‘সুদীপ্ত শাহীন’ কোন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র?
A
নিষিদ্ধ লোবান
B
জাহান্নম হইতে বিদায়
C
জলাংগী
D
রাইফেল রোটি আওরাত
উত্তরের বিবরণ

0
Updated: 1 month ago
'মোকাজান মিয়া বা ঠকচাচা' চরিত্রটি কোন উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
লালসালু
B
পদ্মানদীর মাঝি
C
আলালের ঘরের দুলাল
D
হাজার বছর ধরে
আলালের ঘরের দুলাল প্যারীচাঁদ মিত্রের প্রথম গ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রারম্ভিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি। এটি প্রথম গ্রন্থাকারে ১৮৫৮ সালে প্রকাশিত হলেও ১৮৫৪ সাল থেকে মাসিক পত্রিকাতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হত।
-
উপন্যাসে দেশীয় শিক্ষা ব্যবস্থা, পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিশৃঙ্খলার সমালোচনা করা হয়েছে।
-
একটি প্রসিদ্ধ সংলাপ: “দুনিয়া সাচ্চা নয়—মুই একা সাচ্চা হয়ে কি করবো?” — ঠকচাচার মুখে।
-
প্রধান চরিত্র: মোকাজান মিয়া বা ঠকচাচা।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
বাবুরাম
-
বাবুরামের পুত্র মতিলাল
-
ধূর্ত উকিল বটলর
-
অর্থলোভী বাঞ্ছারাম
-
তোষামোদকারী বক্রেশ্বর
-
-
কাহিনির একটি অংশে, ধনী বাবুরামের পুত্র মতিলাল পিতার অবহেলার কারণে অধঃপতনে পড়ে এবং পরবর্তীতে পিতার সম্পত্তি নষ্ট করে।
অন্য উপন্যাসগুলোর চরিত্রের উদাহরণ:
-
পদ্মানদীর মাঝি: কুবের, কপিলা, মালা, ধনঞ্জয়, গণেশ, শীতলবাবু, হোসেন মিয়া
-
লালসালু: মজিদ, খালেক ব্যাপারি, জমিলা, রহিমা, আমেনা, আক্কাস, তাহেরের বাপ, হাসুনির মা
-
হাজার বছর ধরে: নায়িকা টুনি একমাত্র জীবন্ত চরিত্র, বাকিরা মৃত বা বিবর্ণ

0
Updated: 3 weeks ago
'The Origin and Development of the Bengali Language' গ্রন্থে চর্যাপদের ভাষা বিশ্লেষণ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
D
ড. সুকুমার সেন
চর্যাপদ বিষয়ক গবেষণা
বিজয়চন্দ্র মজুমদার (১৯২০): চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৯২৬): The Origin and Development of the Bengali Language গ্রন্থে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চর্যাপদের ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করেন। প্রমাণ করেন চর্যাপদ বাংলা ভাষার সম্পদ।
অন্যান্য ভাষাবিজ্ঞানী যারা চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত প্রমাণ করেছেন:
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ড. সুকুমার সেন
ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত
ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত (১৯৪৬): সহজযান প্রসঙ্গে চর্যাপদের অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন।
রাহুল সাংকৃত্যায়ন (বিহার): বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য, বৌদ্ধ সহজযান ও চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে প্রচুর গবেষণা করেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান কবির নাম -
Created: 2 months ago
A
মানিক দত্ত
B
বিজয়গুপ্ত
C
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
D
কানা হরিদত্ত
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য
‘চণ্ডীমঙ্গল’ হলো চণ্ডী নামক লৌকিক-পৌরাণিক দেবীর পূজা প্রচারের কাহিনি অবলম্বনে রচিত মঙ্গলকাব্য।
এই কাব্যের আদি কবি মানিক দত্ত—চতুর্দশ শতকের কবি। তবে চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান কবি হলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, যিনি ষোড়শ শতকে এই ধারার শ্রেষ্ঠ রূপ দেন। কাব্যটি মূলত দুইটি কাহিনি নিয়ে গঠিত।
কাহিনি সংক্ষেপ
চণ্ডীর ইচ্ছা হয়েছিল পৃথিবীতে তাঁর পূজা প্রচার করার। এজন্য তিনি স্বামী শিবকে অনুরোধ করেন, শিবের একনিষ্ঠ ভক্ত নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠাতে। কিন্তু বিনা অপরাধে পাঠাতে শিব রাজি হননি।
পরে চণ্ডী ষড়যন্ত্র করে নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠান। নীলাম্বর জন্ম নেন কালকেতু নামে, ব্যাধ ধর্মকেতুর ঘরে। স্বর্গে তাঁর স্ত্রী ছায়া পৃথিবীতে জন্ম নেন ফুল্লুরা নামে।

0
Updated: 2 months ago