নিচের কোন কবির প্রভাব বিষ্ণু দে-এর কবিতায় লক্ষ্য করা যায়?
A
টি.এস. এলিয়ট
B
ডব্লিউ.বি. ইয়েটস
C
পাবলো নেরুদা
D
স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ
উত্তরের বিবরণ
বিষ্ণু দে
-
তিনি একজন খ্যাতিমান কবি, প্রাবন্ধিক, চিত্রসমালোচক ও শিল্পানুরাগী ছিলেন।
-
জন্ম: ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই, কলকাতার পটলডাঙ্গা।
-
পিতা: অবিনাশচন্দ্র দে, একজন অ্যাটর্নি।
-
তিনি ত্রিশোত্তর বাংলা কবিতার নব্যধারার আন্দোলনের প্রধান পাঁচজন কবির মধ্যে একজন।
-
মার্কসবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ, এবং টি.এস. এলিয়টের কবিতার দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।
-
১৯৩১ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ‘পরিচয়’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
-
এছাড়া তিনি ‘সাহিত্যপত্র’ নামক আরেকটি পত্রিকা প্রকাশ করেন।
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
উর্বশী ও আর্টেমিস
-
চোরাবালি
-
স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ
-
সেই অন্ধকার চাই
-
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
-
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ
প্রবন্ধগ্রন্থ
-
রুচি ও প্রগতি
-
সাহিত্যের ভবিষ্যৎ
-
রবীন্দ্রনাথ ও শিল্প সাহিত্যে আধুনিকতার সমস্যা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'বনি আদম' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 5 months ago
A
গোলাম মোস্তফা
B
হুমায়ুন আজাদ
C
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
D
হুমায়ুন কবির
• গোলাম মোস্তফা:
- ১৮৯৭ সালে যশোর (বর্তমান ঝিনাইদহ) জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে তাঁর জন্ম।
- তিনি ছিলেন কবি ও লেখক।
- ১৯৪৯ সালে গঠিত পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব হিসেবে তিনি কাজ করেন।
- সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি যশোর সংঘ কর্তৃক 'কাব্য সুধাকর' (১৯৫২) এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক
- তিনি ১৯৬৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- রক্তরাগ,
- খোশরোজ,
- কাব্যকাহিনী,
- গীতি সঞ্চয়ন,
- সাহারা,
- হাসনাহেনা,
- বুলবুলিস্তান,
- বনি আদম ইত্যাদি।
• তাঁর রচিত অনুবাদকাব্য:
- মুসাদ্দাস-ই-হালী,
- কালামে ইকবাল,
- শিকওয়া ও জওয়াব-ই-শিকওয়া (১৯৬০)।
• তাঁর রচিত গদ্যগ্রন্থ:
- বিশ্বনবী, -
- ইসলাম ও জেহাদ,
- ইসলাম ও কমিউনিজম,
- আমার চিন্তাধারা।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 5 months ago
“তােমারেই যেন ভালােবাসিয়াছি শত রূপে শত বার/জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।” - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কবিতার অংশ?
