'সই কেবা শুনাইল শ্যাম নাম।' - এটি কার উক্তি?
A
জ্ঞানদাস
B
চণ্ডীদাস
C
বিদ্যাপতি
D
আলাওল
উত্তরের বিবরণ

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন পদকর্তা চর্যাপদের প্রথম পদটির রচিয়তা?
Created: 3 weeks ago
A
কাহ্নপা
B
ভুসুকুপা
C
শবরপা
D
লুইপা
লুইপা চর্যাপদের প্রথম পদের রচয়িতা এবং তাঁকে আদি সিদ্ধাচার্য হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলা সাহিত্যের সূচনালগ্নে তাঁর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
লুইপা চর্যাপদের প্রথম ও ঊনত্রিশতম পদ রচনা করেছিলেন।
-
তাঁকে চর্যাপদের আদি সিদ্ধাচার্য বলা হয়।
-
তিনি সংস্কৃত ভাষায়ও গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, যার সংখ্যা চারটি।
-
তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম হলো ‘অভিসময় বিভঙ্গ’।
-
চর্যাপদের প্রথম পদ “কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল। চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।। ” লুইপার রচনা।

0
Updated: 2 weeks ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
Created: 2 weeks ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন অগ্রণী কবি এবং নাট্যকার, যিনি বাংলা কাব্যে নতুন ধারা ও ছন্দের প্রবর্তন ঘটিয়েছেন। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদীর তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদ্ভাবক, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন সুর এবং ছন্দশৈলী নিয়ে এসেছে।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন মহাকবি এবং নাট্যকার।
-
তিনি বাংলা সনেট প্রবর্তন করেন, যা বাংলা কবিতায় পশ্চিমা প্রভাবের সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করে।
-
মাইকেল দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, যা বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে নবজীবন প্রদান করে।
-
তার সাহিত্যকর্মে বাংলা কাব্যকে সুরমুক্তি এবং ছন্দসমৃদ্ধি প্রদান করা হয়েছে।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যা অন্য ছন্দের তুলনায় উচ্চারণে স্বাভাবিক এবং গদ্য উচ্চারণভঙ্গির অনুসারী। উনিশ শতকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মাধ্যমে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন এই ছন্দকে আরও সমৃদ্ধ এবং আধুনিক আকারে পরিণত করে।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ শ্বাসাঘাতপ্রধান নয়, বরং তানপ্রধান। তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রায় রচিত হয়, যা ছন্দের দীর্ঘতা নির্ধারণ করে।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দ আসলে বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ, যা সাহিত্যে নতুন ছন্দের ধারা প্রতিষ্ঠা করে।
-
মহাপয়ার হলো পয়ার ছন্দের একটি বিস্তৃত রূপ, যেখানে সাধারণ পয়ারের ৬ মাত্রার পরিবর্তে ১০ মাত্রা ব্যবহৃত হয়।
-
এভাবে, বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত এবং তার নবীন রূপ চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়িত করেছে।

0
Updated: 2 weeks ago
‘পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 6 days ago
A
বিষ্ণু দে
B
নবীনচন্দ্র সেন
C
নুরুল মোমেন
D
বিজন ভট্টাচার্য
বাংলা সাহিত্যে ঐতিহাসিক আখ্যানকাব্যের অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন নবীনচন্দ্র সেন। তাঁর কাব্যে দেশপ্রেম, ইতিহাসচেতনা ও নৈতিক বোধ একত্রে প্রকাশ পেয়েছে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ তাঁর বিখ্যাত কাব্য ‘পলাশীর যুদ্ধ’, যা বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে সাহিত্যরূপে উপস্থাপন করেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘পলাশীর যুদ্ধ’ নবীনচন্দ্র সেন রচিত একটি ঐতিহাসিক আখ্যানকাব্য।
-
এটি ১৮৭৫ সালে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যটি প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়েন নবীনচন্দ্র সেন, কারণ এতে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধ ও ঐতিহাসিক সত্যের প্রকাশ ছিল।
নবীনচন্দ্র সেন সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ১৮৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষাজীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম স্কুলে, পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ. (১৮৬৫) এবং জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে বি.এ. (১৮৬৮) ডিগ্রি অর্জন করেন।
-
তিনি ১৯০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
অবকাশরঞ্জিনী
-
পলাশীর যুদ্ধ
-
রৈবতক
-
কুরুক্ষেত্র
-
প্রভাস
-
অমৃতাভ

0
Updated: 6 days ago