A
গ্লাইকোজেন
B
গ্লুকোজ
C
ফ্রুক্টোজ (Fructose)
D
সুক্রোজ
উত্তরের বিবরণ
গ্লাইকোজেন
গ্লাইকোজেন হলো একটি পুষ্টিজাত পলিস্যাকারাইড যা প্রাণীদের প্রধান শক্তি সঞ্চিত রূপ।
-
যদিও এটি মূলত প্রাণীদেহে সঞ্চিত থাকে, কিছু সায়ানোব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক (যেমন ইস্ট) এর মধ্যেও দেখা যায়।
-
গ্লাইকোজেনের গঠনমূলক একক হলো α-D-গ্লুকোজ।
-
যখন গ্লাইকোজেন হাইড্রোলাইসিসের মাধ্যমে ভাঙা হয়, তখন কেবল α-D-গ্লুকোজ উৎপন্ন হয়।
-
এর আণবিক সূত্র হলো (C6H10O5)n।
গ্লাইকোজেনের কাজ:
-
লিভার এবং পেশিতে জমা থাকা গ্লাইকোজেন প্রয়োজনে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়, যা শরীরকে কার্বন এবং শক্তি সরবরাহ করে।
-
রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: লিভারের গ্লাইকোজেন রক্তে গ্লুকোজ হিসেবে ছাড়ে, আর পেশিতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন পেশি কাজের জন্য শক্তি যোগায়।
অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত শর্করা হলো গ্লাইকোজেন।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
পারমাণবিক চুল্লীতে তাপ পরিবাহক হিসেবে কোন ধাতু ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
সোডিয়াম
B
পটাসিয়াম
C
ম্যাগনেসিয়াম
D
জিংক
পারমাণবিক চুল্লি:
- নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর (Nuclear Reactor) বা পারমাণবিক চুল্লি মূলত এক প্রকার তাপীয় যন্ত্র।
- পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
- পারমাণবিক চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম-২৩৫)-এর শৃঙ্খল বিক্রিয়া (chain reaction) ঘটিয়ে অত্যধিক তাপ শক্তি উৎপাদন করা হয়।
- মূলত ইউরেনিয়াম-২৩৫ (U-235) কে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে নিউক্লিয়ার বিভাজনের (Nuclear Fission) মাধ্যমে পারমাণবিক চুল্লির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়।
- পারমাণবিক চুল্লি বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য,
- পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ পরিবাহকরূপে হিসাবে সোডিয়াম ধাতু ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে,
- জ্বালানি হিসাবে ইউরেনিয়াম ও মডারেটর হিসাবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
- হাইড্রোজেন পরমাণু খুবই হালকা হওয়ায় মডারেটর হিসেবে রিয়্যাক্টরে হাইড্রোজেন পরমাণুকেই বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মডারেটর হিসেবে পরিষ্কার গ্রাফাইট, সাধারণ হালকা পানি, ভারী পানি ইত্যাদিও ব্যবহার করা হয়।
উৎস: রসায়ন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং IAEA ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি?
Created: 1 month ago
A
৪ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৮ টি
সুষম খাদ্য
মানবদেহের পুষ্টির প্রয়োজন ভালোভাবে পূরণ করতে সুষম খাদ্য খাওয়া খুব জরুরি। সুষম খাদ্যে মোট ৬ ধরনের উপাদান থাকে।
সুষম খাদ্যে শর্করা, প্রোটিন (আমিষ) এবং চর্বির পরিমাণ থাকে প্রায় ৪ : ১ : ১ অনুপাতে।
সুষম খাদ্যের উপাদান:
১। শর্করা
২। প্রোটিন (আমিষ)
৩। ভিটামিন
৪। খনিজ লবণ
৫। চর্বি
৬। পানি
সূত্র: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
বিগব্যাঙ তত্ত্বের প্রবক্তা-
Created: 2 weeks ago
A
আইনস্টাইন
B
জি. ল্যামেটার
C
স্টিফেন হকিং
D
গ্যালিলিও
বিগ ব্যাং তত্ত্ব
-
মহাবিশ্ব প্রথমে একটি ক্ষুদ্র বিন্দুর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরে আকস্মিক এক মহা বিস্ফোরণ থেকে এর সৃষ্টি হয়। এই ব্যাখ্যাকেই বিগ ব্যাং তত্ত্ব বলা হয়।
-
এই তত্ত্বের প্রবক্তা ছিলেন বেলজিয়ান বিজ্ঞানী জি. ল্যামেটার (১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে)।
অন্যদিকে,
-
পরবর্তীতে স্টিফেন হকিং আধুনিকভাবে এই তত্ত্বকে ব্যাখ্যা করেন।
-
তাঁর বিখ্যাত বই “A Brief History of Time”-এ বিগ ব্যাং তত্ত্বের বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায়।
তাই, বিগ ব্যাং তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ছিলেন জি. ল্যামেটার, আর এর আধুনিক ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন স্টিফেন হকিং।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা

0
Updated: 2 weeks ago