A
বিকৃত
B
স্থানান্তর
C
নিকৃষ্ট
D
বিপরীত
উত্তরের বিবরণ
‘অপ’ উপসর্গের ব্যবহার:
-
বিপরীত অর্থে:
-
উদাহরণ: অপমান, অপকার, অপচয়, অপবাদ।
-
-
নিকৃষ্ট অর্থে:
-
উদাহরণ: অপসংস্কৃতি, অপকর্ম, অপসৃষ্টি, অপযশ।
-
-
স্থানান্তর অর্থে:
-
উদাহরণ: অপসারণ, অপহরণ, অপনোধন।
-
-
বিকৃত অর্থে:
-
উদাহরণ: অপমৃত্যু।
-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ:
-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা ২০টি।
-
উদাহরণ: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন দুটি বাংলা উপসর্গ?
Created: 3 months ago
A
অজ, অতি
B
আন, অনা
C
অতি, অভি
D
অনা, অতি
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যেসব উপসর্গ সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ও দেশজ, তাদের খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
-
এ ধরনের উপসর্গ মোট ২১টি।
এই উপসর্গগুলো হলো:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
অপরদিকে,
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ হিসেবে গণ্য হয়:
অতি, অভি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 3 months ago
'বেআইন' শব্দে ব্যবহৃত 'বে' উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
হৃত
B
বহির্ভূত
C
ভিন্ন
D
বিশেষ
উপসর্গের ব্যবহার
-
বে + আইন = বেআইন → এখানে ‘বে’ উপসর্গটির অর্থ ‘বহির্ভূত’।
আরো উদাহরণ:
-
বে + দখল = বেদখল → ‘বে’ উপসর্গের অর্থ ‘হৃত’।
-
বি + ভুঁই = বিভুঁই → ‘বি’ উপসর্গের অর্থ ‘ভিন্ন’।
-
বি + জ্ঞান = বিজ্ঞান → ‘বি’ উপসর্গের অর্থ ‘বিশেষ’।
-
বি + বর্ণ = বিবর্ণ → ‘বি’ উপসর্গের অর্থ ‘অভাব’।
-
বি + চরণ = বিচরণ → ‘বি’ উপসর্গের অর্থ ‘গতি’।
-
বি + কার = বিকার → ‘বি’ উপসর্গের অর্থ ‘অপ্রকৃতস্থ’।
উৎস: মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 day ago
'নিদাঘ' শব্দটি কোন উপসর্গযোগে গঠিত?
Created: 3 months ago
A
বাংলা
B
ফারসি
C
তৎসম
D
আরবি
তৎসম উপসর্গের সংখ্যা বিশটি।
এই উপসর্গগুলো হলো:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।
তৎসম উপসর্গ যেমন তৎসম (সংস্কৃত) শব্দের পূর্বে বসে অর্থ গঠন করে, তেমনি বাংলা উপসর্গও বাংলা শব্দের আগে বসে নতুন অর্থযুক্ত শব্দ গঠন করে।
তবে, কিছু উপসর্গ যেমন—আ, সু, বি, নি—এগুলো বাংলা উপসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও তৎসম শব্দের সঙ্গেও যুক্ত হয়ে তৎসম উপসর্গ হিসেবে কাজ করে।
বাংলা ও তৎসম উপসর্গের প্রধান পার্থক্য হলো:
যে শব্দের সঙ্গে উপসর্গ যুক্ত হয়, যদি তা বাংলা শব্দ হয়, তবে উপসর্গটি বাংলা; আর যদি তৎসম (সংস্কৃত) শব্দ হয়, তবে উপসর্গটিও তৎসম হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
আকণ্ঠ, সুতীক্ষ্ণ, বিপক্ষ, নিদাঘ — এই সবগুলোই তৎসম শব্দ। তাই, এখানে ব্যবহৃত আ, সু, বি, নি — উপসর্গগুলোও তৎসম উপসর্গ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 3 months ago