নুরুল মোমেন রচিত প্রথম নাটক কোনটি?
A
রূপান্তর
B
রূপলেখা
C
নেমেসিস
D
আলোছায়া
উত্তরের বিবরণ
নুরুল মোমেন:
- নুরুল মোমেন এর জন্ম ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায় ১৯০৬ সালে।
- নুরুল মোমেনের প্রথম নাটক ‘রূপান্তর’ ১৯৪২ সালে ঢাকা বেতার-এ প্রচারিত হয়। তিনি নিজে নাটকটি পরিচালনা করেন।
- ১৯৪৭ সালে নাটকটি গ্রন্থরূপে প্রকাশিত হয়। তাঁর 'নেমেসিস' নাটকটি প্রথম শনিবারের চিঠি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- 'নেমেসিস' নাটকটি পঞ্চাশ-দশকের মন্বন্তরের পটভূমিতে রচিত।
- নুরুল মোমেন রচিত প্রথম রম্যগ্রন্থ 'বহুরূপা'। ১৯৪৮ সালে ‘বহুরূপা’ নামক রম্যরচনাটি প্রকাশিত হয়।
নুরুল মোমেন রচিত অন্যান্য রম্যগ্রন্থ হলো:
- নরসুন্দর,
- হিংটিং ছট (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)।
নুরুল মোমেন রচিত বিখ্যাত নাটকসমূহ:
- নেমেসিস,
- যদি এমন হতো,
- নয়া খান্দান,
- আলোছায়া,
- আইনের অন্তরালে,
- শতকরা আশি,
- রূপলেখা,
- যেমন ইচ্ছা তেমন।

0
Updated: 1 month ago
‘সবুজপত্র’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
প্রমথ চৌধুরী
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
শামসুর রহমান
সবুজপত্র ছিল একটি প্রভাবশালী সাহিত্যপত্রিকা, যার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন প্রমথ চৌধুরী। এটি বাংলা গদ্যের ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
-
প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৯১৪ সালে মাসিক সবুজপত্র প্রথম প্রকাশিত হয়।
-
বাংলা বৈশাখ ১৩২১ বঙ্গাব্দে এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
-
বাংলা গদ্যের বিকাশে পত্রিকাটির অবদান ছিল অনন্য।
-
এটি সাধু গদ্যরীতি পরিহার করে চলিত গদ্যরীতি প্রতিষ্ঠা করে।
-
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এই পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে চলিত গদ্যের স্বাচ্ছন্দ্য উপলব্ধি করেন এবং পরবর্তী সময়ে তা চর্চা শুরু করেন।
-
সাহিত্যচর্চার ধারায় সবুজপত্র একটি নতুন গোষ্ঠী তৈরি করে, যা পরিচিত হয় ‘সবুজপত্র গোষ্ঠী’ নামে।
অতিরিক্ত তথ্য: সবুজপত্র-এর লেখকদের মধ্যে প্রমথ চৌধুরী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মোহিতলাল মজুমদার, সজনীকান্ত দাস প্রমুখ ছিলেন। এটি বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
'দুলি দুহি পীড়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই।' চর্যার পদটি কোন কবির রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
ভুসুকুপা
B
শবরপা
C
কুক্কুরীপা
D
শান্তিপা
কুক্কুরীপা ছিলেন চর্যাগীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ রচয়িতা, যিনি বাংলা চর্যার ধারাকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর পরিচয় ও রচনাবলি সম্পর্কে তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গান রচনা করেছেন (২, ২০ ও ৪৮ নম্বর), যার মধ্যে ৪৮ সংখ্যক পুথির লুপ্ত অংশ ছিল।
-
তাঁর চর্যার ভাষা ও শৈলী থেকে ধারণা করা হয় যে তিনি উচ্চবংশীয় বা কুলীন ছিলেন।
-
কুক্কুরীপা সম্ভবত একটি তান্ত্রিক নাম বা ছদ্মনাম; ‘পা’ যুক্ত থাকায় কেউ কেউ এটিকে গুরু প্রতি শ্রদ্ধাসূচক ছদ্মনাম মনে করেন।
-
তারানাথের মতে, তাঁর নামকরণ হয়েছে কারণ সঙ্গে সবসময় একটি কুক্কুরী থাকত।
-
ধারণা করা হয়, তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের অধিবাসী ছিলেন, তবে হিন্দিভাষীরা তাঁকে কপিলাবস্তু বা নেপালের বুদ্ধজন্মস্থান হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’ এর রচয়িতা হিসেবে তাঁর নাম পাওয়া গেছে; এ থেকে অনুমান করা হয় তিনি মহামায়ার উপাসক ছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০ থেকে ৮২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন এবং ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
রচিত গ্রন্থ:
-
যোগভাবনাপ্রদেশ
-
স্রবপরিচ্ছদ
চর্যার পদসমূহ:
১. দুলি দুহি পীড়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই'।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই'। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই।
৪. দিবসহি' বহুড়ী কাউহি' ডর' ভাই'। রাতি ভইলে কামরু জাই।
৫. অইসনী' চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি' সমাইল।
আধুনিক বাংলায় রূপান্তর:
১. মাদি কচ্ছপ দোহন করে দুগ্ধ-পাত্রে, দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়।
২. ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা। অর্ধরাতে চোর কানপাশা নিয়ে গেল।
৩. স্বশুর নিদ্রা গেল, বধূ রইল জেগে। কানপাশা চোরে নিলে কার কাছে মাগা যায়?
৪. দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত হয়। রাত হলে কামরাজ্যে (বা কামরূপ) যায়।
৫. এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন। কোটির মধ্যে একের চিত্তে তা প্রবেশ করল।

0
Updated: 3 weeks ago
আলাউদ্দিন আল আজাদের কবিতা 'স্মৃতিস্তম্ভ' কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
জীবনজামিন
B
মানচিত্র
C
ধানকন্যা
D
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
আলাউদ্দীন আল আজাদ — ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ কবিতা
-
গ্রন্থ: ‘মানচিত্র’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
-
কবিতার সংক্ষিপ্ত রূপ:
স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
চারকোটি পরিবার
খাড়া রয়েছি তো! যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
পারেনি ভাঙতে
হীরের মুকুট নীল পরোয়ানা খোলা তলোয়ার
খুরের ঝটকা ধুলায় চূর্ণ যে পদ-প্রান্তে
যারা বুনি ধান
গুণ টানি, আর তুলি হাতিয়ার হাঁপর চালাই
সরল নায়ক আমরা জনতা সেই অনন্য।
আলাউদ্দীন আল আজাদ (৬ মে ১৯৩২ – ২০০৯)
-
জন্মস্থান: নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রাম।
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: গল্পগ্রন্থ ‘জেগে আছি’ (১৯৫০)।
-
চলচ্চিত্রায়িত উপন্যাস: ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ → ‘বসুন্ধরা’, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ।
সাহিত্যকর্মসমূহ:
-
উপন্যাস:
-
তেইশ নম্বর তৈলচিত্র
-
শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন
-
কর্ণফুলী
-
ক্ষুধা ও আশা
-
খসড়া কাগজ
-
স্বপ্নশিলা
-
বিশৃঙ্খলা
-
-
কাব্যগ্রন্থ:
-
মানচিত্র
-
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
-
-
গল্পগ্রন্থ:
-
জেগে আছি
-
মৃগনাভি
-
ধানকন্যা
-
যখন সৈকত
-
অন্ধকার সিঁড়ি
-
জীবনজামিন
-
আমার রক্ত স্বপ্ন আমার
-

0
Updated: 2 weeks ago