বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ বলা হয় কাকে?
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
D
প্যারীচাঁদ মিত্র
উত্তরের বিবরণ
প্যারীচাঁদ মিত্র
-
তিনি ছিলেন লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী ও ব্যবসায়ী।
-
জন্ম: ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই, কলকাতা।
-
তিনি “টেকচাঁদ ঠাকুর” ছদ্মনামে সাহিত্য রচনা করতেন।
-
প্রথম উপন্যাস: ‘আলালের ঘরে দুলাল’।
-
কিছু মত অনুযায়ী এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস।
-
তাঁকে বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ বলা হয়।
-
সাংবাদিকতা ও বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্যই বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন।
-
নিয়মিত লেখক ছিলেন দি ইংলিশম্যান, ইন্ডিয়ান ফিল্ড, হিন্দু প্যাট্রিয়ট, ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া এবং বেঙ্গল স্পেক্টেটর পত্রিকায়।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
-
মদ খাওয়া বড় দায় জাত থাকার কি উপায়
-
রামারঞ্জিকা
-
কৃষিপাঠ
-
ডেভিড হেয়ারের জীবনচরিত
-
বামাতোষিণী
তাঁর রচিত উপন্যাস
-
আলালের ঘরের দুলাল
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন কে?
Created: 1 week ago
A
লর্ড ওয়াভেল
B
লর্ড কর্নওয়ালিস
C
লর্ড ক্লাইভ
D
লর্ড বেন্টিঙ্ক
চিরস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্ত ছিল ব্রিটিশ শাসনামলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার জমিদার শ্রেণির (সমস্ত শ্রেণির জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদার) মধ্যে সম্পাদিত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। এটি মূলত ভারতীয় ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করে।
এই বন্দোবস্তের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজস্ব আদায়ের একটি স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি গঠন করা, যাতে ব্রিটিশ সরকার নিয়মিত রাজস্ব পায় এবং জমিদাররা স্থায়ীভাবে জমির মালিকানা ভোগ করতে পারে।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
এটি ১৭৯৩ সালে কার্যকর করা হয়।
-
এই ব্যবস্থা লর্ড কর্নওয়ালিসের প্রশাসন প্রবর্তন করে।
-
এ চুক্তির মাধ্যমে জমিদারগণ উপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন।
-
জমিদাররা শুধু জমির মালিকানাই পাননি, বরং তাঁরা একটি স্থায়ী ও অপরিবর্তনীয় রাজস্বহার অনুযায়ী চিরস্থায়ীভাবে জমিদারিস্বত্ব লাভ করেন।
-
এই বন্দোবস্তের ফলে জমিদাররা রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পান, কিন্তু কৃষকরা তাঁদের কাছে ক্রমশ শোষণের শিকার হন, কারণ রাজস্ব নির্ধারিত থাকলেও জমিদাররা নিজেদের লাভ বাড়াতে কৃষকের কাছ থেকে অধিক ভাড়া আদায় করতে থাকেন।

0
Updated: 1 week ago
'বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ' কোন ধরনের সাহিত্য?
Created: 3 weeks ago
A
কাব্য
B
প্রহসন
C
মহাকাব্য
D
উপন্যাস
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ একটি প্রহসন। প্রথমে এ প্রহসনের নাম ছিল ‘ভগ্ন-শিবমন্দির’। কাহিনীর মূল বিষয় হলো এক লম্পট জমিদারের আচার-ব্যবহার ও দরিদ্র প্রজাদের দ্বারা তাকে উচিত শিক্ষা প্রদান।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
ভক্তপ্রসাদ বাবু
-
পঞ্চানন বাচস্পতি
-
গদাধর
-
পুঁটি
-
ফতেমা
মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্যান্য প্রহসন:
-
একেই কি বলে সভ্যতা
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
বিধবার প্রেম নিয়ে রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘শেষ প্রশ্ন’
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চোখের বালি’
C
কাজী নজরুল ইসলামের ‘কুহেলিকা’
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’
চোখের বালি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘চোখের বালি’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৩ সালে।
-
এই রচনার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ বাংলা উপন্যাসকে এক নতুন ধারায় নিয়ে আসেন।
-
তিনি এখানে কাহিনির ভার কমিয়ে চরিত্রের মনের দ্বন্দ্ব, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সংকটকে মূল বিষয় হিসেবে ব্যবহার করেন।
-
প্রধান চরিত্র বিনোদিনী ছিলেন এক বিধবা; তার প্রেম, দুঃখ, প্রত্যাশা কাহিনিকে সামনে এগিয়ে নেয়।
-
আশালতা ছিলেন মহেন্দ্রর স্ত্রী ও পতিব্রতা নারী। কিন্তু মহেন্দ্র স্ত্রীকে উপেক্ষা করে বিধবা বিনোদিনীর প্রতি আকৃষ্ট হন।
প্রধান চরিত্র: বিনোদিনী, মহেন্দ্র, আশালতা, বিহারী, রাজলক্ষ্মী প্রমুখ।
শেষ প্রশ্ন (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘শেষ প্রশ্ন’ উপন্যাসে তিনি বিশ শতকের প্রথম ভাগের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজকে চিত্রিত করেছেন।
-
মানুষের রূপান্তরশীল জীবন, সমাজ ও মানসিকতার পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের কাহিনি গড়ে ওঠে।
কুহেলিকা (কাজী নজরুল ইসলাম)
-
কাজী নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক উপন্যাস ‘কুহেলিকা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৪১ বঙ্গাব্দে (১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে) ‘নওরোজ’ পত্রিকায়।
-
এটি একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটভিত্তিক উপন্যাস, যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইঙ্গিত ও সমাজচিত্র এক বৃহৎ ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে।
-
উপন্যাসের নায়ক জাহাঙ্গীর।
-
বিখ্যাত উক্তি: “ইহারা মায়াবিনীর জাত, ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে।”
চরিত্র: কুহেলিকা, তাহমিনা, ফিরদৌস বেগম ইত্যাদি।
কপালকুণ্ডলা (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
-
‘কপালকুণ্ডলা’ (১৮৬৬) বঙ্কিমচন্দ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
এটি একদিকে রোমান্টিক, অন্যদিকে সমাজ ও সংস্কারের দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে।
-
গল্পের কেন্দ্রে আছে বনবাসিনী কপালকুণ্ডলা এবং নবকুমারের বিবাহ ও সমাজসংঘাত।
-
উপন্যাসে প্রকৃতির সৌন্দর্য, রহস্য এবং চরিত্রের ট্র্যাজিক পরিণতি একে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।
-
নায়িকা কপালকুণ্ডলার সংলাপ “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ?” – বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ হিসেবে খ্যাত।
-
লেখকের জীবদ্দশায় এর আটটি সংস্করণ প্রকাশিত হয় এবং এটি অনেকের মতে বঙ্কিমচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
চরিত্র: কপালকুণ্ডলা, নবকুমার, কাপালিক ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago