বিজন ভট্টাচার্য রচিত নাটকের উপজীব্য কী?
A
মানবিকতা ও স্বদেশ প্রেম
B
সমাজের নিচের তলার মানুষের জীবনচিত্র।
C
রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক
D
ধর্মীয় কুসংস্কার
উত্তরের বিবরণ
বিজন ভট্টাচার্য
-
তিনি একজন নাট্যকার ও অভিনেতা ছিলেন।
-
জন্ম: ফরিদপুর জেলার খানখানাপুর।
-
পিতা: ক্ষীরোদবিহারী ভট্টাচার্য, একজন স্কুলশিক্ষক।
-
তিনি নবনাট্য আন্দোলনের পথিকৃত।
-
তিনিই প্রথম বাংলা রঙ্গমঞ্চকে পুরাণ ও ইতিহাসের রোম্যান্টিক প্রভাব থেকে মুক্ত করেন।
-
প্রথম নাটক: আগুন (১৯৪৩), যা নাট্যভারতীতে অভিনীত হয়।
-
তাঁর নাটকের উপজীব্য: সমাজের নিচের তলার মানুষের জীবনচিত্র।
-
নাট্য রচনায় তিনি মার্কসবাদকে প্রাধান্য দেন।
তাঁর রচিত অন্যান্য নাটক
-
নবান্ন
-
জনপদ
-
কলঙ্ক
-
মরাচাঁদ
-
অবরোধ
-
গোত্রান্তর
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
‘জোহরা’ মুনীর চৌধুরী রচিত কোন নাটকের চরিত্র?
Created: 6 days ago
A
দণ্ডকারণ্য
B
চিঠি
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
কবর
বাংলা নাট্যসাহিত্যে মুনীর চৌধুরী ছিলেন এক বিশিষ্ট নাট্যকার, যিনি বাস্তবতা, ইতিহাস ও মানবচেতনার সমন্বয়ে নাট্যরচনা করেছেন। তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ ইতিহাসনির্ভর হলেও এতে মানবজীবনের পরিবর্তন ও সংগ্রামের গভীর দার্শনিক তাৎপর্য ফুটে উঠেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ মুনীর চৌধুরী রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনির অবলম্বনে।
-
এটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের (১৭৬১) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত তিন অঙ্ক বিশিষ্ট নাটক।
-
যদিও এতে ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যবহৃত হয়েছে, এটি ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
নাটকের জনপ্রিয় সংলাপ—“মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।”
উক্তিটি নাটকের চরিত্র নবাব সুজাউদ্দৌলা-র মুখে বলা হয়েছে। -
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা প্রমুখ।
মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে তথ্য:
-
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর অন্যান্য মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য

0
Updated: 6 days ago
১৯৪৬ সালের দাঙ্গার পটভূমিকায় বিজন ভট্টাচার্য রচিত নাটক কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
মরাচাঁদ
B
জীয়নকন্যা
C
গোত্রান্তর
D
অবরোধ
বিজন ভট্টাচার্যের নাটকসমূহ
-
‘জীয়নকন্যা’ নাটক
-
রচনা: বিজন ভট্টাচার্য, ১৯৪৬।
-
পটভূমি: ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা ও গণনাট্য আন্দোলন।
-
বিষয়: বেদে সমাজের সংস্কার, প্রথা-পদ্ধতি, জাতিগত বিশ্বাস ও হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা-বিদ্বেষ।
-
কাঠামো: তিনটি দৃশ্যের গীতিনাট্য।
-
কাহিনী সংক্ষেপ:
-
বেদে-সর্দার কন্যা উলুপী সর্পের দংশনে আহত হয়।
-
গুণীনের দল নানা তন্ত্র-মন্ত্র চালান, তবে সর্প নিরাশার বাণী শোনায়।
-
অবশেষে তাদের প্রচেষ্টায় উলুপীকে বিষমুক্ত করা হয় ও মহাজাগরণ ঘটে, যা তৎকালীন ‘ক্যালাস সরকার’-এর প্রতি প্রতিবাদের প্রতীক।
-
-
-
‘মরাচাঁদ’ নাটক
-
বিষয়: সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষের জীবন-সংগ্রাম।
-
বিশেষত্ব: নাটকের মধ্যে পবন বাউলের গান ব্যবহৃত।
-
-
‘গোত্রান্তর’ (১৯৬০)
-
বিষয়: ছিন্নমূল পূর্ববঙ্গবাসীর ভাগ্যবিপর্যয়।
-
-
‘অবরোধ’ (১৯৪৭)
-
বিষয়: মুনাফাখোর মিল-মালিক ও শোষিত শ্রমিকদের সংগ্রাম।
-
লক্ষ্য: কারখানার মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষ ও কমিউনিজমের আদর্শ।
-
মন্তব্য: পুঁজিবাদী মালিকের চরিত্রায়নের দুর্বলতার কারণে গণনাট্য সংঘ গ্রহণ করেনি।
-
বিজন ভট্টাচার্যের নাটকগুলো মূলত সামাজিক আন্দোলন, শোষণ ও সংগ্রামের প্রতিফলন হিসেবে প্রাসঙ্গিক।

