A
৭ ডিসেম্বর ১৯৪১
B
২৩ জুন ১৪৪২
C
৩ নভেম্বর ১৯৪২
D
২৬ জুলাই ১৯৪৩
উত্তরের বিবরণ
পার্ল হারবার আক্রমণ: ইতিহাসের এক মোড় ঘোরানো অধ্যায়
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত পার্ল হারবার ছিল উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটি, যা নির্মিত হয় ১৯০৮ সালে। ১৯৪০ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান নৌঘাঁটি হিসেবে নির্ধারিত হয়।
কৌশলগত দিক থেকে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল—যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ২,০০০ মাইল এবং জাপান থেকে প্রায় ৪,০০০ মাইল দূরে অবস্থিত হওয়ায় এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রভাব বিস্তারে মুখ্য ভূমিকা রাখত।
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর, কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই জাপানের সামরিক বাহিনী পার্ল হারবারে ভয়াবহ আক্রমণ চালায়। এই হামলা শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে নয়, গোটা বিশ্ব রাজনীতিকেই কাঁপিয়ে দেয়।
আমেরিকা, যে এতদিন বিশ্বযুদ্ধে নিরপেক্ষ ছিল, এ ঘটনার পর সরাসরি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গতিপথ আমূল পরিবর্তিত হয়ে যায়।
পটভূমি:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বেই জাপান একটি আগ্রাসী শক্তিতে পরিণত হয়। চীনের সঙ্গে একাধিক যুদ্ধে বিজয়ের পর এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে সফল লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তাদের সামরিক আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ওঠে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির পক্ষে বিজয়ী হওয়া জাপানকে আরও সাম্রাজ্যবাদী করে তোলে। ১৯৩১ সালে চীনের মাঞ্চুরিয়া অঞ্চল দখলের মাধ্যমে জাপানের আক্রমণাত্মক নীতি পরিষ্কারভাবে সামনে আসে।
তথ্যসূত্র:
i) ব্রিটানিকা
ii) প্রথম আলো, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

0
Updated: 2 months ago
বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটেছিল -
Created: 2 months ago
A
১৪ জুলাই ১৭৮৯
B
৭ জুন ১৭৮৮
C
৫ অক্টোবর ১৭৮৮
D
২৬ আগস্ট ১৭৮৮
বাস্তিল দুর্গ ছিল ফরাসি স্বৈরতন্ত্রের এক কঠিন প্রতীক। এখানে রাজতন্ত্রের বিরোধী ব্যক্তিদের বন্দি রেখে অত্যাচার করা হতো। এজন্য সাধারণ জনগণের কাছে বাস্তিল দুর্গ ছিল স্বৈরতন্ত্রের দমন ও অত্যাচারের প্রতীক।
১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই, ফরাসির রাজধানী প্যারিসে শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ খাদ্যের সংকট এবং স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে। এই আক্রমণের মাধ্যমে তারা বন্দিদের মুক্তি দেয় এবং দুর্গটি ধ্বংস করে দেয়। বাস্তিল দুর্গের পতন ফরাসি বিপ্লবের সূচনা ঘটায়।
এর ফলে রাজা ষোড়শ লুই-এর স্বৈরশাসন শেষ হয়, এবং তিনি জাতীয় পরিষদকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন। এরপর থেকে রাষ্ট্রের প্রকৃত ক্ষমতা আইনসভার হাতে চলে আসে। ফ্রান্সে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ শুরু হয় এবং অভিজাততন্ত্রের পতন নিশ্চিত হয়ে ওঠে।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 2 months ago
মিশর সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করেছিল -
Created: 2 months ago
A
১৯৫৬ সালে
B
১৯৫৫ সালে
C
১৯৫৪ সালে
D
১৯৫৩ সালে
সুয়েজ খাল মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিম পাশে অবস্থিত একটি কৃত্রিম সামুদ্রিক খাল। এটি ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। খালটির নির্মাণ কাজ ২৫ এপ্রিল ১৮৫৯ সালে শুরু হয় এবং প্রায় দশ বছর ধরে খননের পর ১৭ নভেম্বর ১৮৬৯ সালে এটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। বর্তমানে এটি মিশরের সুয়েজ ক্যানেল অথোরিটির মালিকানাধীন।
১৯৫৬ সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসের সুয়েজ খালটি জাতীয়করণ করেন। এর মাধ্যমে তিনি মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল রপ্তানির অন্যতম প্রধান এই পথের নিয়ন্ত্রণ দখল করেন।
উৎস: i) Britannica.
ii) ৯ মে ২০২১, বিবিসি বাংলা।

0
Updated: 2 months ago