ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে যে তথ্যাটি সঠিক নয় তা হল-
A
এ রোগে মানবদেহের কিডনি নষ্ট করে
B
চিনি জাতীয় খাবার খেলে এ রোগ হয়
C
এ রোগ হলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
D
ইনসুলিনের অভাবে এ রোগ হয়
উত্তরের বিবরণ
[অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন হরমোনের অভাব হলে প্রোটিন, শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবারের বিপাক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, ফলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, একে ডায়াবেটিস রোগ বলা হয়। চিনি জাতীয় খাবারের সাথে এ রোগের সম্পর্ক নেই। ডায়াবেটিস হলে হৃৎপিণ্ড, কিডনি, চোখ ইত্যাদি অঙ্গের স্বাভাবিক কাজে বাধা সৃষ্টি হয়।]
ডায়বেটিস:
- বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস এক ধরনের বিপাকজনিত রোগ।
- ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়।
- প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন নামক এক ধরনের হরমোন নির্গত হয়, যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণকে কমিয়ে দেয়।
- অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স থেকে গ্লুকানল এবং ইনসুলিন নির্গত হয়।
- ডায়াবেটিস রোগে ইনসুলিন ব্যবহৃত হয়।
- কারো ডায়াবেটিস হলে প্যানক্রিয়াস যথেষ্ট ইনসুলিন নির্গত করতে পারে না, কিংবা শরীর ইনসুলিনকে ব্যবহার করতে পারে না।
- যে কারণে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য যে,
- চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়াবেটিস রোগ হয় এ তথ্যটি সত্য নয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
সুনামির কারণ হলো-
Created: 1 month ago
A
ঘূর্ণিঝড়
B
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
C
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্পন
D
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
সুনামি
-
‘Tsunami’ শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে এসেছে। এখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ, অর্থাৎ ‘বন্দরের ঢেউ’।
-
এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র বা মহাসাগরে ঘটে।
-
সুনামি সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনা ঘটলে তৈরি হয়।
-
পৃথিবীতে এটি তৃতীয় প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত।
-
যখন সুনামি গভীর সমুদ্রে থাকে, তখন এটি খুব দ্রুত এবং শক্তিশালী হয়, কিন্তু অগভীর পানিতে এলে এর শক্তি কমে যায়।
-
উদাহরণস্বরূপ, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ভারত মহাসাগরের তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সুনামি সৃষ্টি হয়, যা অনেক ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যুর কারণ হয়।
-
বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানির উপস্থিতি আমাদের দেশে সুনামির ধ্বংসাত্মক প্রভাবকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ক্ষারকীয় অক্সাইড?
Created: 2 months ago
A
P4O10
B
MgO
C
CO
D
ZnO
ক্ষারকীয় অক্সাইড হলো এমন ধরনের অক্সাইড যা পানিতে মিলিয়ে ক্ষারীয় পদার্থ তৈরি করে।
MgO (ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড) একটি ধাতব অক্সাইড এবং এটি সাধারণত ক্ষারকীয় হয়।
যখন MgO পানির সঙ্গে মিশে, তখন এটি ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Mg(OH)₂) তৈরি করে, যা একটি ক্ষার।
সুতরাং, ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড একটি সাধারণ ক্ষারকীয় অক্সাইড, কারণ এতে অক্সাইড আয়ন থাকে।

0
Updated: 2 months ago
সংকর ধাতু পিতলের উপাদান -
Created: 2 months ago
A
তামা ও টিন
B
তামা ও দস্তা
C
তামা ও নিকেল
D
তামা ও সিসা
সংকর ধাতু পিতলের উপাদান হলো- তামা ও দস্তা।
সংকর ধাতু
- একাধিক ধাতুর মিশ্রণকে সংকর ধাতু বলা হয়।
- একাধিক ধাতুকে গলিত অবস্থায় মিশ্রিত করে সংকর ধাতু তৈরি করা হয়।
- সাধারণত বিশুদ্ধ ধাতু অপেক্ষা সংকর ধাতু বেশি ব্যবহার উপযোগী হয়ে থাকে।
যেমন বিশুদ্ধ স্বর্ণ দিয়ে গয়না তৈরি করা হয় না কারণ বিশুদ্ধ স্বর্ণ নরম হওয়ায় গয়না টেকসই হয় না। স্বর্ণের সাথে সামান্য পরিমান রূপা মিশ্রিত করে গয়না তৈরি করা হয়।
- আবার লোহার সাথে কার্বন, নিকেল ও ক্রোমিয়াম মিশিয়ে মরিচারোধী বা মরিচাবিহীন স্টিল প্রস্তুত করা হয়। মরিচাবিহীন স্টিল লোহার চেয়ে বেশি শক্ত ও টেকসই হয়ে থাকে।

উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago