ফররুখ আহমদ কী হিসেবে পরিচিত?
A
বিদ্রোহী কবি
B
মুসলিম রেনেসাঁর কবি
C
মার্ক্সবাদী কবি
D
পল্লি কবি
উত্তরের বিবরণ
ফররুখ আহমদ
-
তিনি একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কবি।
-
জন্ম: ১৯১৮ সালের ১০ জুন, মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে।
-
পরিচিতি: ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ বা ‘মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি’।
-
কাব্যের মূল প্রবণতা: মুসলিম সংস্কৃতির গৌরবকীর্তন ও জাতীয় চেতনার পুনর্জাগরণ।
-
কবিতায় ফুটে ওঠে: পাকিস্তানবাদ, ইসলামিক আদর্শ ও আরব-ইরানের ঐতিহ্য।
-
পুরস্কার: হাতেমতায়ী কাহিনিকাব্যের জন্যে আদমজি পুরস্কার, পাখির বাসা গ্রন্থের জন্যে ইউনেস্কো পুরস্কার।
উল্লেখযোগ্য কাব্য
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনিরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
হাতেমতায়ী
-
হাবেদা মরুর কাহিনী ইত্যাদি
শিশুতোষ রচনা
-
পাখির বাসা
-
হরফের ছড়া
-
ছড়ার আসর ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে?
Created: 2 months ago
A
কাহ্নপা
B
চেণ্ডনপা
C
লুইপা
D
ভূসুকুপা
লুইপা: বাংলা সাহিত্যের প্রথম কবি
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম কাব্যগ্রন্থ চর্যাপদ-এর প্রথম কবিতা লুইপা রচনা করেন।
তাই তাকেই বাংলা সাহিত্যের আদি কবি বলা হয়। -
লুইপা ছিলেন একজন প্রবীণ বৌদ্ধ সাধক ও চর্যাপদের একজন কবি।
-
ভাষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, লুইপা সম্ভবত ৭৩০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, লুইপার জন্ম রাঢ় অঞ্চলে (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কিছু অংশ)।
-
তিনি চর্যাপদের ১ম ও ২৯তম পদ রচনা করেছেন।
-
তাঁর রচিত প্রথম চর্যার পঙক্তি দুটি হলো:
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।।"
চর্যাপদ: বাংলা সাহিত্যের সূচনা
-
চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরোনো গ্রন্থ।
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কবিতা বা গানের সংকলন হিসেবে ধরা হয়। -
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবারের একটি লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
সুকুমার সেন তাঁর 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন কবির নাম উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম দেন।
-
চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি কবিতা লিখেছেন কাহ্নপা — তিনি মোট ১৩টি পদ রচনা করেন, যার মধ্যে ১২টি পাওয়া গেছে।
-
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ লিখেছেন ভুসুকুপা — তিনি ৮টি পদ রচনা করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবির নাম কি?
Created: 2 months ago
A
বিজয়গুপ্ত
B
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
C
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
D
কানাহরি দত্ত
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
- মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন।
- ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যের ৩টি খণ্ড ছিল।
- এ কাব্যের জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি দেন।
- ভারতচন্দ্রের প্রথম কাব্য ছিল বিমিশ্র দেবতা সত্যনারায়ণের সম্মানে রচিত একটি পাঁচালি।
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরকে মধ্যযুগের/মঙ্গলযুগের শেষ বড় কবি বা নাগরিক কবিও বলা হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
Created: 2 months ago
A
গোবিন্দ দাস
B
কায়কোবাদ
C
কাহ্ন পা
D
ভুসুকু পা
ভুসুকুপা - চর্যাপদের একজন প্রাচীন বাঙালি কবি
-
ভুসুকুপা চর্যাগীতি রচয়িতাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।
-
তিনি মোট ৮টি চর্যাপদ রচনা করেছেন, যা চর্যাপদ গ্রন্থে সংকলিত আছে।
-
অনেকে মনে করেন ‘ভুসুকুপা’ নামটি আসল নয়, এটি তাঁর ছদ্মনাম।
-
তাঁর আসল নাম ছিল শান্তিদেব।
-
ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, শান্তিদেব ওরফে ভুসুকুপা সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জীবিত ছিলেন এবং ৮০০ সালের দিকে তাঁর জীবন শেষ হয়।
-
তিনি পাল রাজা ধর্মপালের (৭৭০-৮০৬ খ্রিষ্টাব্দ) শাসনামলে বেঁচে ছিলেন।
-
ভুসুকুপা নিজেকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তাঁর এক পঙ্ক্তিতে:
“আজি ভুসুকু বাঙ্গালী ভাইলী / নিঅ ঘরিণী চণ্ডালে লেলী”
যার সহজ অর্থ: আজ ভুসুকু বাঙালি হলো। -
তাঁর রচিত একটি চর্যাপদের অংশ:
“কাহৈরি ঘিনি মেলি অচ্ছহু কীস।
বেটিল ডাক পড়অ চৌদীস ॥”
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago