সুনামীর কারণ হল-
A
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
D
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প
উত্তরের বিবরণ
সুনামি (Tsunami)
-
সুনামি মূলত সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়।
-
“Tsunami” শব্দটি জাপানি, যার শাব্দিক অর্থ হলো ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’। এখানে ‘tsu’ মানে বন্দর বা harbour, আর ‘nami’ মানে সামুদ্রিক ঢেউ।
-
বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে এমন যে এখানে সুনামি খুব কম ঘটে।
-
তবে ইতিহাসে কিছু ঘটনায় সুনামির প্রভাব দেখা গেছে। যেমন:
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল: কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকায় সুনামির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
১৯৪১ সালে: আন্দামান সাগরে ভূমিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে ভারতের পূর্ব উপকূলে প্রায় ৫,০০০ মানুষ নিহত হন।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার সিনুয়েলেউ দ্বীপে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামি সমগ্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
শিশুর মনস্তাত্ত্বিক চাহিদা পূরণে নিচের কোনটি জরুরি?
Created: 1 month ago
A
স্বীকৃতি
B
স্নেহ
C
সাফল্য
D
উল্লেখিত সবকটি
শিশুর মনস্তাত্ত্বিক চাহিদা পূরণে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
শিশুর মানসিক বিকাশ এবং সুস্থ মানসিকতার জন্য তিনটি উপাদান অপরিহার্য: স্বীকৃতি, স্নেহ এবং সাফল্য।
-
স্বীকৃতি (Recognition):
শিশুদের চেষ্টা, অগ্রগতি ও সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান গড়ে তোলে। যেমন, কোনো কাজ সফলভাবে শেষ করার পর শিশুকে উৎসাহ দেওয়া তার মানসিক বিকাশে সহায়ক।
(উৎস: Berk, L. E. “Child Development,” 2021) -
স্নেহ (Affection):
শিশুদের অনুভব করতে হবে যে তারা পরিবার এবং সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং স্নেহপূর্ণ। ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(উৎস: Bowlby, J. “Attachment and Loss,” 1982) -
সাফল্য (Achievement):
শিশুদের ছোট ছোট সাফল্য অর্জনের সুযোগ থাকা উচিত। সাফল্যের অভিজ্ঞতা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজেদের প্রতি সম্মান তৈরি করে।
(উৎস: Deci, E., & Ryan, R. “Self-Determination Theory,” 2000)
উপসংহার:
সুতরাং, শিশুদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য স্বীকৃতি, স্নেহ এবং সাফল্য—এই তিনটি উপাদানই সমান গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 1 month ago
কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিশুদ্ধ তা কিসের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়?
Created: 1 month ago
A
ঘনীভবন
B
বাষ্পীভবন
C
গলনাংক
D
স্ফুটনাংক
কঠিন পদার্থ এবং গলনাঙ্কের মাধ্যমে বিশুদ্ধতা নির্ণয়
-
একটি কঠিন পদার্থের বিশুদ্ধতা তার গলনাঙ্ক দেখে বোঝা যায়।
-
যে তাপমাত্রায় পদার্থটি গলতে শুরু করে, সেই তাপমাত্রাকেই গলনাঙ্ক বলা হয়।
-
যদি কঠিনের মধ্যে কোনো অপদ্রব্য বা মিশ্রণ থাকে, তবে পদার্থটি তার স্বাভাবিক গলনাঙ্কে গলবে না; গলনাঙ্ক কমে যাবে এবং গলতে সময় লাগবে।
তরল পদার্থ এবং স্ফুটনাঙ্কের মাধ্যমে বিশুদ্ধতা নির্ণয়
-
কোনো তরল পদার্থ বিশুদ্ধ কি না তা নির্ণয় করা যায় তার স্ফুটনাঙ্ক পরীক্ষা করে।
-
বিশুদ্ধ তরলের স্ফুটনাঙ্ক নির্দিষ্ট থাকে, আর মিশ্রণ থাকলে তা পরিবর্তিত হয়।
উৎস: রসায়ন পাঠ্যবই, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি?
Created: 2 months ago
A
প্রাকৃতিক পরিবেশ
B
সামাজিক পরিবেশ
C
বায়বীয় পরিবেশ
D
সাংস্কৃতিক পরিবেশ
জনসংখ্যা বাড়ার কারণে বেশি মানুষকে থাকার জায়গা, রাস্তা, খাবারসহ অনেক জিনিস প্রয়োজন হয়।
এজন্য গাছপালা এবং বনাঞ্চল কমে যাচ্ছে, যার ফলে পরিবেশের সামঞ্জস্য হারিয়ে যাচ্ছে।
বেশি ফলন পাওয়ার জন্য জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রকৃতির মধ্যে যেমন মাটি, নদী, গাছপালা ও প্রাণী সব প্রাকৃতিক পরিবেশের অংশ।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

0
Updated: 2 months ago