কোনটি কর্মধারয় সমাস?
A
কুশীলব
B
বাগবিতণ্ডা
C
গাছপাকা
D
কাঁচকলা
উত্তরের বিবরণ
কর্মধারয় সমাস
-
সংজ্ঞা: মধ্যপদলোপী, উপমান, উপমিত, রূপক কর্মধারয় সমাস ছাড়া অন্যান্য কর্মধারয় সমাসকে সাধারণ কর্মধারয় সমাস বলে।
উদাহরণ (সাধারণ কর্মধারয় সমাস):
-
কাঁচা যে কলা → কাঁচকলা
-
দুঃ যে শাসন → দুঃশাসন
-
মহৎ যে আত্মা → মহাত্মা
অন্যান্য সমাস:
-
তৎপুরুষ সমাস: বাক্ দ্বারা বিতণ্ডা → বাগবিতণ্ডা
-
দ্বন্দ্ব সমাস: কুশ ও লব → কুশীলব
-
সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস: গাছে পাকা → গাছপাকা
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মাহমুদ

0
Updated: 1 month ago
’নীতিশাস্ত্র’ কোন প্রকার সমাস?
Created: 1 month ago
A
কর্মধারয়
B
বহুব্রীহি
C
অব্যয়ীভাব
D
তৎপুরুষ
বাংলা ভাষায় ধাতুর সংমিশ্রণে যে সমাস গঠিত হয় তার মধ্যে কর্মধারয় সমাস গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে, মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস এক ধরনের কর্মধারয় সমাস, যেখানে সমাসের মধ্যপদ লোপিত হয়।
-
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়ে যে সমাস গঠিত হয় তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।
উদাহরণ:-
সিংহ চিহ্নিত আসন → সিংহাসন
-
সাহিত্য বিষয়ক সভা → সাহিত্যসভা
-
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ → স্মৃতিসৌধ
-
নীতি বিষয়ক শাস্ত্র → নীতিশাস্ত্র
-
-
কর্মধারয় সমাস
যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস ঘটে এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলা হয়। -
কর্মধারয় সমাসের প্রকারভেদ
কর্মধারয় সমাসকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়—-
মধ্যপদলোপী
-
উপমান
-
উপমিত
-
রূপক কর্মধারয় সমাস
-
উৎস:

0
Updated: 1 month ago
‘সিংহাসন’ কোন সমাস?
Created: 3 weeks ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
C
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি
D
অব্যয়ীভাব সমাস
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় - যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন, সাহিত্য বিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা, স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ, ব্রাহ্মণ ধর্মীয় প্রধান পুরোহিত = ব্রাহ্মণ পুরোহিত, জগতের রক্ষাকারী ঈশ্বর = জগদীশ্বর ।

0
Updated: 3 weeks ago
'চিতসাঁতার' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
কর্মধারয় সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
বহুব্রীহি সমাসে
D
দ্বন্দ্ব সমাস
কর্মধারয় সমাস হলো সেই সমাস যেখানে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়। অর্থাৎ, সমাসের মূল অর্থ বোঝায় যে বস্তু বা বিষয়টি পরপদ দ্বারা নির্ধারিত হচ্ছে।
-
উদাহরণ: গোলাপফুল (গোলাপ নামের ফুল), কাঁচা-মিঠা (যা কাঁচা তাই মিঠা)
-
কিছু কর্মধারয় সমাসে ‘যে’ যোজক ব্যবহৃত হয়, যা পদগুলোর মধ্যে সম্পর্ক নির্দেশ করে।
-
খাস যে জমি = খাসজমি
-
চিত যে সাঁতার = চিতসাঁতার
-
ভাজা যে বেগুন = বেগুনভাজা
-
সিদ্ধ যে আলু = আলুসিদ্ধ
-
কনক যে চাঁপা = কনকচাঁপা
-
টাক যে মাথা = টাকমাথা
-
যে চালাক সে চতুর = চালাকচতুর
-
যে শান্ত সে শিষ্ট = শান্তশিষ্ট
-
কর্মধারয় সমাসে প্রধান লক্ষ্য হলো পদগুলোর ক্রিয়া বা বৈশিষ্ট্যকে সংক্ষিপ্ত ও সংহতভাবে প্রকাশ করা। এটি বাংলা ভাষার শব্দসংযোজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

0
Updated: 3 weeks ago