A
তামা
B
রূপা
C
সোনা
D
কার্বন
উত্তরের বিবরণ
পরিবাহিতা
স্থির তাপমাত্রায় কোন নির্দিষ্ট পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।
অর্থাৎ, কোনো পরিবাহীর স্থির তাপমাত্রায় দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V থাকা অবস্থায় এর ভিতর দিয়ে I পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহ হলে ও'মের সূত্রানুসারে,
I ∝ V
বা, I = GV
এখানে, G একটি সমানুপাতিক ধ্রুবক।
- একে পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা (conductance) বলে।
- পরিবাহীতায় একক সিমেন্স (Siemens)। একে সংক্ষেপে S দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
- একই বিভব পার্থক্যে যে পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যত বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হবে সে পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা তত বেশি।
- আবার একই বিভব পার্থক্যে যে পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যত কম তড়িৎ প্রবাহিত হবে সে পরিবাহীর রোধ তত বেশি।
- প্রকৃতপক্ষে কোনো পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা তার রোধের মানের বিপরীত সংখ্যা।
- উপাদান, তাপমাত্রা এবং আকার আকৃতির উপর পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা নির্ভর করে।
- তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সকল পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা হ্রাস পায়।
- সকল ধাতুই উত্তম পরিবাহী কিন্তু একই আকার আকৃতির সকল ধাতুর তড়িৎ পরিবাহিতা সমান নয়।
যেমন- রূপার তড়িৎ পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি।
- অপরদিকে জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদির তড়িৎ পরিবাহিতা সাধারণ তাপমাত্রায় খুবই কম।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
নিম্নের কোনটি বেকিং পাউডারের মূল উপাদানের সংকেত?
Created: 1 week ago
A
CaCO3
B
NaHCO3
C
NH4HCO3
D
(NH4)2CO3
আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করি। নিচে কিছু পরিচিত পদার্থ এবং তাদের রাসায়নিক সংকেত উল্লেখ করা হলো:
-
মিল্ক অফ লাইম (চুনাজল) – রাসায়নিক সংকেত: Ca(OH)₂
-
বেকিং সোডা / বেকিং পাউডার – রাসায়নিক সংকেত: NaHCO₃
-
চুনাপাথর – রাসায়নিক সংকেত: CaCO₃
-
ভিনেগার (সিরকা) – রাসায়নিক সংকেত: CH₃COOH
-
চুন (Quicklime) – রাসায়নিক সংকেত: CaO
অন্য সাধারণ রাসায়নিক পদার্থের সংকেত:
-
তুঁত (Blue Vitriol / Copper sulfate pentahydrate) – রাসায়নিক সংকেত: CuSO₄·5H₂O
-
ক্যালামিন – রাসায়নিক সংকেত: ZnCO₃
-
ফিটকিরি (Potash alum) – রাসায়নিক সংকেত: K₂SO₄·Al₂(SO₄)₃·24H₂O
-
গ্লুবার লবণ (Glauber’s salt) – রাসায়নিক সংকেত: Na₂SO₄·10H₂O
-
কাপড় কাচার সোডা (Washing soda) – রাসায়নিক সংকেত: Na₂CO₃·10H₂O
-
ক্লোরোফর্ম – রাসায়নিক সংকেত: CHCl₃
-
ব্লিচিং পাউডার – রাসায়নিক সংকেত: Ca(OCl)Cl
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি এবং বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
ঘর্মাক্ত দেহে পাখার বাতাস আরাম দেয় কেন?
Created: 1 week ago
A
গায়ের ঘাম বের হতে দেয় না
B
বাষ্পায়ন শীতলতার সৃষ্টি করে
C
পাখার বাতাস শীতল জলীয়বাষ্প ধারণ করে
D
পাখার বাতাস সরাসরি লোমকূপ দিয়ে শরীরে ঢুকে যায়
দেহের স্বাচ্ছন্দ্য এবং বায়ুর আর্দ্রতা
আমাদের শরীর কতটা আরামবোধ করে তা অনেকটাই নির্ভর করে চারপাশের বায়ুর আর্দ্রতার ওপর। যখন আমরা হাঁটাচলা করি, শারীরিক পরিশ্রম করি, বা দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তখন আমাদের শরীরে ঘাম উৎপন্ন হয়। ঘাম মূলত শরীরের ভেতরের জলীয় কণার আকারে থাকে।
শরীরের সাথে সংস্পর্শে আসা বাতাস এই ঘামকে শোষণ করে এবং দেহ থেকে তাপ নিয়ে বাষ্পায়িত করে। বাষ্পায়ন প্রক্রিয়ায় দেহের তাপ হ্রাস পায়, ফলে আমরা শীতলতা অনুভব করি এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
কিন্তু গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। এতে ঘাম বাষ্পায়িত হয় না বা খুব কম হয়। ফলস্বরূপ, ঘাম শুকায় না এবং দেহ অস্বস্তিকর অনুভব করে। তাই সেই সময় আমাদের স্বাচ্ছন্দ্য কমে যায়।
উৎস: পদার্থ প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
জারণ বিক্রিয়ায় ঘটে-
Created: 2 weeks ago
A
ইলেক্ট্রন বর্জন
B
ইলেক্ট্রন গ্রহণ
C
ইলেক্ট্রন আদান-প্রদান
D
তড়িৎ ধনাত্মক মৌলের বা মূলকের অপসারণ
রেডক্স বিক্রিয়া
-
জারণ-বিজারণ এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে ইলেকট্রন এক পদার্থ থেকে অন্য পদার্থে স্থানান্তরিত হয়।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
"Redox" শব্দটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে—Reduction (বিজারণ) এর “Red” এবং Oxidation (জারণ) এর “Ox” অংশ মিলিয়ে। অর্থাৎ, রেডক্স মানে হলো জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় কোনো পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, আর জারণ প্রক্রিয়ায় পদার্থটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে।
-
এ ধরনের বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।
-
সব জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া মূলত ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago