রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত রচনা সংকলন কোনটি?
A
চয়নিকা
B
গল্পগুচ্ছ
C
সঞ্চিতা
D
সঞ্চয়িতা
উত্তরের বিবরণ
‘চয়নিকা’ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
-
প্রথম রচনা সংকলন; প্রকাশকাল: ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ।
-
প্রকাশক ও মুদ্রক: এলাহাবাদের ইন্ডিয়ান প্রেস থেকে পাঁচকড়ি মিত্র কর্তৃক মুদ্রিত এবং শ্রীচারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক প্রকাশিত।
-
প্রথম সংস্করণে কবিতার সংখ্যা: ১৩০ টি।
-
জনপ্রিয়তা নির্ধারণের জন্য:
-
১৯২৪ সালে বিশ্বভারতী গ্রন্থালয় থেকে ২০০টি কবিতা বেছে নেওয়ার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।
-
৩২০ জন পাঠক এতে অংশ নেন; তাঁদের ভোট অনুযায়ী কবিতাগুলির জনপ্রিয়তা নির্ধারণ করা হয়।
-
-
১৯২৫ সালের সংস্করণটি এই লোকপ্রিয়তা অনুযায়ী সংকলিত হয়।

0
Updated: 1 month ago
’চারি >চাইর- কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
অন্ত্যস্বরাগম
B
অসমীকরণ
C
অপিনিহিতি
D
স্বরসঙ্গতি
বাংলা ভাষায় ধ্বনিতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখা যায়। এর মধ্যে অপিনিহিতি, অন্ত্যস্বরাগম, অসমীকরণ এবং স্বরসঙ্গতি গুরুত্বপূর্ণ। এদের ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো—
-
অপিনিহিতি
পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলা হয়।
উদাহরণ: আজি → আইজ, সাধু → সাউধ, রাখিয়া → রাইখ্যা, বাক্য → বাইক্য, সত্য → সইত্য, চারি → চাইর, মারি → মাইর। -
অন্ত্যস্বরাগম
কোনো শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অন্ত্যস্বরাগম বলে।
উদাহরণ: দিশ্ → দিশা, পোখত্ → পোক্ত, বেঞ্চ → বেঞ্চি, সত্য → সত্যি। -
অসমীকরণ
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি এড়াতে মাঝখানে নতুন স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অসমীকরণ বলা হয়।
উদাহরণ: ধপ ধপ → ধপাধপ, টপ টপ → টপাটপ। -
স্বরসঙ্গতি
একটি স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন হলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলা হয়।
উদাহরণ: দেশি → দিশি, বিলাতি → বিলিতি, মুলা → মুলো।
উৎস:

0
Updated: 1 month ago
'মহাজন' নামে পরিচিত ছিলেন কোন কাব্যধারার পদকর্তারা?
Created: 3 weeks ago
A
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
B
মঙ্গলকাব্য
C
চর্যাপদ
D
বৈষ্ণব পদাবলি
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগে রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ কাব্যধারা, যা বৈষ্ণব ধর্ম ও দর্শনকে কেন্দ্র করে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে গড়ে উঠেছে। এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গৌরবময় সৃষ্টি।
-
বৈষ্ণব সাহিত্য মূলত বৈষ্ণব ধর্ম ও দর্শনকে কেন্দ্র করে রচিত।
-
রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা এই সাহিত্যধারার মূল উপজীব্য।
-
জয়দেবের গীতগোবিন্দম্ (১২শ শতকে সংস্কৃতে রচিত) এ ধারার প্রথম কাব্য হিসেবে বিবেচিত।
-
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম গৌরব হলো বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য।
-
পদাবলি সাহিত্য বৈষ্ণব তত্ত্বের রসভাষ্য হিসেবে কাজ করে। বৈষ্ণব সমাজে মহাজন পদাবলি রচয়িতা ও পদকর্তাদের মহাজন নামে পরিচিত।
-
বৈষ্ণব মতে, স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বিদ্যমান এবং এটি রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলার মাধ্যমে উপলব্ধি করা হয়।
-
বাংলাদেশে শ্রীচৈতন্যদেবের প্রচারিত বৈষ্ণব মতবাদের সম্প্রসারণে বৈষ্ণব পদাবলি ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়।
-
মধ্যযুগের সাহিত্যধারাগুলোর মধ্যে বৈষ্ণব সাহিত্যধারা পরিমাণে ও গুণে সর্বাধিক সমৃদ্ধ।
বৈষ্ণব সাহিত্য তিন প্রকার:
১. জীবনীকাব্য
২. বৈষ্ণব শাস্ত্র
৩. বৈষ্ণব পদাবলি

0
Updated: 3 weeks ago
'নূরনামা' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
দৌলত কাজী
B
সৈয়দ হামজা
C
আলাওল
D
আবদুল হাকিম
মধ্যযুগের মুসলিম কবি আবদুল হাকিম বাংলা সাহিত্যে নৈতিক ও ভাষা-সচেতন কাব্য রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
নূরনামা কাব্যগ্রন্থ:
-
রচয়িতা: আবদুল হাকিম।
-
কাব্যটি ফারসি নীতিকাব্য নূরনামাহ্ অবলম্বনে রচিত।
-
কাব্যের একটি শ্রদ্ধাশীল উক্তি:
-
"যেসব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।"
-
এই উক্তির কারণে কাব্যটি বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে বিশেষ প্রশংসিত।
-
আবদুল হাকিম:
-
তিনি সপ্তদশ শতাব্দীর মুসলিম কবি, জন্ম ১৬২০ খ্রিষ্টাব্দে সন্দ্বীপের সুধারামে।
-
মধ্যযুগে মুসলমানরা বাংলা ভাষাকে নিজের ভাষা মনে করতো না, বরং পারসি, আরবি ও উর্দুকে প্রাধান্য দিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হাকিম 'নূরনামা' কাব্যে দু'টি প্রবাদতুল্য পঙ্ক্তি লিখে পরভাষাশ্রীতির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
-
আবদুল হাকিমের পাঁচটি কাব্য সংরক্ষিত আছে:
-
ইউসুফ জোলেখা
-
নূরনামা
-
দুররে মজলিশ
-
লালমোতি সয়ফুলমুলুক
-
হানিফার লড়াই
-

0
Updated: 3 weeks ago