মানবদেহে শক্তি উৎপাদনের প্রধান উৎস-
A
পরিপাক
B
খাদ্য গ্রহণ
C
শ্বসন
D
রক্ত সংবহন
উত্তরের বিবরণ
শ্বসন
শ্বসন হলো সেই প্রক্রিয়া যেখানে জটিল খাদ্যদ্রব্য যেমন শর্করা, প্রোটিন, এবং চর্বি এনজাইমের সাহায্যে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ভেঙ্গে সহজ যৌগে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়ার সময় কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) ও পানি (H₂O) উৎপন্ন হয়।
শ্বসনের মাধ্যমে যে শক্তি তৈরি হয়, তা জীবের বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তাই মানবদেহে শক্তি উৎপাদনের মূল উৎস হলো শ্বসন।
শ্বসন প্রধানত কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া ও সাইটোপ্লাজমে ঘটে, তবে মূলভাবে এটি মাইটোকন্ড্রিয়াতেই সংঘটিত হয়।
অক্সিজেনের প্রয়োজন অনুযায়ী শ্বসনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়:
-
সবাত শ্বসন (Aerobic respiration): যেখানে অক্সিজেন প্রয়োজন।
-
অবাত শ্বসন (Anaerobic respiration): যেখানে অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো—
Created: 4 weeks ago
A
R3NH+
B
SO3-Na+
C
R2NH2+
D
COO-Na+
সাবান মূলত উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণের সংমিশ্রণ। রাসায়নিকভাবে এটি সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa) নামে পরিচিত। সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো COO⁻Na⁺, যা এর ক্লিনিং ক্ষমতার মূল কারণ।
সাধারণত সাবান তৈরি করা হয় চর্বি এবং ক্ষারকে প্রতিক্রিয়ায় আনা মাধ্যমে। সাবান তৈরির প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত হিসেবে গ্লিসারিন উৎপন্ন হয়।
-
সাধারণত সাবান হলো উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম লবণ (R-COONa) বা উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের পটাশিয়াম লবণ (R-COOK)।
-
রাসায়নিক নাম: সোডিয়াম স্টিয়ারেট (C17H35COONa)।
-
আয়নিক গ্রুপ: COO⁻Na⁺।
-
তৈরির প্রক্রিয়া: চর্বি এবং ক্ষারের প্রতিক্রিয়া।
-
উপজাত: গ্লিসারিন।

0
Updated: 4 weeks ago
অ্যালুমিনিয়াম সালফেটকে চলতি বাংলায় কী বলে?
Created: 2 months ago
A
ফিটকিরি
B
চুন
C
সেভিং সোপ
D
কস্টিক সোডা
পটাশ অ্যালাম (ফিটকিরি)
-
ফিটকিরির রাসায়নিক সংকেত: K₂SO₄.Al₂(SO₄)₃.24H₂O
-
এটি এক ধরনের দ্বি-লবণ, কারণ এতে দুই ধরনের লবণ থাকে: পটাশিয়াম সালফেট এবং অ্যালুমিনিয়াম সালফেট।
-
এটি সাধারণত পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহৃত হয়।
-
ফিটকিরি নামেই এটি সাধারণ মানুষ চেনে।
-
কঠিন অবস্থায় এটি কেলাস আকৃতির স্ফটিক আকারে থাকে।
-
এতে ২৪ অণু পানি যুক্ত থাকে, যাকে কেলাস পানি বলে।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন বই ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি প্রোগ্রামের রসায়ন পাঠ্যবই।

0
Updated: 2 months ago
ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জন্ডিস
B
এইডস
C
নিউমোনিয়া
D
চোখ ওঠা
ভাইরাসজনিত রোগ
-
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ভাইরাসজনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু ভাইরাসজনিত রোগ হলো: এইডস, জন্ডিস, কোভিড-১৯, হার্পিস, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, পোলিও, জলাতঙ্ক, ডেঙ্গু, ইবোলা ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বলা হয়।
-
এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ মন্তব্য
নিউমোনিয়া শুধু ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব দিয়েও হতে পারে। তাই অপশনভিত্তিক প্রশ্নে এটি কখনো ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে পড়লেও, মূলত এটি বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণে ঘটতে পারে। সুতরাং পরীক্ষায় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সঠিক উত্তর বেছে নিতে হবে।
চোখ ওঠা রোগ (Conjunctivitis)
-
চোখ ওঠা রোগের বৈজ্ঞানিক নাম কনজাংটিভাইটিস।
-
এটি চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহজনিত অসুখ।
-
এ রোগ সাধারণত ভাইরাস দ্বারা হয় এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক উদ্ভিদবিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক

0
Updated: 1 month ago