সৎপাত্রে কন্যা দান কর। - নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারক?
A
কর্ম
B
করণ
C
অপাদান
D
সম্প্রদান
উত্তরের বিবরণ
সম্প্রদান কারক:
-
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কে কোনো কিছু দান বা সাহায্য করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলা হয়।
-
দানের সঙ্গে সম্প্রদানের একটি সম্পর্ক থাকে। তবে যদি কোনাে কিছু দিয়ে আবার ফেরত নেওয়া হয়, তাহলে তা সম্প্রদান কারক হবে না।
উদাহরণ:
-
ভিখারীকে ভিক্ষা দাও।
-
সৎপাত্রে কন্যা দান কর।
-
সমিতিতে চাঁদা দাও।
-
অন্ধজনে দেহ আলো।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago
বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
বিভক্তি
B
কারক
C
প্রত্যয়
D
অনুসর্গ
কারক, বিভক্তি, প্রত্যয় ও অনুসর্গ
কারক:
কারক হলো বাক্যে ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ক। সহজভাবে বলতে গেলে, কোনো বাক্যে ক্রিয়া (যেমন: খাওয়া, যাওয়া) ও নামপদ (বিশেষ্য বা সর্বনাম) যেভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে, সেই সম্পর্ককে কারক বলা হয়।
-
কারক বোঝাতে সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে বিভক্তি বা অনুসর্গ যুক্ত হয়।
-
মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২১ সংস্করণ) অনুযায়ী, কারকের ছয়টি ধরন রয়েছে:
-
কর্তা কারক
-
কর্ম কারক
-
করণ কারক
-
অপাদান কারক
-
অধিকরণ কারক
-
সম্বন্ধ কারক
-
২. বিভক্তি:
বিভক্তি হলো সেই বর্ণ, বর্ণসমষ্টি বা চিহ্ন যা বাক্যের এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি নামপদকে বাক্যে ক্রিয়ার সাথে যুক্ত করতে সাহায্য করে।
৩. প্রত্যয়:
প্রত্যয় হলো ধাতু বা শব্দের পরে যুক্ত অর্থহীন অংশ, যা দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়। উদাহরণ: “খেলা + ওয়া = খেলাওয়া”।
৪. অনুসর্গ:
অনুসর্গ হলো এমন অব্যয় শব্দ, যা কখনো স্বাধীনভাবে, আবার কখনো নামপদ বা ক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে। অন্য কথায়, এটি বাক্যের অর্থ নিখুঁত করতে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
বাক্যের অন্তর্গত শব্দের পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
সন্ধি
B
পদ
C
কাল
D
কারক
উত্তর: ঘ) কারক
সহজ ব্যাখ্যা:
বাংলা ব্যাকরণে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে যে নিয়ম ব্যবহৃত হয়, সেটি কারক নামে পরিচিত।
কারকের মাধ্যমে বোঝা যায়, কে কাজটি করছে, কার উপর কাজটি হচ্ছে, কোথায় কাজটি ঘটছে ইত্যাদি।
উদাহরণ:
রানা বই পড়ে।
→ রানা = কর্তৃকারক (যে পড়ছে)
→ বই = কর্মকারক (যাকে পড়া হচ্ছে)
এই শব্দদুটো ক্রিয়ার (পড়ে) সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে কারকের মাধ্যমে।
বাংলা ভাষায় মোট ৬টি কারক রয়েছে:
-
কর্তৃকারক (যে কাজ করে)
-
কর্মকারক (যার উপর কাজ হয়)
-
করণকারক (যার মাধ্যমে কাজ হয়)
-
সম্প্রদান কারক (যার জন্য কিছু দেওয়া হয়)
-
অপাদান কারক (যেখান থেকে কিছু দূরে যায়)
-
অধিকরণ কারক (যেখানে কাজ ঘটে)
তাই বাক্যে শব্দের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝাতে ‘কারক’ সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর।
অন্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
ক) সন্ধি:
দুইটি শব্দ জোড়া লাগলে যে ধ্বনিগত পরিবর্তন হয়, তাকে সন্ধি বলে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়।
→ এটি শব্দগঠন নিয়ে কাজ করে, বাক্যের শব্দের সম্পর্ক নয়।
খ) পদ:
যখন কোনও শব্দে বিভক্তি যুক্ত হয়, তখন তাকে পদ বলে। যেমন: 'মানুষটি', 'বইয়ে'।
→ এটি শব্দের শ্রেণি নির্ধারণ করে, কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক নয়।
গ) কাল:
কাল হলো কাজটি কখন হয়েছে—বর্তমানে, অতীতে না ভবিষ্যতে।
→ এটি ক্রিয়ার সময় বোঝায়, শব্দের সম্পর্ক নয়।
শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার জন্য সঠিক উত্তর হলো ঘ) কারক।

1
Updated: 2 months ago
’কারক বিশ্লেষণ’ ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
বাক্যতত্ত্ব
B
ধ্বনিতত্ত্ব
C
রূপতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
কারক বিশ্লেষণ ও ব্যাকরণের অন্যান্য অংশ
বাক্যতত্ত্ব:
-
বাক্যতত্ত্বে মূলত বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
বাক্যের নির্মাণ ও গঠন, পদ ও বর্গ কীভাবে বিন্যস্ত থাকে তা ব্যাখ্যা করা হয়।
-
এছাড়া এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি বিষয়ও আলোচিত হয়।
বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়:
-
কারক বিশ্লেষণ
-
বাক্যের যোগ্যতা
-
বাক্যের উপাদান লোপ
-
যতিচিহ্ন ইত্যাদি
ধ্বনিতত্ত্ব:
-
বাগ্যন্ত্র ও এর উচ্চারণ-প্রক্রিয়া
-
ধ্বনির বিন্যাস
-
স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য
-
ধ্বনিদল প্রভৃতি
রূপতত্ত্ব:
-
বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ
-
শব্দগঠন প্রক্রিয়া
অর্থতত্ত্ব (বাগর্থতত্ত্ব):
-
শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়
-
বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত
-
শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা সম্পর্কিত বিষয়ও আলোচনা হয়
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম ও দশম শ্রেণি, ২০২৫ সালের সংস্করণ

0
Updated: 1 month ago