Created: 1 month ago
A
অনন্ত প্রেম
B
উপহার
C
ব্যক্ত প্রেম
D
শেষ উপহার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "মানসী" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘অনন্ত প্রেম’ কবিতার উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তিগুলো গভীর প্রেমের অনুভূতি প্রকাশ করে। কবিতায় প্রিয়তমকে শত রূপে, শতবার, জনমে জনমে ভালোবাসার অমর অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।
কবিতায় চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়ে গীতহার গাঁথার মাধ্যমে প্রেমের গভীরতা এবং উপহারের প্রতিফলন ফুটে উঠেছে।
-
"মানসী" কাব্যগ্রন্থ:
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত এটি ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি কবির কাব্যকলার পূর্ণ প্রতিষ্ঠামূলক গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।
-
বুদ্ধদেব বসু এই কাব্যকে “রবীন্দ্র-কাব্যের অণুবিশ্ব” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-
গ্রন্থে মোট ৬৬টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত।
-
রবীন্দ্রনাথ নিজে লিখেছেন, “নূতন আবেষ্টনে এই কবিতাগুলি সহসা যেন নবদেহ ধারণ করল।”
-
-
মানসীর কবিতার বিভাজন:
-
কবিতাগুলো মূলত দুই ভাগে বিভক্ত: একদিকে অতীত জীবনের পিছুটানমূলক কবিতা এবং অন্যদিকে নবযৌবনের নিরুদ্ধ উদ্দীপনার খরদীপ্তি।
-
-
উল্লেখযোগ্য কবিতাসমূহ:
-
উপহার
-
নিস্ফল উপহার
-
ক্ষণিক মিলন
-
নিস্ফল কামনা
-
অহল্যার প্রতি
-
নবদম্পতির প্রেমালাপ
-
মানসিক অভিসার
-
পুরুষের উক্তি
-
নারীর উক্তি
-
ব্যক্ত প্রেম
-
গুপ্ত প্রেম
-
অনন্ত প্রেম
-
শেষ উপহার
-
-
‘অনন্ত প্রেম’ কবিতা:
-
কবিতায় প্রেমিক বা প্রিয়তমকে চিরকাল ধরে অনন্তভাবে ভালোবাসার অনুভূতি ফুটে উঠেছে।
-
প্রেমের গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে গীতহার ও উপহারের প্রতীকী ব্যবহার দ্বারা।
-
পঙ্ক্তিগুলোর পুনরাবৃত্তি ও ছন্দ প্রেমের স্থায়িত্ব এবং যুগপৎ অনুভূতির জোরদার প্রতিফলন ঘটায়।
-

0
Updated: 1 month ago
'হুলিয়া' কবিতা কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
আবুল হাসান
B
আবুল হোসেন
C
মহাদেব সাহা
D
নির্মলেন্দু গুণ
‘হুলিয়া’ ও নির্মলেন্দু গুণ
• হুলিয়া:
‘হুলিয়া’ হলো বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি নির্মলেন্দু গুণ রচিত একটি কবিতা।
কবিতায় ঘরের পরিবেশ, রোদ, হাওয়া এবং ছায়ার খেলা চিত্রিত হয়েছে, যেখানে কবির উপস্থিতি এতটাই অদৃশ্য যে কেউ তাকে চিনতে পারে না। সংক্ষেপে কবিতার অংশটি এই রকম:
“আমি যখন বাড়িতে পৌঁছলুম তখন দুপুর,
আমার চারপাশে রোদ ঝলমল করছে, হাওয়া শোঁ শোঁ করছে।
আমার ছায়া ঘুরতে ঘুরতে একটি রেখায় এসে দাঁড়িয়েছে।
কেউ আমাকে চিনতে পারেনি।”
• নির্মলেন্দু গুণ:
-
জন্ম: ১৯৪৫, নেত্রকোনার বারহাট্টার কাশবন গ্রামে।
-
পূর্ণ নাম: নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী।
-
তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রখ্যাত কবি এবং ‘বাংলাদেশের কবিদের কবি’ নামে খ্যাত।
-
সম্মাননা: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (২০০১)।
• কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
প্রেমাংশুর রক্ত চাই
-
না প্রেমিক না বিপ্লবী
-
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী
-
ও বন্ধু আমার
-
চাষাভূষার কাব্য
-
পৃথিবীজোড়া গান
-
দূর হ দুঃশাসন
-
ইসক্রা
-
নেই কেন সেই পাখি
-
মুজিব-লেনিন-ইন্দিরা
-
শিয়রে বাংলাদেশ
• ভ্রমণ কাহিনি:
-
ভলগার তীরে
-
গীনসবার্গের সঙ্গে
-
আমেরিকায় জুয়া খেলার স্মৃতি
-
ভ্রমি দেশে দেশে
• কিশোর উপন্যাস:
-
কালো মেলা
-
বাবা যখন ছোট্ট ছিলেন
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; ‘হুলিয়া’ কবিতা।

0
Updated: 1 month ago