‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ কত খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
A
১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দ
B
১৭৭৬ খ্রিষ্টাব্দ
C
১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ
D
১৮২০ খ্রিষ্টাব্দ
উত্তরের বিবরণ
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
-
‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ হলো বাঙালি রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ।
-
এটি রচনা করেন রাজা রামমোহন রায়।
-
গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দে এবং এটি তাঁর সর্বশেষ রচনা।
-
এর আগে রামমোহন রায় ইংরেজিতে Bengali Grammar in the English Language নামের ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন।
-
গ্রন্থটি মোট বারোটি অধ্যায়ে বিভক্ত।
-
প্রথম অধ্যায়ে ধ্বনি, বর্ণ, উচ্চারণ, শব্দ, অক্ষর প্রভৃতি বিষয়ে উদাহরণসহ আলোচনা করা হয়েছে।
-
পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে বাংলা ভাষার লিঙ্গ, প্রত্যয়, পদান্বয়, বাক্যরীতি, ছন্দ ইত্যাদি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণে বাংলা ভাষার ধ্বনি ও রূপগত বৈশিষ্ট্যের বৈয়াকরণিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
কোন শব্দে স্বভাবতই 'ষ' ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
পরিষ্কার
B
স্পষ্ট
C
ভূষণ
D
কোনোটিই নয়
বাংলা ভাষায় ‘ষ’ ধ্বনির ব্যবহার বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ঘটে।
-
কিছু শব্দে স্বভাবতই ‘ষ’ থাকে, যেমন: ষড়ঋতু, ভাষণ, ঊষা, ভূষণ, ঔষধ।
-
ট–বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত হয়, যেমন: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
-
র-ধ্বনির পরে যদি অ, আ বা অন্য স্বরধ্বনি থাকে, তবে তার পরে ‘ষ’ বসে। উদাহরণ: পরিষ্কার।

0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষা কোন ভাষা-পরিবারের অন্তর্গত?
Created: 3 weeks ago
A
অস্ট্রিক
B
ইন্দো-ইউরোপীয়
C
দ্রাবিড়ীয়
D
চীনা-তিব্বতীয়
বাংলা ভাষা হলো বাঙালি জনগোষ্ঠী যে ভাষা ব্যবহার করে তাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য। এটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের সদস্য, এবং এই পরিবারের আদি ভাষা বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় পরিণত হয়েছে।
বাংলা ভাষার বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ স্তরসমূহ:
-
ইন্দো-ইউরোপীয় → ইন্দো-ইরানীয় → ভারতীয় আর্য → প্রাকৃত → বাংলা
-
প্রায় এক হাজার বছর আগে পূর্ব ভারতীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে
-
বাংলা ভাষার লিখিত রূপের প্রাচীনতম নিদর্শন হলো 'চর্যাপদ'

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি দন্ত্য ব্যঞ্জন?
Created: 1 month ago
A
ত
B
ন
C
ল
D
র
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি হলো সেইসব ধ্বনি, যেগুলো উচ্চারণ করতে জিভের ডগা উপরের দাঁতের সঙ্গে মিলিত হয়ে বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এ কারণে এগুলোকে দন্ত্য ব্যঞ্জন বলা হয়।
-
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা দাঁতের সঙ্গে ঠেকে যায়।
-
উদাহরণ: ত, থ, দ, ধ – যেমন তাল, থালা, দাদা, ধান।
অন্যদিকে, জিভ দাঁতের গোড়া বা মূলে ঠেকালে যে ব্যঞ্জনধ্বনি সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন।
-
উদাহরণ: ন, র, ল, স – যেমন নানা, রাত, লাল, সালাম।

0
Updated: 1 month ago