'A Code of Gento Laws' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড
C
উইলিয়াম কেরি
D
ড. দীনেশচন্দ্র সেন
উত্তরের বিবরণ
A Code of Gento Laws
-
হেস্টিংসের অনুরোধে ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড একটি বিশাল আইনগ্রন্থ রচনা করেন: A Code of Gento Laws।
-
গ্রন্থটি ১৭৭৬ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
-
এটি মূলত হিন্দু আইনশাস্ত্রের একটি সারসংকলন, যা এগারোজন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত সংস্কৃত ভাষায় সংকলন করেন।
-
পরে একজন মুন্সি এটি প্রথমে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেন এবং সেখান থেকে হ্যালহেড ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।
-
কাজেই এটি ছিল একটি ত্রি-স্তরীয় কাজ, যদিও প্রথম দুই স্তরের পণ্ডিতদের নাম গ্রন্থে উল্লিখিত হয়নি।
-
পরবর্তী দশকে এ গ্রন্থটির কয়েকটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
-
ফরাসি ও জার্মান ভাষায়ও এর অনুবাদ হয়।
-
এর মাধ্যমেই বয়স তিরিশে পৌঁছার আগেই হ্যালহেডের খ্যাতি ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড
-
তিনি একজন প্রাচ্যবিদ ও বৈয়াকরণিক।
-
তিনিই প্রথম বৈয়াকরণিক যিনি বাংলা ব্যাকরণ রচনায় উদাহরণ ব্যবহার করে বাংলা পাঠ ও বাংলা লিপি ব্যবহার করেন।
-
এর আগে পর্তুগিজ ধর্মযাজকরা রোমান অক্ষরে অতি সাধারণভাবে বাংলা ব্যাকরণ ও অভিধান রচনার চেষ্টা করেন।
-
কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হ্যালহেডই প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।
-
জন্ম: ১৭৫১ সালের ২৫ মে, লন্ডনের এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে।
-
তিনি ১৭৭২ সালে কলকাতায় এসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে রাইটার হিসেবে প্রাথমিক চাকরি নেন।
-
সাহিত্যিক গুণের কারণে হ্যালহেড অচিরেই গভর্নর Warren Hastings-এর বন্ধুতে পরিণত হন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
‘শূন্যপুরাণ’ কোন ধর্মের তত্ত্বীয় গ্রন্থ?
Created: 3 weeks ago
A
বৈষ্ণব ধর্ম
B
বৌদ্ধ ধর্ম
C
হিন্দু ধর্ম
D
জৈন ধর্ম
শূন্যপুরাণ হলো বাংলার প্রাচীন বৌদ্ধ সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। এটি মূলত ধর্মপূজা পদ্ধতির বর্ণনার মাধ্যমে বৌদ্ধধর্মের শূন্যবাদ ও হিন্দু লোকধর্মের মিশ্র রূপকে প্রকাশ করেছে।
-
শূন্যপুরাণ রচনা করেছেন রামাই পণ্ডিত।
-
বিশ্বকোষ প্রণেতা নগেন্দ্রনাথ বসু তিনটি পুথির পাঠ সংগ্রহ করে ১৩১৪ বঙ্গাব্দে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ’ থেকে এটি শূন্যপুরাণ নামে প্রকাশ করেন।
-
এতে ‘শূন্যময় দেবতা’ ধর্মঠাকুরের পূজা-পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
-
গ্রন্থে ধর্মপূজার বিবরণে বৌদ্ধধর্মের শূন্যবাদ ও হিন্দু লোকধর্মের সংমিশ্রণ দেখা যায়।
-
এটি বিশেষভাবে ধর্মপূজা পদ্ধতিনির্ভর কাব্য।
-
কাব্যগ্রন্থটি ৫১টি অধ্যায়ে বিভক্ত।
-
শূন্যপুরাণ একটি চম্পুকাব্যের উদাহরণ।
-
চম্পুকাব্য হলো গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত কাব্যরীতি।

0
Updated: 3 weeks ago
প্রবোধচন্দ্রিকা” গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
মনোএল দা আস্সুম্পসাঁউ
C
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড
D
উইলিয়াম কেরী
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
-
তিনি উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট সংস্কৃত পণ্ডিত, ভাষাবিদ ও লেখক ছিলেন।
-
জন্ম: তৎকালীন ওড়িষা প্রদেশের মেদিনীপুর জেলা।
-
নাটোর রাজবাড়ির দরবারে লেখাপড়া করে তিনি একজন উচ্চমানের সংস্কৃত পণ্ডিতে পরিণত হন।
-
বাংলা গদ্যের প্রাথমিক যুগে তিনি প্রধান লেখক এবং উনিশ শতকের প্রথম শ্রেষ্ঠ বাংলা গদ্যকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
-
উইলিয়াম কেরীর সুপারিশে ১৮০১ সালের ৪ মে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের হেড-পণ্ডিত নিযুক্ত হন।
-
এছাড়াও তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ‘জজ-পণ্ডিত’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
-
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকদের মধ্যে সর্বাধিক গ্রন্থের রচয়িতাহিসেবে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
-
বত্রিশ সিংহাসন
-
রাজাবলী
-
হিতোপদেশ
-
বেদান্তচন্দ্রিকা
-
প্রবোধচন্দ্রিকা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'শূন্যপুরাণ' কোন ধর্মীয় তত্ত্বের গ্রন্থ?
Created: 3 weeks ago
A
হিন্দু ধর্মীয়
B
খ্রিষ্ট ধর্মীয়
C
বৌদ্ধ ধর্মীয়
D
জৈন ধর্মীয়
শূন্যপুরাণ
-
লেখক: রামাই পণ্ডিত
-
এটি বৌদ্ধ ধর্মীয় তত্ত্বের উপর রচিত একটি গ্রন্থ এবং অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
ধরন: ধর্মপূজাপদ্ধতি; গদ্য ও পদ্যের মিশ্রণে রচিত চম্পুকাব্য।
-
গ্রন্থটি মোট ৫১টি অধ্যায় সম্বলিত, যার প্রথম ৫টি অধ্যায় সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ক।
-
রচনার সময়কাল: ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
-
গ্রন্থটি নামহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল; নাগেন্দ্রনাথ বসু তিনটি পুথির পাঠ সংগ্রহ করে ১৩১৪ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শূন্যপুরাণ’ নামে প্রকাশ করেন।

0
Updated: 3 weeks ago