জমির লবণাক্ততা নিয়িন্ত্রণ করে কোনটি?
A
কৃত্রিম সার প্রয়োগ
B
পানি সেচ
C
মাটিতে নাইট্রোজেন ধরে রাখা
D
প্রাকৃতিক গ্যাস প্রয়োগ
উত্তরের বিবরণ
জমির লবণাক্ততা কমানো এবং উর্বরতা রক্ষা
-
জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণের জন্য পানি সেচ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।
-
জমিতে দুই-তিনবার স্বাদুপানি দিয়ে সেচ দিলে অতিরিক্ত লবণ ধুয়ে বের হয়ে যায়, ফলে লবণাক্ততা অনেক কমে। এটি একটি প্রাকৃতিক ও সহজ পদ্ধতি।
-
লবণাক্ততার কারণে শুকনো মৌসুমে বিশেষ করে রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে ফসল চাষ কঠিন হয়ে যায়। এই সময় মাটির লবণাক্ততা প্রায় ৮.০ ডিএস/মি. এর উপরে চলে যায়।
-
নদীর পানির লবণাক্ততা এই সময় প্রায় ২৫.০–৩০.০ ডিএস/মি. পর্যন্ত হতে পারে।
জমির উর্বরতা রক্ষা ও বৃদ্ধির উপায়:
-
ভূমিক্ষয় রোধ করা।
-
মাটিতে পর্যাপ্ত জৈব পদার্থ প্রয়োগ করা।
-
মাটির অম্লমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
-
শিম জাতীয় উদ্ভিদ চাষ করা।
-
একই জমিতে বারবার একই ফসল না চাষ করে ভিন্ন ফসল চাষ করা।
-
পানি ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
উৎস: বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস; কৃষিশিক্ষা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
ইনসুলিন নিঃসৃত হয় কোথা থেকে?
Created: 2 months ago
A
অগ্ন্যাশয় হতে
B
প্যানক্রিয়াস হতে
C
লিভার হতে
D
পিটুইটারী গ্ল্যান্ড হতে
প্যানক্রিয়াস এর বাংলা নাম অগ্ন্যাশয়। তাই যখন প্রশ্নে অপশনে ক) ও খ) দুটো উত্তর ছিল, তখন সেটা বাতিল করা হয়েছে।
ইনসুলিন:
-
ইনসুলিন হলো একটি হরমোন।
-
এটা অগ্ন্যাশয়ের মধ্যে থাকা Islets of Langerhans নামের বিটা কোষ থেকে তৈরি হয়।
-
ইনসুলিন রক্তে থাকা গ্লুকোজ (চিনি) দেহের কোষের ভিতরে ঢোকার সাহায্য করে।
-
এর ফলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়ে স্বাভাবিক থাকে।
-
যদি কোনো কারণে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন ঠিকমত তৈরি না হয় বা কম হয়, অথবা ইনসুলিন কাজ না করে, তখন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ে। এই অবস্থাকেই ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ বলা হয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি ও প্রাণীবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কত?
Created: 1 month ago
A
17
B
18
C
35
D
70
পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা লেখার নিয়ম
কোন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা (Z) যত তার নিউক্লিয়াসে ঠিক ততটি প্রোটন থাকে। যদি কোন পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা Z হয়, তবে সেই পরমাণুতে Z সংখ্যক প্রোটন ও Z সংখ্যক ইলেকট্রন আছে।
- পরমাণুর ভর সংখ্যা যদি A হয়, তবে নিউট্রনের সংখ্যা = A - Z.
- কোন মৌলের পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা, ভর সংখ্যা নিম্ন রীতিতে দেখানো হয়।

এখানে,
X = মৌলের প্রতীক।
Z = মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা। এটি প্রতীকের বাম পার্শ্বে পাদদেশে বসে।
A = পরমাণুর ভর সংখ্যা। এটি প্রতীকের বাম পার্শ্বে শীর্ষদেশে বসে। এটি প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যা যাকে নিউক্লিয়ন সংখ্যাও বলা হয়।
ক্লোরিন (Cl) মৌলের নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয়:

- ক্লোরিনের প্রোটন সংখ্যা 17 এবং
- নিউক্লিয়ন সংখ্যা বা পারমাণবিক ভর 35
অতএব, নিউট্রন সংখ্যা হবে = 35 - 17 = 18 ।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
যেসব অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে তাদের বলা হয়-
Created: 1 month ago
A
প্যাথজেনিক
B
ইনফেকশন
C
টক্সিন
D
জীবাণু
রোগ সংক্রমণ ও প্যাথোজেন
-
প্যাথোজেন (Pathogen):
জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে, প্যাথোজেন হলো সেই কোনো অণুজীব বা এজেন্ট যা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সহজ কথায়, “যে অণুজীব রোগের কারণ হয়, তাকে প্যাথোজেন বলা হয়।”উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, প্রিয়ন, এবং অন্যান্য কিছু ক্ষুদ্র জীবাণু।
-
Oxford Dictionary অনুযায়ী: Pathogenic = (of a bacterium, virus, or other microorganism) causing disease.
-
ইতিহাস: ১৮৮০ সাল থেকে এই শব্দটি সাধারণত রোগ সৃষ্টিকারী এজেন্ট বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
-
সংক্রমণ (Infection):
সংক্রমণ হলো সেই প্রক্রিয়া যখন কোনো প্যাথোজেন আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং রোগের লক্ষণ তৈরি করে। -
টক্সিন (Toxin):
টক্সিন হলো ক্ষতিকারক বা বিষাক্ত পদার্থ, যা কোনো অণুজীব (বা অন্য উৎস) দ্বারা তৈরি হতে পারে। -
জীবাণু (Microorganism):
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুজীব, যা সবসময় রোগ সৃষ্টি করে না। কিছু জীবাণু বিপজ্জনক (প্যাথোজেনিক) হতে পারে, আবার অনেকগুলো নিরীহ বা উপকারীও হতে পারে।
সংক্ষেপে:
“যে অণুজীব রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম, সেটিই প্যাথোজেন; সংক্রমণ হলো সেই প্যাথোজেনের প্রভাবে শরীরে রোগ দেখা; টক্সিন হলো বিষ; আর সব জীবাণুই রোগ সৃষ্টি করে না।”
উৎস: Oxford English Dictionary, Pathogenic

0
Updated: 1 month ago