র যা সর্বত্র বিদ্যমান এবং এর কাজ হলো মৌলিক কণাকে ভর প্রদান করা।
-
কোনো ভরহীন কণা যখন হিগস ক্ষেত্রে প্রবেশ করে তখন ধীরে ধীরে ভর লাভ করে এবং এর গতিবেগ কমে যায়।
-
ভর হিগস বোসনের মাধ্যমে কণাতে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ হিগস ক্ষেত্র ভর সৃষ্টি করে না, শুধু স্থানান্তর করে।
-
এই হিগস বোসনই ঈশ্বর কণা (God Particle) নামে পরিচিত।

0
Updated: 3 weeks ago