0
Updated: 4 weeks ago
'রক্তকরবী' নাটকের অন্তর্গত বিষয় কী?
Created: 3 weeks ago
A
নতুনের জয়গান গাওয়া
B
সামন্তবাদের বিলুপ্তি দেখানো
C
শ্রমিকদের অপ্রাপ্তি তুলে ধরা
D
পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব দেখানো
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ একটি সাংকেতিক নাটক, যা পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব এবং এর ফলে মানুষের জীবনের সৌন্দর্য, স্বাভাবিকতা ও মানবিকতার ক্ষয়কে ফুটিয়ে তোলে।
নাটকটি মানুষের প্রেম, জীবন ও স্বাধীনতার মূল্যকে প্রধান করে যান্ত্রিকতা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানবিকতার জয়গান করে।
• 'রক্তকরবী' নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী:
-
ক্ষপুরীর রাজার অর্থলোভ ও প্রজাশোষণের চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
রাজা সোনার খনির কুলিদের মানুষ হিসেবে নয়, কেবল উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে দেখেন।
-
মানুষের প্রেম, সৌন্দর্য ও মনুষ্যত্ব নিপীড়িত হয়।
-
নন্দিনী প্রেম ও জীবনের প্রতীক হিসেবে শোষণের বিরুদ্ধে আনন্দের দূত হয়ে আবির্ভূত হন।
-
তিনি সবাইকে মুক্ত জীবনের দিকে আহ্বান জানান।
-
রাজা নন্দিনীকে জোর করে পেতে চাইলেও প্রেম ও সৌন্দর্য জয়ী হয়।
-
রঞ্জন, নন্দিনীর প্রেমাস্পদ, যান্ত্রিকতার শিকার হয়ে নিঃশেষিত হয়।
-
নাটক জীবনের প্রাণশক্তির জয় এবং যান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে মানবিকতার বার্তা দেয়।
• 'রক্তকরবী' নাটক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক।
-
রচিত হয়েছে বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে।
-
প্রথম নাম ছিল যক্ষপুরী, পরে আশ্বিন ১৩৩০ সালে প্রকাশিত হলে নামকরণ হয় রক্তকরবী।
-
নাটকে ধনের উপর ধান্যের, শক্তির উপর প্রেমের, মৃত্যুর উপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
• নাটকটির উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
নন্দিনী: নিপীড়িত মানুষের মাঝে আনন্দের দূত।
-
রঞ্জন: বিদ্রোহের বাণী বহনকারী; শেষপর্যন্ত মানুষের প্রাণশক্তির জয়।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কিছু রূপক-সাংকেতিক নাটক:
-
শারদোৎসব
-
রাজা
-
ডাকঘর
-
অচলায়তন
-
ফাল্গুনী
-
গুরু
-
অরূপরতন
-
মুক্তধারা
-
রক্তকরবী
-
কালের যাত্রা
-
তাসের দেশ

0
Updated: 3 weeks ago