‘চার ইয়ারি কথা’ কোন ধরনের গ্রন্থ?
A
গল্পগ্রন্থ
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
প্রবন্ধগ্রন্থ
উত্তরের বিবরণ
চার ইয়ারী কথা’ (গল্পগ্রন্থ)
-
রচয়িতা: প্রমথ চৌধুরী
-
প্রকাশকাল: ১৯১৬
-
বিষয়বস্তু: চার বন্ধুর প্রেমের কাহিনী; নায়িকারা সকলেই ইউরোপীয়।
-
প্রথম নায়িকা: উন্মাদ
-
দ্বিতীয় নায়িকা: চোর
-
তৃতীয় নায়িকা: প্রতারক
-
চতুর্থ নায়িকা: মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ করে
-
-
বৈশিষ্ট্য: ভাষার চাতুর্য, সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ, পরিহাসপ্রিয়তা; ভাবালু প্রেমকাহিনীকে প্রতিবাদী রূপে উপস্থাপন।
প্রমথ চৌধুরী
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষক।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক ও বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: বীরবল
-
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
বীরবলের হালখাতা (১৯০২, ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত) → প্রথমবার চলিত রীতি প্রয়োগ।
-
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক।

0
Updated: 1 month ago
'আবার আসিব ফিরে' কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
রূপসী বাংলা
B
ঝরা পালক
C
ধূসর পাণ্ডু লিপি
D
বনলতা সেন
'রূপসী বাংলা' কাব্যগ্রন্থ: - জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ 'রূপসী বাংলা'। - 'রূপসী বাংলা' কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে। - কবিতাগুলির গঠন সনেটের। বাংলার গ্রাম-প্রকৃতি, নদীনালা, পশু-পাখি, উৎসব, অনুষ্ঠান কাব্যের বিষয়বস্তু। - 'আবার আসিব ফিরে' রূপসী বাংলা কাব্যের বিখ্যাত কবিতা। জীবনানন্দ দাশ: - তিনি কবি, শিক্ষাবিদ ছিলেন। - তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। - তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে। - তাঁর পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক। - মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন কবি। জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ: - ঝরা পালক (এটি জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্য গ্রন্থ), - ধূসর পাণ্ডু লিপি, - বনলতা সেন, - মহাপৃথিবী, - সাতটি তারার তিমির, - রূপসী বাংলা, - বেলা অবেলা কালবেলা।
'রূপসী বাংলা' কাব্যগ্রন্থ:
- জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ 'রূপসী বাংলা'।
- 'রূপসী বাংলা' কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে।
- কবিতাগুলির গঠন সনেটের। বাংলার গ্রাম-প্রকৃতি, নদীনালা, পশু-পাখি, উৎসব, অনুষ্ঠান কাব্যের বিষয়বস্তু।
- 'আবার আসিব ফিরে' রূপসী বাংলা কাব্যের বিখ্যাত কবিতা।
জীবনানন্দ দাশ:
- তিনি কবি, শিক্ষাবিদ ছিলেন।
- তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে।
- তাঁর পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক।
- মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন কবি।
জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- ঝরা পালক (এটি জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্য গ্রন্থ),
- ধূসর পাণ্ডু লিপি,
- বনলতা সেন,
- মহাপৃথিবী,
- সাতটি তারার তিমির,
- রূপসী বাংলা,
- বেলা অবেলা কালবেলা।

0
Updated: 1 month ago
'কুঁচবরণ কন্যা' শিশুতোষ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 6 days ago
A
প্রমথ চৌধুরী
B
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
C
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
D
বন্দে আলী মিয়া
শিশুসাহিত্যের ক্ষেত্রে বন্দে আলী মিয়া এক উজ্জ্বল নাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে শিশুদের জন্য লিখেছেন বহু জনপ্রিয় গল্প ও কবিতা। তাঁর রচনায় গ্রামীণ জীবনের সরলতা, প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বাস্তবভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
বন্দে আলী মিয়া ছিলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর।
-
তিনি ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর সাহিত্যিক কর্মধারা বিস্তৃত ছিল কবিতা, উপন্যাস, নাটক, জীবনী এবং শিশুসাহিত্য পর্যন্ত।
-
তাঁর লেখার মূল বৈশিষ্ট্য ছিল বাংলার সমাজ, মানুষ ও প্রকৃতির জীবনচিত্রের বাস্তব উপস্থাপন।
-
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ গ্রন্থ হলো ‘কুঁচবরণ কন্যা’।
অন্যান্য শিশুসাহিত্য:
-
চোর জামাই
-
মেঘকুমারী
-
বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা
-
সোনার হরিণ
-
সাত রাজ্যের গল্প

0
Updated: 6 days ago
'দুলি দুহি পীড়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই।' চর্যার পদটি কোন কবির রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
ভুসুকুপা
B
শবরপা
C
কুক্কুরীপা
D
শান্তিপা
কুক্কুরীপা ছিলেন চর্যাগীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ রচয়িতা, যিনি বাংলা চর্যার ধারাকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর পরিচয় ও রচনাবলি সম্পর্কে তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গান রচনা করেছেন (২, ২০ ও ৪৮ নম্বর), যার মধ্যে ৪৮ সংখ্যক পুথির লুপ্ত অংশ ছিল।
-
তাঁর চর্যার ভাষা ও শৈলী থেকে ধারণা করা হয় যে তিনি উচ্চবংশীয় বা কুলীন ছিলেন।
-
কুক্কুরীপা সম্ভবত একটি তান্ত্রিক নাম বা ছদ্মনাম; ‘পা’ যুক্ত থাকায় কেউ কেউ এটিকে গুরু প্রতি শ্রদ্ধাসূচক ছদ্মনাম মনে করেন।
-
তারানাথের মতে, তাঁর নামকরণ হয়েছে কারণ সঙ্গে সবসময় একটি কুক্কুরী থাকত।
-
ধারণা করা হয়, তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের অধিবাসী ছিলেন, তবে হিন্দিভাষীরা তাঁকে কপিলাবস্তু বা নেপালের বুদ্ধজন্মস্থান হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’ এর রচয়িতা হিসেবে তাঁর নাম পাওয়া গেছে; এ থেকে অনুমান করা হয় তিনি মহামায়ার উপাসক ছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০ থেকে ৮২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন এবং ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
রচিত গ্রন্থ:
-
যোগভাবনাপ্রদেশ
-
স্রবপরিচ্ছদ
চর্যার পদসমূহ:
১. দুলি দুহি পীড়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই'।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই'। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই।
৪. দিবসহি' বহুড়ী কাউহি' ডর' ভাই'। রাতি ভইলে কামরু জাই।
৫. অইসনী' চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি' সমাইল।
আধুনিক বাংলায় রূপান্তর:
১. মাদি কচ্ছপ দোহন করে দুগ্ধ-পাত্রে, দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়।
২. ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা। অর্ধরাতে চোর কানপাশা নিয়ে গেল।
৩. স্বশুর নিদ্রা গেল, বধূ রইল জেগে। কানপাশা চোরে নিলে কার কাছে মাগা যায়?
৪. দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত হয়। রাত হলে কামরাজ্যে (বা কামরূপ) যায়।
৫. এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন। কোটির মধ্যে একের চিত্তে তা প্রবেশ করল।

0
Updated: 3 weeks ago