গাড়ির ব্যাটারিতে কোন এসিড ব্যবহৃত হয়?
A
নাইট্রিক
B
সালফিউরিক
C
হাইড্রোক্লোরিক
D
পারক্লোরিক
উত্তরের বিবরণ
এসিডের ব্যবহার
এসিড আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানায় অপরিহার্য। কিছু উদাহরণ হলো:
-
সোনার গহনা তৈরিতে নাইট্রিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
-
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও যানবাহন, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং মাইক্রোইলেকট্রনিক্সে সালফিউরিক এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
বাসাবাড়িতে সাপ এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কার্বোলিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
-
পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়ার জন্য আমাদের শরীর হাইড্রোক্লোরিক এসিড ব্যবহার করে।
-
সার কারখানা, পেইন্ট, কাগজ, ডিটারজেন্ট, ঔষধ, কীটনাশক, বিস্ফোরক এবং রেয়ন উৎপাদনে সালফিউরিক এসিড অপরিহার্য।
-
কোনো দেশের শিল্পোন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে সালফিউরিক এসিডের ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।
-
ইস্পাত, চামড়া, ঔষধ শিল্পে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ব্যবহার ব্যাপক।
-
সার উৎপাদন, বিস্ফোরক প্রস্তুতি, ধাতু আহরণ (যেমন সোনা) এবং রকেট জ্বালানিতে নাইট্রিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
জারণ বিক্রিয়ায় ঘটে-
Created: 2 months ago
A
ইলেক্ট্রন বর্জন
B
ইলেক্ট্রন গ্রহণ
C
ইলেক্ট্রন আদান-প্রদান
D
তড়িৎ ধনাত্মক মৌলের বা মূলকের অপসারণ
রেডক্স বিক্রিয়া
-
জারণ-বিজারণ এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে ইলেকট্রন এক পদার্থ থেকে অন্য পদার্থে স্থানান্তরিত হয়।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
"Redox" শব্দটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে—Reduction (বিজারণ) এর “Red” এবং Oxidation (জারণ) এর “Ox” অংশ মিলিয়ে। অর্থাৎ, রেডক্স মানে হলো জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় কোনো পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, আর জারণ প্রক্রিয়ায় পদার্থটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে।
-
এ ধরনের বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।
-
সব জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া মূলত ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ কত?
Created: 1 month ago
A
২৮০ m/s
B
০
C
৩৩২ m/s
D
১১২০ m/s
শব্দের গতি এবং মাধ্যম
-
শব্দ হল এক ধরনের যান্ত্রিক তরঙ্গ, অর্থাৎ শব্দ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন।
-
কঠিন পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি হয়, যেমন ইস্পাত বা লোহা। কারণ এখানে কণাগুলোর ঘনত্ব বেশি এবং তারা কম দমনীয়।
-
তরল পদার্থে (যেমন পানি) শব্দের গতি কঠিনের তুলনায় কম।
-
বায়বীয় পদার্থে (যেমন বায়ু) শব্দের গতি আরও কম।
-
শূন্য বা ভ্যাকুয়ামে শব্দ যেতে পারে না, তাই এখানে শব্দের বেগ শূন্য হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো—
Created: 4 weeks ago
A
পিল্লি
B
ফ্লাজেলা
C
শীথ
D
ক্যাপসুলস
ফ্ল্যাজেলা, পিলি এবং ক্যাপসিউল ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন বহিরঙ্গ উপাঙ্গ যা তাদের চলাচল, সংযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এগুলো কোষ প্রাচীরের বাইরে অবস্থান করে এবং বিশেষ প্রোটিন বা পলিমারের মাধ্যমে গঠিত। মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ফ্ল্যাজেলা হলো প্রোটোপ্লাজম দ্বারা গঠিত একটি সূত্রাকৃতির উপাঙ্গ, যা কোষ প্রাচীর ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে। এটি ফ্ল্যাজেলিন নামক প্রোটিন দ্বারা তৈরি। ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া তরল মাধ্যমে চলাফেরা করতে পারে।
-
ফ্ল্যাজেলার চেয়ে ছোট ও শক্ত উপাঙ্গকে পিলি বলা হয়। পিলি পিলিন নামক প্রোটিন দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়াকে কোনো পৃষ্ঠের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে সহায়তা করে।
-
ক্যাপসিউল হলো একটি স্তর, যা পলিস্যাকারাইড বা পলিপেপটাইড দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বাইরে থাকে। এটিকে স্লাইম স্তরও বলা হয় এবং এটি ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করে।

0
Updated: 4 weeks ago